শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৬ আপডেট:

মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন খানের জানাজা থেকে ফিরে

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন খানের জানাজা থেকে ফিরে

আজ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার বিজয়া দশমী। আমি বিজয়ার শারদীয় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। তাদের জীবন মঙ্গলময়, নিরাপদ হোক।

লতিফ ভাই একবার কলম না তুলে ৩০ পৃষ্ঠা লেখেন। আমি ৩০ বার দেখে ১০ পৃষ্ঠাও পাঠকের সামনে দিতে পারি না। লেখাটায় শেষবারের মতো চোখ বুলাচ্ছিলাম। খবর পেলাম মোয়াজ্জেম হোসেন খান আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মুক্তিযোদ্ধা অনেকেই কিন্তু ঘাটাইলের মোয়াজ্জেম হোসেন খানের মতো মুক্তিযোদ্ধা তেমন বেশি ছিল না। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ৮-১০ বার নদীপথে ভারতে গেছেন। ফিরেছেন অস্ত্র নিয়ে, যোদ্ধা নিয়ে। সর্বশেষ স্বাধীনতা নিয়ে। মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা ভারতে যেত তাদের বলা হতো ওপার গেছেন। ওপার থেকে মোয়াজ্জেম হোসেন বার বার এপার আসতেন। কিন্তু এবার যেখানে গেলেন সেখান থেকে আর কেউ আসে না। মোয়াজ্জেম হোসেন খানকে নিয়ে আগামী পর্বে লিখব। না লিখলে অকৃতজ্ঞতা হবে। আল্লাহ তার ভুলত্রুটি ক্ষমা করে বেহেশতবাসী করুন।

কয়েক বছর আগে এক হরতালে পুরান ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে বিশ্বজিৎ দাসকে কুপিয়ে হত্যার দিন থেকে আমার মনে হচ্ছিল শুধু হত্যাকারীরাই কি অপরাধী? একজন মানুুষকে প্রকাশ্য দিবালোকে যখন কুপিয়ে হত্যা করা হচ্ছিল তখন যারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে, বর্বরতা ঠেকাতে এগিয়ে যায়নি; তারাও কি অপরাধী নয়? তাই বলেছিলাম, যারা খুন করেছে তারা তো অপরাধী, কিন্তু যে পুলিশ ডিউটিতে ছিল, যে ম্যাজিস্ট্রেট শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে ছিল তারা অপরাধী নয়? একটা বা দুইটা ফাঁকা গুলি করলে বিশ্বজিৎ প্রাণে বেঁচে যেত। মুক্তিযুদ্ধের সময় সখীপুর স্কুলমাঠে দাইমার সামছুকে যেমন ফাঁকা গুলি করে মুক্তিবাহিনীতে নিয়েছিলাম। বিশ্বজিৎকে কোপাতে থাকা দুষ্কৃতকারীদের আশপাশের কার্নিশে একটা-দুটা গুলি ছুড়লে কেউ মরত না। বিশ্বজিৎ বাঁচত। আল্লাহ পবিত্র কোরআনে সূরা মায়েদার ৩২ আয়াতে বলেছেন, ‘হত্যা এবং সমাজে কোনো ফেসাদ সৃষ্টি ছাড়া কেউ যদি কাউকে হত্যা করে সে যেন সারা মানব জাহানকে হত্যা করল। আবার একজনের জীবন যদি কেউ রক্ষা করে তাহলে সারা মানব জাহানকে সে রক্ষা করল।’ এ সুযোগটা সেদিন কর্তব্যরতরা নেয়নি। আশপাশে যারা ছিল তারা নেয়নি। ১০ জন মানুষ যদি ‘এই কী কর কী কর’ বলে চিৎকার করে এগিয়ে যেত তাহলে হত্যাকারীদের চাপাতি থেমে যেত। বিশ্বজিৎ দাস প্রাণে বাঁচত। ইদানীং কোনো হত্যাকারীর বিচার হয় না, প্রায় সব হত্যাকে রাজনৈতিক রং দেওয়ায় সমাজ লাগামহীন, বিশৃঙ্খল হয়ে পড়েছে। সিলেটের শিশু রাজনকে অত্যাচার করে হত্যা করা হয়েছে। কয়েকজন নির্দয় পশু মোবাইলে ভিডিও করেছে। কিন্তু তাকে রক্ষা করার চেষ্টা করেনি। খুলনায় গ্যারেজে কাজের ছেলের পায়ুপথে কমপ্রেসারের বায়ু দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এসব লাগামহীন হত্যার শেষ কোথায়?

কত দেব-দেবী, যোগী-ঋষি, অবতারের দেশ ভারত। কদিন আগে দিল্লির রাজপথে এক মেয়েকে কোপাচ্ছে, আশপাশ দিয়ে লোক যাচ্ছে। তার আর্তচিৎকারে কেউ সাড়া দিচ্ছে না। ঠিক একই রকম ঘটনা খাদিজাকে নিয়ে। পরীক্ষা দিয়ে সবে বেরিয়েছে। এক ছাত্রলীগ নেতা কীভাবে প্রকাশ্যে তাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে। কেউ কেউ ভিডিও করেছে কিন্তু তাকে বাঁচাতে চেষ্টা করেনি। মনে হয় কাউকে প্রাণ বাঁচানোর চেয়ে ভিডিও করাই বেশি দরকার। এ কি মানবতা? শেষ পর্যন্ত আমার প্রিয় ভগ্নি জননেত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বলেছেন, শুধু দুষ্কৃতকারী আক্রমণকারীর বিচার হবে না, যারা আকার বিকার না করে প্রতিবাদ না করে ছবি তুলেছে প্রতিরোধ করেনি; তাদেরও বিচার হবে। তিনি বলেছেন, ১০ জন ধাওয়া দিলে ওভাবে কোপাতে পারত? একটা ইট ছুড়লে আক্রমণকারী কোথায় ছুটে পালাত। আমি প্রধানমন্ত্রীকে ভালো করে জানি না কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা ছিলেন একজন সোনার মানুষ। তার মধ্যে মায়া-মমতা, আতিথেয়তা যখন জাগে তখন তিনি আর প্রধানমন্ত্রী থাকেন না, তখন তিনি হয়ে যান মানবতাবাদী। তার আশপাশের অনেক দানবের জ্বালায় কখনো কখনো মানব থাকেন না। সেদিন সংসদে তার মানবীয় ভাষণ বাস্তবায়ন হলে দেশের অর্ধেক হানাহানি আপনাআপনি বন্ধ হয়ে যাবে। তবে তার দলের যেসব নেতানেত্রী মুমূর্ষু খাদিজাকে দেখতে গিয়ে সেলফি তোলেন তাদের মতো অপদার্থ-অসভ্য থাকলে সর্বনাশ। আমি এখনো হাঁটাচলা করা একজন সুস্থ মানুষ কোনোখানে দাঁড়ালে সবার আগে ছুটে আসে সেলফি তুলতে। সেলফি আমি পছন্দ করি না, ঘৃণা করি। এই প্রযুক্তি যে আবিষ্কার করেছে সে সভ্য বিশ্বে একদিন না একদিন অসভ্যের খেতাব পাবে। নিশ্চয়ই প্রয়োজনে ছবি তোলা হবে, তবে সেলফি কেন? যার ছবি তোলার কেউ নেই সেই অসহায় নিজের ছবি নিজে তোলে। কিন্তু দায়িত্বশীল নেতানেত্রী হয়েও এমন মুমূর্ষু রোগীর পাশে সেলফি তোলা মানে তাদের কোনো বোধশক্তি, মনুষ্যত্ব নেই।

 

 

৬ তারিখ বারান্দায় বসে পেপার পড়ছিলাম। বারান্দায় বসলেই মায়ের সান্নিধ্য পাই। বারান্দা ঘেঁষে তার হাতে বোনা দুটি নারিকেল গাছের পাতা যখন ঝিরঝির মিরমির করে দোলে তখন মনে হয় মা যেন আমার গায় হাত বোলাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে ১৬ বছর নির্বাসনে কাটিয়ে দেশে ফিরে বারান্দায় বসলে প্রতিদিন আমার একই অনুভূতি হয় যা মা থাকতেও হতো এখনো হয়। সেদিনও তেমনটা হয়েছিল। আমার স্ত্রী নাসরীন প্রতিদিন আমার সঙ্গে পত্রিকা পড়ে। সেদিনও পত্রিকা খুলেই খাদিজার ওপর নির্মম আঘাতের ছবি দেখে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে। আমার প্রিয় বোন জননেত্রী শেখ হাসিনা সংসদে যা বলেছেন, ঠিক একইভাবে প্রিয় পত্নী বলে উঠেছিল, ‘এগুলো মানুষ! একটা মানুষকে মারছে প্রতিবাদ না করে বাধা না দিয়ে কী আরামে ছবি তুলছে? আক্রমণকারীর আগে নির্বিকার দাঁড়িয়ে থাকা ছবি তোলাদের বিচার হওয়া উচিত।’ কোনো স্ত্রী যদি স্বামীর অনুভূতিকে সমর্থন করে তাহলে তার চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কিছু হয় না। শুধু স্ত্রী নয়, ক্ষমতাবান প্রিয় বোনও একই অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন। অনেক দিন এতটা মনের জোর পাইনি। আমার প্রিয় বোন এবং স্ত্রীর সেদিনের অনুভূতি আমাকে দারুণ উজ্জীবিত ও শক্তিশালী করেছে।

একসময় নাসরীন আমার যোগ্য ছিল না। তারও আগে আমি তার যোগ্য ছিলাম না। বিয়ের পর নাসরীনকে নিয়ে আমার অন্তর্জ্বালার শেষ ছিল না। ভীষণ হতাশ এবং ক্ষুব্ধ ছিলাম। ছোটবেলা থেকেই মদ, গাঁজা, ভাং, বিড়ি, সিগারেট খাওয়ার দোষ ছিল না। মেয়েদের আগে-পাছে ঘোরার আগ্রহ ছিল না। যৌবনে আমার ভালোবাসা ছিল বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ, মা-মাটি-মানুষ। দীপ যখন এলো নাসরীন ওকে ভালোভাবে কোলেপিঠে নিত না। খাওয়া-দাওয়া, গোসলে ছিল অবহেলা। কুঁড়ির ক্ষেত্রেও তাই। সন্তান কোনো মার কাপড়ের ভাঁজ ভাঙলে মায়ের সঙ্গে জড়াজড়ি করলে বিরক্ত হয় অমন মা আমি কখনো দেখিনি। কেন যেন নাসরীন তেমনটাই ছিল। অথচ আমার মা ছিলেন বিপরীত। আমাদের জন্য কত কষ্ট কত নির্যাতন সহ্য করেছেন। সন্তানের জন্য কাপড়-চোপড়-শাড়ি, কি হাত পা কেটে গেলে বা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও উহ্-আহ্ করতেন না। আমরা সেভাবেই বড় হয়েছি। তাই নিজের পেটের সন্তানদের তাচ্ছিল্যে আমার দম বেরিয়ে যেতে চাইত। আমার বুকের জ্বালা নাসরীন বুঝত না। এজন্য দু-চার বার শক্ত মন্দও যে বলিনি তা নয়। একবার মা ডেকে বলেছিলেন, ‘বজ, জানিস নাসরীন যমজ। সঙ্গের জন মারা গেছে। ওর তো কিছু দুর্বলতা থাকবেই। তুই বড় হয়েছিস তোর দায়িত্ব অনেক। নাসরীনের দুর্বলতা তুই কাটাতে না পারলে বড় কিসের?’ মায়ের কথা মনে রাখতাম তবুও কখনো কখনো পেরে উঠতাম না। কিন্তু মার মৃত্যুর দেড়-দুই বছর পর কুশিমণি যখন এলো আমি শুধু মার প্রতিবিম্বই পাইনি, আমার স্ত্রীও পরিপূর্ণ মা হয়েছে। জীবনে কখনো তেমন কামুক ছিলাম না। তাই স্ত্রীকে মানুষের মর্যাদা দিতে চেষ্টা করেছি। আমার কুশিমণি এলে সে যেমন সন্তানের মা হয়েছে তেমনই আমার অন্তরে মায়ের মর্যাদায় আসীন হয়েছে। আজ মা আর তার মধ্যে তেমন পার্থক্য খুঁজে পাই না।

হিন্দু সম্প্রদায়ের এক মহামানব রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব যখন অনেকটাই অবতারের রূপে উঠে এসেছিলেন তখন তার স্ত্রী সারদা দক্ষিণেশ্বরে আসেন। তাকে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব মা-রূপে পূজা করেছিলেন এবং এখনো তাকে মা সারদা হিসেবেই আখ্যায়িত করা হয়। মানুষরূপী অমন অবতার হিন্দুশাস্ত্রে দ্বিতীয় কেউ নেই। আমার স্ত্রীও ইদানীং আমার কাছে প্রায় তেমন একটি আসনে আসীন হয়েছেন।

৭ অক্টোবর শত নাগরিকের রামপালে তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবির এক সভায় গিয়েছিলাম। সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী প্রধান অতিথি এবং প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ এমাজউদ্দীন আহমদ সভাপতি ছিলেন। সভাটিতে যাওয়ার জন্য প্রথম আবদুল হাই শিকদার অনুরোধ করেছিলেন। আবদুল হাই শিকদারকে ছোট ভাইয়ের মতোই ভালোবাসি। দু-এক জায়গায় দেখেছি আওয়ামী লীগ এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতি তার মারাত্মক বিদ্বেষ। হুজুর মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে আমার বাড়িতে কয়েকবার খেয়েছেন। কিছু সময় ওঠাবসা করে বুদ্ধিমান মানুষ বুঝেছেন আওয়ামী লীগ আর বঙ্গবন্ধু এক নন। বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে অযৌক্তিক কথা বললে আমার ছায়া মাড়াতে পারবেন না। তাই তিনি অনেক সংযত হয়েছেন এবং বুঝতেও চেষ্টা করছেন কতটা কী করা উচিত। শুধু হাই শিকদারের আহ্বানে যেতাম কিনা বলতে পারব না। যাকে পিতার মতো সম্মান করি সেই অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদের ফোনের পর আর না গিয়ে উপায় ছিল না। আমিও একসময় নেতাজি সুভাষ বোসের ভক্ত-অনুরক্ত ছিলাম বলে মহাত্মাজিকে পছন্দ করতাম না, অনেকটা পণ্ডিতজিকেও না। বল্লভ ভাই প্যাটেলকে তো একদম না। কিন্তু তাদের সম্পর্কে দিনের পর দিন মাসের পর মাস বছরের পর বছর এমনকি কয়েক যুগ লেখাপড়া করে বুঝতে পেরেছি তারা তাদের দিক থেকে সবাই সঠিক এবং তাদের একজনকে অপমান করে আরেকজনকে সম্মান নয়, সবাইকে যথাযথ সম্মান করা উচিত।

সভা শুরুর আগে এমাজউদ্দীন স্যারের পাশে দর্শক সারিতে বসে ছিলাম। সরাসরি পেছনে একজন ফোন ধরেই বললেন, ‘আমি জাতীয়তাবাদী— শেখ হাসিনা মিথ্যাবাদী’। কথাটা কানে আসতেই বুকের ভিতর চিড়িক দিয়ে উঠেছিল। বছর ১০-১২ আগে রাজমণি ঈশা খাঁর সামনে দুটি মহিলা হকার জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কে অকারণ জঘন্য গালি দিয়েছিল। কী অদ্ভুত। দুই দলের প্রতিহিংসা কতদূর অসহনীয় হয়ে উঠেছে। প্রয়োজনহীন গা চুলকে ঘা করার মতো। একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা অকারণ তাকে মিথ্যাবাদী বলার কোনো মানে হয়? সম্পর্কের কত অবনতি ঘটলে কেউ অমনটা করে। তাই বক্তৃতার মধ্যেও কিছুটা রেষ ছিল। আমার বুক জ্বলছিল। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার অনেক সমালোচনা করতে পারি। বোন হিসেবে মায়ের মতো যত্ন করেছেন সেটা ভুলি কী করে? মানুষ হিসেবে আমি তাকে মা বলেই মনে করি। আজীবন মনে করব। রাজনৈতিকভাবে দেশের সব থেকে বড় দুটি দলে সম্পর্কের এতটা অবনতি কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাই দুটি কথা জোর দিয়ে বলার চেষ্টা করেছি। একটি আমরা বিদ্যুৎ চাই, পরিবেশের যতটা সম্ভব দূষণ কমিয়ে। আমরা অন্ধকারে থাকতে রাজি আছি কিন্তু সুন্দরবন ধ্বংস করে আলো চাই না। আরেকটি স্বাধীনতাযুদ্ধে সাহায্য করার জন্য ভারতীয় সৈন্যের রক্তদানের জন্য আমরা ঋণী। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, আমাদের সঙ্গে এখন বড় ভাইয়ের মতো মাতাব্বরি করতে হবে। তাদের হুকুমে চলতে হবে। আমাদের বাজার হিসেবে ব্যবহার করবে। জ্ঞানের অজ্ঞতার কারণে কোনো ভারতীয় মন্ত্রী বলবেন, রাম লঙ্কা জয় করে বিভীষণকে দান করেছিলেন। আর ভারত বাংলাদেশ জয় করে আওয়ামী লীগকে দান করেছে। এ যে কী ঔদ্ধত্য, কতটা জঘন্য বোঝানো যাবে না। এতে যে ভারতের মহানুভবতা, ভারতের মহত্ত্ব ম্লান হয়ে যায় তা বোধহয় ভদ্রলোক বা ভদ্রলোকেরা মুহূর্তের জন্যও চিন্তা করেননি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা কারও দয়ার দান নয়। এটা লাখ লাখ বাঙালির রক্তে অর্জিত। ’৪৮ থেকে ’৬৫ পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের বেশ কয়েকটি যুদ্ধ হয়েছে। কোনো যুদ্ধে ভারত জেতেনি। পাকিস্তান জিতেছে তাও বলা যাবে না। বরং পরাজয় হয়েছে উভয় দেশের। উভয় দেশের নাগরিকদের কষ্ট বেড়েছে। ’৬২-তে চীনের সঙ্গে ভারত পরাজিত হয়েছিল। যে কারণে ভালো মানুষ চীনের বন্ধু পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু দারুণ মানসিক আঘাতে মারা গেছেন। একমাত্র বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারত নিরঙ্কুশ জয়ের অহংকার করতে পারে। সেটা তো মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিয়ে নয়। আমাদের রক্ত বাদ দিয়ে নয়। মুক্তিযুদ্ধের আগে বহির্বিশ্বে ভারতের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা কী ছিল তা কারও অজানা নয়। বাংলাদেশে ভারতের প্রথম হাইকমিশনার সুবিমল দত্ত। টাঙ্গাইল বিন্দুবাসিনী স্কুলের ছাত্র। উপ-রাষ্ট্রদূত ছিলেন জে এন দীক্ষিত। তারপর হাইকমিশনার হয়ে আসেন প্রবীণ কূটনীতিক একসময় জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি সমর সেন। তিনি নিজে আমাকে বেশ কয়েকবার বলেছেন, ‘টাইগার! বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের আগে আমাদের ফোন কেউ ধরত না, সাক্ষাৎ দিত না তারা এখন মধ্যরাতে ডেকে কথা কয়।’ তাই বলেছি ভারতের রক্তদান, মুক্তিযুদ্ধে তাদের সহায়তা আমরা মাথায় রাখি। কিন্তু আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়ে আমাদের রক্তস্নাত ভূখণ্ডে যুদ্ধ করার সুযোগ পেয়ে তারা যে সারা বিশ্বে বিজয়ীর মর্যাদা পেয়েছে, সম্মান পেয়েছে তার জন্য আমাদের কি কোনো অবদান নেই? তাই শত নাগরিকের মঞ্চে বলেছি বা বলার চেষ্টা করেছি, স্বাধীন দেশে বাস করে যারা বঙ্গবন্ধুর ন্যক্কারজনক সমালোচনা করেন তাদের মতো আমাদের স্বাধীনতার জন্য যারা বহির্বিশ্বে এত দুর্লভ মর্যাদা পেয়েছে তারা শতবর্ষ বাঙালির পা ধুয়ে পানি খেলেও ঋণ শোধ হবে কিনা জানি না। আমার কাছে এমনিতেই ভারত প্রিয়। কারণ আমার যৌবন কেটেছে সেখানে। তার পরও বাস্তব সত্য বলছি, আমরাই শুধু ভারতের কাছে ঋণী, ভারত আমাদের কাছে ঋণী নয়? তা কি হয়?

প্রিয় ভগ্নির সেদিন সংসদে সমাপনী ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়েই কথাগুলো বললাম। আমি যা নিয়ে ১০ বছর ধরে চিৎকার করছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেদিন সংসদে সে কথাই বলায় গর্বে বুক ভরে গেছে। তাই বলছি পরপর দুটি শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর ডাক্তাররা তাদের মৃত ঘোষণা করলেন। অথচ তারা দুজনই একজন কবরের কাছে আরেকজন মায়ের পাশে কেঁদে ওঠে। এটা যে চিকিৎসকদের কত অপমান অযোগ্যতা-অদক্ষতার প্রমাণ, সারা দুনিয়া খুঁজলে দ্বিতীয়টা পাওয়া যাবে না। যারা শিশুদের মৃত ঘোষণা করেছিলেন তাদের তিন চৌদ্দ বিয়াল্লিশবার ফাঁসি দিলেও প্রকৃত শাস্তি হবে না। প্রিয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একসময় যুবলীগ করেছি। মনসুর ভাইয়ের ছেলে তিনি। পা থেকে মাথা পর্যন্ত রাজনীতিক। এ ব্যাপারে তার এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঠিক পদক্ষেপ বা ভূমিকা প্রত্যাশা করছি।

লেখক : রাজনীতিক।

এই বিভাগের আরও খবর
বস্ত্র খাত হুমকিতে
বস্ত্র খাত হুমকিতে
ভীতিকর অপরাধ পরিসংখ্যান
ভীতিকর অপরাধ পরিসংখ্যান
পীরের সোহবতে প্রজ্ঞাবান আলেম
পীরের সোহবতে প্রজ্ঞাবান আলেম
লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর ‘ছোটি সি কাম’
লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর ‘ছোটি সি কাম’
সভ্য আমেরিকার অন্য কাহিনি
সভ্য আমেরিকার অন্য কাহিনি
বৈদেশিক মিশন
বৈদেশিক মিশন
আইনশৃঙ্খলা
আইনশৃঙ্খলা
আল্লাহর নামে অসত্য কসম গুনাহের কাজ
আল্লাহর নামে অসত্য কসম গুনাহের কাজ
অধ্যাত্ম প্রেম
অধ্যাত্ম প্রেম
নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়
নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়
স্বপ্ন দেখানো ও দেখার ঐতিহ্য
স্বপ্ন দেখানো ও দেখার ঐতিহ্য
অন্যায় দেখে চুপ থাকাও অন্যায়
অন্যায় দেখে চুপ থাকাও অন্যায়
সর্বশেষ খবর
দক্ষতা দিবসে ১১ তরুণ পেলেন জাতীয় পুরস্কার
দক্ষতা দিবসে ১১ তরুণ পেলেন জাতীয় পুরস্কার

১০ মিনিট আগে | জাতীয়

৫ দিনের রিমান্ডে ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার প্রধান নেতা মাহফুজ
৫ দিনের রিমান্ডে ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার প্রধান নেতা মাহফুজ

৫০ মিনিট আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ জুলাই)

৫৪ মিনিট আগে | জাতীয়

সুন্দরগঞ্জে মোটরসাইকেল-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ১
সুন্দরগঞ্জে মোটরসাইকেল-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ১

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দুধে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে কিশোরী ধর্ষণ, যাবজ্জীবন সাজা
দুধে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে কিশোরী ধর্ষণ, যাবজ্জীবন সাজা

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলায় ২০ জুলাই পরিবহণ ধর্মঘট
চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলায় ২০ জুলাই পরিবহণ ধর্মঘট

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সিলেবাস সংস্কারে ইউনিসেফের সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি
সিলেবাস সংস্কারে ইউনিসেফের সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফেসবুক ও মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাক করে চলত প্রতারণা, গ্রেফতার ৪
ফেসবুক ও মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাক করে চলত প্রতারণা, গ্রেফতার ৪

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিক্ষার্থী সেবায় বাউবির সমন্বিত পরিকল্পনা
শিক্ষার্থী সেবায় বাউবির সমন্বিত পরিকল্পনা

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভালুকায় মা ও দুই শিশুকে গলা কেটে হত্যা: গ্রেফতার দেবর নজরুল
ভালুকায় মা ও দুই শিশুকে গলা কেটে হত্যা: গ্রেফতার দেবর নজরুল

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন ঠেকানোর জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে : টুকু
নির্বাচন ঠেকানোর জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে : টুকু

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জবি ছাত্রদলের তিন নেতাকে বহিষ্কার, দুইজনকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
জবি ছাত্রদলের তিন নেতাকে বহিষ্কার, দুইজনকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যশোরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪ পরিবারকে সেনাবাহিনীর সহায়তা
যশোরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪ পরিবারকে সেনাবাহিনীর সহায়তা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাইয়ে নারীদের সাহসী উত্থান উদযাপনে ঢাকায় মশাল মিছিল
জুলাইয়ে নারীদের সাহসী উত্থান উদযাপনে ঢাকায় মশাল মিছিল

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জবির প্রশাসনিক ভবনে শিক্ষার্থীদের তালা, অবরুদ্ধ উপাচার্য
জবির প্রশাসনিক ভবনে শিক্ষার্থীদের তালা, অবরুদ্ধ উপাচার্য

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রিট করেও পরিষদে আসছেন না পলাতক চেয়ারম্যানরা
রিট করেও পরিষদে আসছেন না পলাতক চেয়ারম্যানরা

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাংলাদেশিদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেবে মালয়েশিয়া
বাংলাদেশিদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেবে মালয়েশিয়া

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৮ বছর পর টেস্ট দলে ফিরলেন লিয়াম ডসন
৮ বছর পর টেস্ট দলে ফিরলেন লিয়াম ডসন

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সুন্দরবনে দুটি নৌকাসহ পাঁচ জেলে আটক
সুন্দরবনে দুটি নৌকাসহ পাঁচ জেলে আটক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাদারীপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল
মাদারীপুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ১১
মালয়েশিয়ায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ১১

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চোখের নিচের ত্বকে সব প্রসাধনী নয়
চোখের নিচের ত্বকে সব প্রসাধনী নয়

৪ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

দুই বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস
দুই বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সুন্দরবনে নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরায় পাঁচ জেলে আটক
সুন্দরবনে নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরায় পাঁচ জেলে আটক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নীতি সুদহার কমিয়ে ৮ শতাংশ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক
নীতি সুদহার কমিয়ে ৮ শতাংশ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঢামেক হাসপাতালের সামনে থেকে দুই দালাল আটক
ঢামেক হাসপাতালের সামনে থেকে দুই দালাল আটক

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: আসামি মহিন দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: আসামি মহিন দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সরকারি হলো আরও এক বিদ্যালয়
সরকারি হলো আরও এক বিদ্যালয়

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সোনারগাঁয়ে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে সভা
সোনারগাঁয়ে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে সভা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে চার স্কুলে ব্যতিক্রমী বইমেলা
চট্টগ্রামে চার স্কুলে ব্যতিক্রমী বইমেলা

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সর্বাধিক পঠিত
সেই সতর্কবার্তা এখন গুরুত্ব পাচ্ছে, রাজনীতিতে কাদা ছোড়াছুড়ি চরমে
সেই সতর্কবার্তা এখন গুরুত্ব পাচ্ছে, রাজনীতিতে কাদা ছোড়াছুড়ি চরমে

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাজা ছাড়াই কারাগারে ৩০ বছর, অবশেষে মুক্তি!
সাজা ছাড়াই কারাগারে ৩০ বছর, অবশেষে মুক্তি!

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের ভিসা জটিলতায় বাংলাদেশিদের চিকিৎসার নতুন গন্তব্য চীনের কুনমিং
ভারতের ভিসা জটিলতায় বাংলাদেশিদের চিকিৎসার নতুন গন্তব্য চীনের কুনমিং

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে ১০টি পরিকল্পিত অপপ্রচার ও তথ্যভিত্তিক বাস্তবতা
মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে ১০টি পরিকল্পিত অপপ্রচার ও তথ্যভিত্তিক বাস্তবতা

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১৪৪টি দলের কোনোটিই ‘উত্তীর্ণ’ হতে পারেনি, সময় পাচ্ছে আরও ১৫ দিন
১৪৪টি দলের কোনোটিই ‘উত্তীর্ণ’ হতে পারেনি, সময় পাচ্ছে আরও ১৫ দিন

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘যুদ্ধবিরতিতে বিশ্বাস করে না ইরান, যে কোনো অভিযানের জন্য প্রস্তুত’
‘যুদ্ধবিরতিতে বিশ্বাস করে না ইরান, যে কোনো অভিযানের জন্য প্রস্তুত’

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৭ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড উইন্ডিজের
২৭ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড উইন্ডিজের

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে রাশিয়াকে ৫০ দিনের আল্টিমেটাম ট্রাম্পের
ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে রাশিয়াকে ৫০ দিনের আল্টিমেটাম ট্রাম্পের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেন মস্কোতে আঘাত হানতে পারবে কি না জানতে চেয়েছেন ট্রাম্প
ইউক্রেন মস্কোতে আঘাত হানতে পারবে কি না জানতে চেয়েছেন ট্রাম্প

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে গাজায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত
ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে গাজায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন কেনিয়ার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন কেনিয়ার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অর্থমন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করলেন জেলেনস্কি
নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অর্থমন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করলেন জেলেনস্কি

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কোনোভাবেই পিআর পদ্ধতি চায় না বিএনপি
কোনোভাবেই পিআর পদ্ধতি চায় না বিএনপি

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সকালে রসুন খাওয়ার উপকারিতা
সকালে রসুন খাওয়ার উপকারিতা

১৮ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বিয়ে ও সন্তান গ্রহণে আগ্রহ কমছে তরুণদের
বিয়ে ও সন্তান গ্রহণে আগ্রহ কমছে তরুণদের

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরী আর নেই
এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরী আর নেই

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরাকে মার্কিন কোম্পানির তেল ক্ষেত্রে ড্রোন হামলা, উৎপাদন বন্ধ
ইরাকে মার্কিন কোম্পানির তেল ক্ষেত্রে ড্রোন হামলা, উৎপাদন বন্ধ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেফতার
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেফতার

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৪৬৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, স্ত্রীসহ শামীম ওসমানের নামে মামলা
৪৬৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন, স্ত্রীসহ শামীম ওসমানের নামে মামলা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাড়বে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা, টানা ৫ দিন বর্ষণের আভাস
বাড়বে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা, টানা ৫ দিন বর্ষণের আভাস

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেতানিয়াহুর সরকার থেকে বেরিয়ে গেল ইসরায়েলের কট্টরপন্থী দল ইউটিজে
নেতানিয়াহুর সরকার থেকে বেরিয়ে গেল ইসরায়েলের কট্টরপন্থী দল ইউটিজে

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আ. লীগ সরকারের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব ধরনের চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে : অর্থ উপদেষ্টা
আ. লীগ সরকারের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব ধরনের চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে : অর্থ উপদেষ্টা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিরাজগঞ্জে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড ৪ গ্রাম
সিরাজগঞ্জে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড ৪ গ্রাম

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র : ডা. জাহিদ
সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র : ডা. জাহিদ

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রাম্পের আল্টিমেটামের তোয়াক্কা করে না রাশিয়া
ট্রাম্পের আল্টিমেটামের তোয়াক্কা করে না রাশিয়া

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বদলি আদেশ ছিঁড়ে এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
বদলি আদেশ ছিঁড়ে এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ওড়িশায় যৌন হয়রানির বিচার না পেয়ে গায়ে আগুন দেয়া সেই ছাত্রী মারা গেছে
ওড়িশায় যৌন হয়রানির বিচার না পেয়ে গায়ে আগুন দেয়া সেই ছাত্রী মারা গেছে

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার ফাঁদ, দুবাইয়ে ১০০,০০০ দিরহাম হারালেন এক ভারতীয়!
হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার ফাঁদ, দুবাইয়ে ১০০,০০০ দিরহাম হারালেন এক ভারতীয়!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ জুলাই)

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সুনির্দিষ্ট সময়েই নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার: প্রেস সচিব
সুনির্দিষ্ট সময়েই নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার: প্রেস সচিব

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফের প্রতিহিংসা রাজনীতিতে
ফের প্রতিহিংসা রাজনীতিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

কী হবে সত্যজিৎ রায়ের বাড়িটির
কী হবে সত্যজিৎ রায়ের বাড়িটির

পেছনের পৃষ্ঠা

পারিবারিক দুর্নীতির প্রতিযোগিতা
পারিবারিক দুর্নীতির প্রতিযোগিতা

প্রথম পৃষ্ঠা

জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে দুদকে তলব
জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে দুদকে তলব

পেছনের পৃষ্ঠা

অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকলেই যেতে হবে ডিটেনশন সেন্টারে
অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকলেই যেতে হবে ডিটেনশন সেন্টারে

পেছনের পৃষ্ঠা

কমছে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা
কমছে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

ঢাকাই চলচ্চিত্রে তারকাদের যত খেতাব
ঢাকাই চলচ্চিত্রে তারকাদের যত খেতাব

শোবিজ

প্রেমাদাসায় জিততে চায় টাইগাররা
প্রেমাদাসায় জিততে চায় টাইগাররা

মাঠে ময়দানে

ওএমএস ডিলার নিয়োগে ঘুষবাণিজ্যের অভিযোগ খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে
ওএমএস ডিলার নিয়োগে ঘুষবাণিজ্যের অভিযোগ খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে

নগর জীবন

রাজ্জাকের মুখে চাচি ডাক শুনে আমি হতাশ : আনোয়ারা
রাজ্জাকের মুখে চাচি ডাক শুনে আমি হতাশ : আনোয়ারা

শোবিজ

বৃষ্টি হলেই ভোগান্তি ঢাকায়
বৃষ্টি হলেই ভোগান্তি ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

কোন্ডা ইউনিয়ন এখন বিরানভূমি
কোন্ডা ইউনিয়ন এখন বিরানভূমি

নগর জীবন

আলম আরা মিনুর ‘জানা ছিল না’
আলম আরা মিনুর ‘জানা ছিল না’

শোবিজ

ষড়যন্ত্রের জালে বন্দি গণতন্ত্র?
ষড়যন্ত্রের জালে বন্দি গণতন্ত্র?

প্রথম পৃষ্ঠা

ঐকমত্যে নতুন অনৈক্য
ঐকমত্যে নতুন অনৈক্য

প্রথম পৃষ্ঠা

দুশ্চিন্তায় মোহামেডান-আবাহনী
দুশ্চিন্তায় মোহামেডান-আবাহনী

মাঠে ময়দানে

দুই ঘণ্টায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ১২ রোগী ভর্তি
দুই ঘণ্টায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ১২ রোগী ভর্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

কারিনার রূপরহস্য
কারিনার রূপরহস্য

শোবিজ

পদ্মার দুই ইলিশ সাড়ে ১৪ হাজারে বিক্রি
পদ্মার দুই ইলিশ সাড়ে ১৪ হাজারে বিক্রি

পেছনের পৃষ্ঠা

মালয়েশিয়া থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত
মালয়েশিয়া থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত

প্রথম পৃষ্ঠা

সভ্য আমেরিকার অন্য কাহিনি
সভ্য আমেরিকার অন্য কাহিনি

সম্পাদকীয়

সোহানের রাইডার্সের সামনে সাকিবের ক্যাপিটালস
সোহানের রাইডার্সের সামনে সাকিবের ক্যাপিটালস

মাঠে ময়দানে

ভীতিকর অপরাধ পরিসংখ্যান
ভীতিকর অপরাধ পরিসংখ্যান

সম্পাদকীয়

বিএনপি নেতার গলায় পুলিশের মালা!
বিএনপি নেতার গলায় পুলিশের মালা!

পেছনের পৃষ্ঠা

মিথ্যা গুজবে অস্বস্তিতে শতাধিক কর্মকর্তা
মিথ্যা গুজবে অস্বস্তিতে শতাধিক কর্মকর্তা

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যাডমিন্টনে ৫০০’র ওপরে ম্যাচ
ব্যাডমিন্টনে ৫০০’র ওপরে ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

ছাত্রলীগকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার দাবি এবি পার্টির
ছাত্রলীগকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার দাবি এবি পার্টির

পেছনের পৃষ্ঠা

নিবন্ধনপ্রত্যাশী রাজনৈতিক দলগুলোর যত ভুল
নিবন্ধনপ্রত্যাশী রাজনৈতিক দলগুলোর যত ভুল

প্রথম পৃষ্ঠা

রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে বুধবার
রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে বুধবার

পেছনের পৃষ্ঠা