দিনাজপুরে ফসলের মাঠজুড়ে সবুজ রোপা আমন ধানের সমারোহ। আর এর পাতার সঙ্গে দোল খাচ্ছে কিষান-কিষানির স্বপ্ন। সবুজে ঘেরা রোপা আমনের মাঠে এখন ফসল ভালো রাখতে ও ধানের উৎপাদন বাড়াতে খেত থেকে আগাছা পরিষ্কার, পোকা দমনে পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার ও সার ছিটানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। কয়েকজন কৃষক জানান, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর আমন রোপণের শুরু থেকে কৃষককে অনেক বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আমন চাষের ভরা মৌসুম আষাঢ় মাসে ছিল না আকাশে বৃষ্টির দেখা। ফলে সঠিক সময়ে আমন ধান রোপণ করতে পারেনি অনেক কৃষক। তবে বাদ পড়েননি আমন ধান চাষে কোনো কৃষক। আমনের শুরুতে সেচ এর পানি দিয়ে অনেকে আমন ধান রোপণ করছেন। পরে বৃষ্টির পানিতে রোপা আমনের চারা আরও সমৃদ্ধ করেছে। বড় কোনো দুর্যোগ না হলে আমনের ভালো ফলনের আশা করছেন তারা। তবে সার ও কীটনাশকের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় লাভ অনেকটা কম হবে বলছেন। এর পরও কৃষক স্বপ্ন বুনছে। খানসামা উপজেলার পাকেরহাট, ছাতিয়ানগড়, বালাপাড়া ও দুহশুহ এলাকার বিভিন্ন আমনের মাঠে দেখা গেছে, আমন ধানের সবুজ পাতার রঙে ছেয়ে গেছে মাঠ। কেউ ধান গাছের আগাছা পরিষ্কার করছেন। আবার কেউ সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। খানসামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইয়াসমিন আক্তার বলেন, চলতি মৌসুমে রোগ ও পোকামাকড়ের প্রাদুর্ভাব কম থাকায় রোপা আমনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। চলতি মৌসুমে খানসামায় ১৩৭৬০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৬৭ হাজার ১৭০ মেট্রিক টন। কৃষি-সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে আতঙ্কিত না হয়ে কৃষি বিভাগের পরামর্শ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।