নাটোরের লালপুরে সরকারি ইজারার বাইরে থেকে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজনের বিরুদ্ধে। অবাধে বালু তোলায় যে কোনো মুহূর্তে ধসে যেতে পারে পদ্মার তীররক্ষা বাঁধ। ইজারার বাইরে বালু উত্তোলন বন্ধে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ইউএনও ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। বুধবার ইজারার বাইরে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে ইউএনও অফিস ঘেরাও ও বিক্ষোভ করেছেন তারা। সূত্র জানান, ২০২৪ সালের ১৪ এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত পদ্মার দিয়ার বাহাদুরপুর মৌজার তিনটি দাগ বালুমহাল হিসেবে ইজারা দেওয়া হয়। প্রায় ৬ কোটি টাকায় এ বালুমহাল এক বছরের জন্য ইজারা পায় মেসার্স রোকন এন্টারপ্রাইজ। অভিযোগ উঠেছে, ইজারার বাইরে চরজাজিরা ও চরমাদিয়ার থেকে বালু উত্তোলন করছেন ইজারাদারের লোকজন। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স রোকন এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম বলেন, ‘ইজারা অংশের বাইরে কোথাও বালু উত্তোলন করা হচ্ছে না। কিছু সন্ত্রাসী চাঁদা দাবি করে না পেয়ে এলাকার কিছু লোক ব্যবহার করে আমাদের নামে মনগড়া অভিযোগ করছে। ইউএনও, এসিল্যান্ড ও সেনাবাহিনী এসে আমাদের ঘাট পরিদর্শন করেছেন। ইজারা অংশের বাইরে কোথাও বালু উত্তোলনের প্রমাণ তাঁরা পাননি।’
নুরুল্লাপুরের বাসিন্দা জিয়াউর রহমান জানান, ইজারার বাইরে অবৈধভাবে চরজাজিরা ও চরমাদিয়ারে বালু উত্তোলনের কারণে মাঠের ফসলি জমির পাশাপাশি তীররক্ষা বাঁধ বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’