শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ০৫ আগস্ট, ২০১৭ আপডেট:

তিন বিপ্লবী মনীষীর কারাবাস

যতীন সরকার
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
তিন বিপ্লবী মনীষীর কারাবাস

‘মার্কসবাদ হচ্ছে একমাত্র তত্ত্ব যা সামাজিক স্ববিরোধিতা থেকে বেরিয়ে আসার একটা উপায় জানে।’— হাঙ্গেরির প্রখ্যাত মার্কসবাদী সৌন্দর্যতত্ত্ববিদ ও দার্শনিক গিওর্গি লুকাচের এই বক্তব্যের সঙ্গে আমি পরিচিত হয়েছিলাম বাংলাদেশের বিশিষ্ট মার্কসবাদী  চিন্তক প্রয়াত রণেশ দাশগুপ্তের লেখা পড়ে। মার্কসীয় তত্ত্বের যথাযথ অনুধাবনার মাধ্যমে সামাজিক স্ববিরোধিতা থেকে বেরিয়ে আসার উপায় রণেশ দাশগুপ্তও জেনে গিয়েছিলেন এবং আমাদেরও সেই উপায় জানিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। তার সব লেখাতেই এই দায়িত্ব-চেতনার পরিচয় বিধৃত হয়ে আছে। গিওর্গি লুকাচের মতোই রণেশ দাশগুপ্তও ‘মার্কসীয় সৌন্দর্যতত্ত্বের অফুরন্ত খনি’র সন্ধান পেয়েছিলেন।

বাংলাদেশে যারা এই খনির সন্ধান পেয়েছিলেন, এ রকম আর দুজন বিপ্লবী মনীষীর নাম এই মুহূর্তে একান্ত শ্রদ্ধাভরে আমি স্মরণ করছি— সত্যেন সেন ও সরদার ফজলুল করিম। সত্যেন সেন (১৯০৭-১৯৮১), রণেশ দাশগুপ্ত (১৯১২-১৯৯৭) আর সরদার ফজলুল করিম (১৯২৫-২০১৪)— এই তিনজনই মার্কসীয় তত্ত্বের খনি থেকে অনেক অনেক মণি-মাণিক্য আহরণ করে এনেছিলেন। অভিন্ন খনি থেকে আহূত তত্ত্বের ভিন্ন ভিন্ন মাত্রা উদ্ঘাটনের লক্ষ্যেই এরা কলম হাতে তুলে নিয়েছিলেন। শুধু কলম নয়, এদের সমগ্র জীবনই নিয়োজিত হয়েছিল এই লক্ষ্যে।

এদের লক্ষ্যভ্রষ্ট করার জন্য শত্রুরা কম চেষ্টা করেনি। রাষ্ট্র ও সমাজের কর্তৃত্বশীল গোষ্ঠীর প্রায় সবাই ছিল এদের শত্রু। ব্রিটিশ ও পাকিস্তানিদের শাসনামলে, এমনকি স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রেও, এরা নানাভাবে নির্যাতিত হয়েছেন— কারাদণ্ড ভোগ করেছেন, আত্মগোপনে থেকেছেন, দেশান্তরে গমনেও বাধ্য হয়েছেন। তবুও কোনো বিপর্যয়ই এদের লক্ষ্যচ্যুত করতে পারেনি। বিশেষ করে কারাবাস তো বরং এদের সৃষ্টিশীলতার প্রবাহকে অনেক বেশি বেগবানই করে তুলেছে। এদের জীবনকথা পাঠ করে আমরা জেনেছি : সত্যেন সেনের চুয়াত্তর বছরের জীবনের বিশ বছরই কেটেছে কারাগারে; পঁচাশি বছর বয়সে যার জীবনাবসান ঘটে, সেই রণেশ দাশগুপ্ত কারাগারে কাটিয়েছেন তেরো বছর; আর জীবনমঞ্চে যার অধিবাস ছিল ঊননব্বই বছর, এগারো বছর ছিল সেই সরদার ফজলুল করিমের কারাজীবন।

কারাবাসকালে সৃজনশীলতার সবচেয়ে বেশি উৎসারণ ঘটিয়েছেন সত্যেন সেন। কৃষক নেতা, সংস্কৃতি-আন্দোলনের  সংগঠক ও বিশিষ্ট গণসংগীত-রচয়িতা রূপে যিনি পরিচিত ছিলেন, সেই সত্যেন সেনই লেখক (মূলত উপন্যাসকার) হন ষাটের দশকে কারাবাসকালে, দেশে যখন চলছে পাকিস্তানের জঙ্গি ‘দেশনায়ক’ আইয়ুব খানের জংলি শাসন। পরিহাসের সুরে তিনি বলতেন, ‘আমার সবচেয়ে বেশি উপকার করেছে সেই মানুষটি, যে মানুষটির হাতে দেশের সবচেয়ে বেশি অপকার হয়েছে।’

সত্যেন সেনের এই পরিহাসোক্তিটির তাৎপর্য ব্যাখ্যার আগে আরেকটা কথা বলে নিই। সে কথাটি হলো : গণশত্রুরা সত্যেন সেনের মতো মানুষদের কারান্তরালে অথবা দ্বীপান্তরে পাঠিয়ে দিয়ে তাদের ভিতরকার অনেক অজ্ঞতার অন্তরাল ঘুচিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রেও সাহায্য করেছে। বলা যায়, অপকার করতে গিয়েই তাদের অনেক উপকার করে ফেলেছে। সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ শাসকরা আন্দামান দ্বীপে নির্বাসনে পাঠিয়েছিল যাদের, সেই রাজদ্রোহীদের অনেকে নির্বাসিত জীবনেই সারা পৃথিবী থেকে সাম্রাজ্যবাদ-উৎসাদনের প্রকৃত পথের সন্ধান পেয়েছিলেন এবং সাম্যবাদ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার মন্ত্র লাভ করেছিলেন।

নির্বাসন থেকে মুক্তি লাভ করে জনগণের ভিতর সেই মন্ত্র ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তারা কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দিলেন। মূলত এদের সনিষ্ঠ উদ্যোগেই এই উপমহাদেশে কমিউনিস্ট আন্দোলন জোরদার হয়ে উঠেছিল।

সত্যেন সেনের দ্বীপান্তর হয়নি। কমিউনিজমে তিনি দীক্ষা নিয়েছিলেন কারাবন্দী হয়ে। ব্রিটিশ আমলে প্রাক-কমিউনিস্ট জীবনে সত্যেন সেন ও তার দুজন সহযোগী পুলিশের হাতে ধরা পড়ার আগে খুলনার কমিউনিস্ট নেতা নারায়ণ ব্যানার্জির কাছে আশ্রয় চাইতে গিয়েছিলেন। কিন্তু কমরেড নারায়ণ ব্যানার্জি আশ্রয় না দিয়ে তাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন যে তারা ভুল রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

কমরেড ব্যানার্জি তাদের বলে দিয়েছিলেন, ‘তোমাদের অবিলম্বে ধরা পড়া দরকার। কিছুকাল জেলে আটকে থাকলে এই জঞ্জালগুলো থেকে মুক্ত হয়ে তোমরা পড়াশোনা করার ও সমস্ত দিক বিবেচনা করে সুস্থভাবে চিন্তা করার সুযোগ পাবে। এই  কারণেই শেল্টার জোগাড় করে দেওয়ার ব্যাপারে আমি তোমাদের সাহায্য করতে পারব না। তোমাদের ভালোর জন্যই এবং তোমাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই আমি তা করব না।’ তার এই কথাগুলো স্মরণ করে অনেক পরে আত্মস্মৃতিমূলক একটি রচনায় সত্যেন সেন লিখেছিলেন, ‘অবশেষে নারায়ণদার মনষ্কামনা পূর্ণ হলো— পরপর আমরা সবাই ধরা পড়ে গেলাম। নারায়ণদার ভবিষ্যদ্বাণী অক্ষরে অক্ষরে ফলে গেল। বাইরের ঝামেলা থেকে মুক্ত হয়ে জেলখানার অনুকূল  পরিবেশে পড়াশোনা করার ও সুস্থ মনে চিন্তা করার অবকাশ-সুযোগ পেলাম। তার মধ্য দিয়েই সমাজতন্ত্রবাদের সঙ্গে পরিচয় ঘটল, তাকে আদর্শ বলে গণ্য করলাম।’

সত্যেন সেনের নিজের উক্তি থেকেই আমরা জানলাম যে কারাবন্দী হয়েই সমাজতন্ত্রবাদ তথা মার্কসবাদের সঙ্গে তার পরিচয় ঘটে, একেই তিনি ‘আদর্শ’ বলে গণ্য করেন। যে আদর্শ তার জীবনভাবনা ও জীবনাচরণে আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে ফেলে, জীবনমঞ্চ থেকে বিদায় নেওয়ার পূর্বক্ষণেও তিনি সেই আদর্শেরই অনুশীলন করে গেছেন। সত্যেন সেনের চেয়ে বয়সে পাঁচ বছরের ছোট রণেশ দাশগুপ্ত। কারাগারে গিয়ে তিনি মার্কসবাদী হননি, মার্কসবাদী রূপেই তিনি কারাবন্দী হন। ১৯৪৮ সালের মার্চ মাসে বাংলা ভাষার পক্ষে প্রচার করতে গিয়ে রণেশ দাশগুপ্ত অন্য কয়েকজনের সঙ্গে গ্রেফতার হয়ে জেলে যান এবং অল্প কয়েক দিন পরই মুক্ত হয়ে কমিউনিস্ট পার্টির পুনর্গঠনে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করেন। এ সময়েই ৩০ জুন ঢাকার করোনেশন পার্কে পার্টি-সভায় বক্তৃতাদানের অপরাধে (!) ৭ জুলাই  গ্রেফতার হয়ে কারাগারে কাটান ৭ বছর ৮ মাস, মুক্তি পান ১৯৫৫ সালের অক্টোবরে। আবার ’৬২ সালে সামরিক আদেশবলে কারাবন্দী হয়ে মুক্তি পান ’৬৩ সালে। এরপর তাকে কারাগারে আটকে থাকতে হয় ’৬৫ থেকে ’৬৮ পর্যন্ত।

কয়েক পর্যায়ে দীর্ঘ কারাবাসকালে চিন্তায়-চেতনায় তিনি নিজেকে যেমন সমৃদ্ধ করেছেন ও সৃষ্টিশীলতার উৎসারণ ঘটিয়েছেন, তেমনই সহবন্দীদেরও সমৃদ্ধ করে তুলেছেন এবং অনেকের ভিতর সৃষ্টিশীলতার উৎসারণ ঘটানোয় অনুঘটকের দায়িত্বও পালন করেছেন।

১৯৪৮-৪৯ সালের দিকে উপমহাদেশের কমিউনিস্ট তথা বামপন্থিরা উগ্র বামপন্থার অনুসারী হয়ে পড়েছিল। একান্ত ‘খণ্ডিত’ হলেও উনিশ  শতকের বাংলায় যে রেনেসাঁসের মতো একটা ব্যাপার সংঘটিত হয়েছিল, সেই ঐতিহাসিক সত্যকে কোনোমতেই অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু তেমন অস্বীকৃতিই জানিয়ে বসেছিল বিশ শতকের চল্লিশ দশকের বাংলার বামপন্থিদের প্রধান অংশটি। রামমোহন থেকে রবীন্দ্রনাথ— এ রকম সব মনীষীর মনীষা ও সদর্থক অবদানের অবমূল্যায়নে তারা উঠেপড়ে লেগেছিল। অথচ রণেশ দাশগুপ্ত সে সময়েই তার বামপন্থি সহবন্দীদের চিন্তার জ্যাড্যমুক্তি ঘটাতে ও তাদের প্রায় সবাইকেই রবীন্দ্র-অনুরাগী করে তুলতে সক্ষম হন এবং সবাইকেই নিয়ে কারাগারেই রবীন্দ্রজয়ন্তী উদ্যাপন করেন। সে সময়কার কারাবাসের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে মৃদু পরিহাসের সঙ্গে তিনি লিখেছিলেন, ‘১৯৪৮ থেকে ১৯৫০ পর্যন্ত আমি জেলে। কমিউনিস্ট পার্টির কর্মীকে বাইরে রাখা হবে না বলে জেলে রাখা হলো। শুধু কমিউনিস্ট নয়, যারা যুব-ছাত্র আন্দোলন করছে, আওয়ামী লীগ করছে, তাদেরও রাতারাতি জেলে ভরা হলো।’

তাদের যারা জেলে ভরেছিল, কাজটা তারা খুব একটা খারাপ করেনি বলেই আমি মনে করি! কারণ বাইরে যারা এখানে ওখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল, তাদেরই একত্র সম্মিলিত হওয়ার সুযোগটা করে দিয়েছিল তারা— অর্থাৎ যারা ছিল তখনকার ‘পাকিস্তান’ নামক জঘন্য রাষ্ট্রটির মাথামোটা শাসকগোষ্ঠী ও তাদের সহযোগী! ওদের জানা ছিল না যে, একত্র সম্মিলিত করা হয়েছিল যে মানুষগুলোকে, সেই মানুষগুলো কারাগারে অবস্থান করেই মানবমুক্তির পাঠ গ্রহণ করবে এবং সেই পাঠদানের জন্য কারাগারেই আছেন রণেশ দাশগুপ্তের মতো শিক্ষক। শুধু শিক্ষক নন, একাধারে তিনি তাদের ‘ফ্রেন্ড, ফিলোসফার অ্যান্ড গাইড’।

এ সম্পর্কে সৌমিত্র শেখর লিখেছেন,

‘বিনাবিচারে নানা জেলে দীর্ঘসময় আটক থাকাকালে রণেশ দাশগুপ্ত রাজবন্দীদের শিরোমণিতে পরিণত হন। এ সময়ে কখনো তিনি বন্দীদের নিয়ে আন্দোলন করেছেন, কখনো তাদের শিক্ষা দিয়েছেন বিশ্বসাহিত্য, রাজনীতি বা সংস্কৃতির রূপান্তর প্রসঙ্গ। এ সময়ে রাষ্ট্রভাষার দাবিতে আন্দোলন দানা বাঁধে, যার সফল পরিণতি পায় ১৯৫২ সালে। এ আন্দোলন-সংগ্রামের পরিপ্রেক্ষিতে যশোর ও রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন জেল থেকে বদলি হয়ে রণেশ দাশগুপ্তের ঠাঁই হয় ঢাকা জেলে।

১৯৫৩ সালে ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা-আন্দোলনের প্রথম বার্ষিকীতে জেলখানাতেই অভিনয় করার উপযোগী একটি নাটক লেখার জন্য রণেশ দাশগুপ্ত অনুরোধ করেন আরেক বন্দী মুনীর চৌধুরীকে। রণেশ দাশগুপ্তের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতেই রচিত এবং জেলখানাতে অভিনীত হয় মুনীর চৌধুরীর বিখ্যাত নাটক ‘কবর’। জেলখানাতে অবস্থানকালেই রণেশ দাশগুপ্ত উর্দুভাষা ভালোভাবে শিখে ফেলেন। এর ফলে উর্দু কবিদের কবিতা অনুবাদের ক্ষেত্রে তিনি দক্ষতার পরিচয় দেন।’

[রণেশ দাশগুপ্ত রচনাবলি প্রথম খণ্ড (ঢাকা-২০১২) ভূমিকা অংশ দ্রষ্টব্য]

আর সরদার ফজলুল করিম? রণেশ দাশগুপ্ত ও সত্যেন সেনের তুলনায় তার কারাজীবনের পরিধি  যদিও অনেক কম, তবু গুরুত্বের বিচারে কম নয় মোটেই। বর্ণাঢ্যতার দিক দিয়ে কিছুটা বেশি বরং।

বিগত শতকের চল্লিশের দশকেই সরদার ফজলুল করিম মার্কসবাদের সঙ্গে পরিচিত হন এবং জীবনভর এই মার্কসবাদকেই তার জীবনদর্শন রূপে দৃঢ়তার সঙ্গে ধরে রাখেন। কারাবাস তথা কারাযন্ত্রণা ভোগের ভিতর দিয়ে সেই জীবনদর্শনে তার আস্থা যে দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হয়ে উঠেছে, বিভিন্ন জনের সঙ্গে তার আলাপচারিতায় ও কিছু কিছু লেখায় তারই পরিচয় পাই। বিশেষ করে ২০১০ সালে ঢাকার ‘জাতীয় প্রকাশনী’ থেকে কাফি রতনের সম্পাদনায় প্রকাশিত ‘অনশনে আত্মদান’ বইটির চারটি প্রবন্ধে সরদার ফজলুল করিম তার ‘কারাজীবনের বিভিন্ন অধ্যায় বর্ণনা করেছেন’ এবং ‘কারা অভ্যন্তরে কমিউনিস্ট রাজবন্দীদের ওপর পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর নৃশংসতা তুলে ধরেছেন।’ তার ‘অনশনে আত্মদান’ শীর্ষক প্রবন্ধের সর্বশেষ বাক্যটি হলো— ‘৪৭-এর পরে পূর্ব পাকিস্তান তথা পূর্ব বাংলার সব জেলের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক বন্দীরা যে অসহনীয় অত্যাচার ভোগের মধ্য দিয়ে জীবন অতিবাহিত করেছে এবং প্রাণান্তকর যে প্রয়াস দ্বারা নিজেদের রাজনৈতিক চেতনা এবং মনোবলকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছে, সে কাহিনী পূর্ব বাংলার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসের এক মহৎ অনুপ্রেরণার কাহিনী।’

কিন্তু প্রশ্ন : সেই মহৎ অনুপ্রেরণায় কি আমরা প্রাণিত হয়েছি? ইতিহাসের উত্তরাধিকার বহনের দায় কি আমরা বহন করেছি? সরদার ফজলুল করিমের মতো মহৎ বিপ্লবীদের স্মৃতি কি বিস্মৃত হয়ে যাইনি আমরা?

প্রশ্নগুলোর উত্তরে ‘না’ কথাটি উচ্চারণ না করে পারা যাবে না যেমন, তেমনই ‘হ্যাঁ’ বলতে পারার মতো অবস্থা সৃষ্টি করার দায়িত্বও আমরা অস্বীকার করতে পারব না। সেই দায়িত্ব পালনের জন্য প্রথমেই জেনে বুঝে নিতে হবে সেই তত্ত্বটিকে, যে তত্ত্বের প্রকৃষ্ট অনুশীলনের মাধ্যমে সরদারের মতো বিপ্লবী মনীষীরা কারাভ্যন্তরে ‘অসহনীয় অত্যাচারের মধ্য দিয়ে জীবন অতিবাহিত করে’ ও ‘নিজেদের রাজনৈতিক চেতনা ও মনোবলকে’ অক্ষুণ্ন রাখতে পেরেছেন। সেই তত্ত্বটিই ‘দ্বন্দ্বমূলক ও ঐতিহাসিক বস্তুবাদ’, সাধারণ পরিচয় যার ‘মার্কসবাদ’ নামে। মার্কসবাদের জীবনসুধা আকণ্ঠ পান করেছিলেন বলেই বরিশালের ‘কৃষকের পোলা’ সরদার ফজলুল করিমকে ‘মানবজমিন রইলো পতিত’ বলে হাহাকার করতে হয়নি; মেরুদণ্ড সোজা ও মাথা উঁচু করে রেখে জীবনের সব ক্ষেত্রেই চাষবাস করে সোনা ফলিয়ে যেতে পেরেছেন তিনি; পেরেছেন কারাজীবনকেও ফলপ্রসূ কর্মজীবনে পরিণত করে তুলতে।

কারাবন্দী থাকাকালেই তিনি যে পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন, সে বিষয়টি সম্পর্কে তার আত্মকথন : ‘পাকিস্তানের গণপরিষদে আমার নির্বাচিত হওয়ার ব্যাপারটা আমার নিজের নিকট যতটা অপরিচিত এবং তাৎপর্যহীন বলে বোধ হোক না কেন, বাইরের জগতে বিভিন্ন মহলে এটি বেশ তাৎপর্যময় বলে চিহ্নিত হতে লাগল। যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন বিজয়টাকেই সেদিন মার্কিন মহল আতঙ্কের চোখে দেখেছিল। পাকিস্তানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সমগ্র পূর্ববঙ্গ কমিউনিস্টকবলিত বলে শোরগোল তুলেছিল এবং এ কে ফজলুল হক সাহেবকে তার কলকাতায় প্রদত্ত কিছু আবেগমিশ্রিত উক্তির ভিত্তিতে ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ বলে আখ্যায়িত করার চেষ্টা করেছিল এবং সে অজুহাতেই ইসকান্দার মির্জা হক সাহেবকে গৃহবন্দী পর্যন্ত করেছিলেন। তারা একে কমিউনিস্ট বিজয় বলে চিহ্নিত করে পাকিস্তান সরকারকে জবাবদিহি করেছিল। কিন্তু উচ্চতর রাজনীতির এসব কথা আমার মতো গোবেচারীর পক্ষে অনুধাবন করা সহজ ছিল না। আমার সঙ্গে এসব ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার যোগাযোগটি পরবর্তীকালে বোঝা গিয়েছিল।’

‘অনশনে আত্মদান’ পৃষ্ঠা-৬০

’৫৮ সালে পাকিস্তানে আইয়ুব খানের সামরিক শাসন জারি হলে সরদার আবার গ্রেফতার হন এবং জেলে থাকেন ’৫৮-এর শেষ দিক থেকে ’৬২-এর ডিসেম্বর মাসের শেষ পর্যন্ত। এর আগের বছর, ’৫৭ সালে তিনি বিবাহিত জীবনে প্রবেশ করেন। শান্তনু মজুমদারের সঙ্গে কথোপকথনে তিনি জানান, ‘বাষট্টির ডিসেম্বরে আমি পারিবারিক ব্যবস্থাপনায় জেল থেকে বেরিয়ে আসি।... জেলে আসার সময় ছয় মাস বয়সের একটা বাচ্চা রেখে এসেছি। আমার ওয়াইফ একজন শিক্ষক। তার কান্নাকাটি আমাকে স্পর্শ করে। এমন একটা অবস্থায়, আমার মধ্যে যে বোধটা বেড়ে ওঠে তা হলো আমার পরিবারের পাশে দাঁড়ানো উচিত। এই বোধ থেকেই আমি বন্ড দিয়ে বেরিয়ে আসতে রাজি হই। তা না হলে কারও পক্ষে আমাকে বন্ড দিয়ে বেরিয়ে আসায় রাজি করানো সম্ভব ছিল না।...

জেল থেকে বেরিয়ে আমি আর রাজনীতিতে সরাসরি যুক্ত থাকলাম না। আবার একেবারে যে নিষ্ক্রিয় থাকলাম তাও নয়। আমি পর্যবেক্ষকের ভূমিকা নিলাম। কিন্তু তাই বলে আমাকে যারা ভালোবাসতেন যারা আমার আদর্শ ছিলেন তারা আমার উপর থেকে ভালোবাসা প্রত্যাহার করে নিলেন না। আমাকে ঘৃণা করতে শুরু করলেন না। শত্রু মনে করলেন না। আমি তখন পরিবারটিকে টিকিয়ে রাখার সংগ্রামে এমনকি ল কলেজেও ভর্তি হলাম। পরে তেষট্টির ডিসেম্বর মাসে বাংলা একাডেমিতে যোগদান করলাম।’

‘জীবন জয়ী হবে’ (ঢাকা-২০০৪) পৃষ্ঠা-৫৮

কিন্তু বাংলা একাডেমিতে কর্মরত হয়েও তিনি যে মুক্ত জীবনযাপন করতে পেরেছিলেন, তেমন কথা বলা যাবে না। পাকিস্তানের গণবিরোধী শাসকরা তাকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখেন এবং তার গতিবিধি ঢাকা শহরের বিশেষ এলাকায় সীমিত করে দেন। অর্থাৎ জেলের বাইরে এসেও এক ধরনের বন্দীদশাতেই তাকে কাটাতে হয়েছে।

তবু এ রকম বন্দীদশায়ও অনেক কৌশলে (অথচ নীতি থেকে একচুলও বিচ্যুত না হয়ে) তিনি তার আদর্শিক কর্মপ্রবাহকে অব্যাহত রেখেছেন। এ অবস্থাতেই এ দেশে যখন রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা-সংগ্রাম শুরু হলো, তখন সেই একাত্তর সালে, আবার তাকে কারাগারে যেতে হলো।

এরপর স্বাধীন বাংলাদেশে তার তেতাল্লিশ বছরের জীবন। ১৯১৪ সালের ১৫ জুন ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি জীবনমঞ্চ থেকে বিদায় গ্রহণ করেন। তার বর্ণাঢ্য জীবন সম্পর্কে  অনেক কথাই বলার আছে, অনেক কথা বলার আছে সত্যেন সেন ও রণেশ দাশগুপ্ত সম্পর্কেও, অনেকেই বলেছেনও। আমি এই লেখায় এই তিন বিপ্লবী মনীষীর কারাজীবন সম্পর্কে নতুন প্রজন্মের মানুষদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করলাম মাত্র।

     লেখক : শিক্ষাবিদ।

এই বিভাগের আরও খবর
আল্লাহর কাছে যারা সবচেয়ে সম্মানিত
আল্লাহর কাছে যারা সবচেয়ে সম্মানিত
কৃত্রিম সারসংকট
কৃত্রিম সারসংকট
খানাখন্দে ভরা সড়ক
খানাখন্দে ভরা সড়ক
অবক্ষয়ের চোরাবালিতে আলোর দিশারি
অবক্ষয়ের চোরাবালিতে আলোর দিশারি
জুতোয় ঢোকার অধিকার
জুতোয় ঢোকার অধিকার
ইস্তিগফারের উপকারিতা
ইস্তিগফারের উপকারিতা
মরণযাত্রা
মরণযাত্রা
আলোকবর্তিকা সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
আলোকবর্তিকা সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
মানবতাবিরোধী অপরাধ
মানবতাবিরোধী অপরাধ
চিত্রাপাড়ে ডাঙায় সুলতানের বজরা
চিত্রাপাড়ে ডাঙায় সুলতানের বজরা
সর্বনাশা পুতুলনাচের রাজনীতি!
সর্বনাশা পুতুলনাচের রাজনীতি!
পুনর্জাগরণের নেতা তারেক রহমান
পুনর্জাগরণের নেতা তারেক রহমান
সর্বশেষ খবর
গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর, কিন্তু রয়ে গেছে অনেক প্রশ্ন
গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর, কিন্তু রয়ে গেছে অনেক প্রশ্ন

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাটা বাংলাদেশের প্রথম নারী এমডি ফারিয়া ইয়াসমিন
বাটা বাংলাদেশের প্রথম নারী এমডি ফারিয়া ইয়াসমিন

৫ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

আল্লাহর কাছে যারা সবচেয়ে সম্মানিত
আল্লাহর কাছে যারা সবচেয়ে সম্মানিত

৬ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

রোমাঞ্চকর ক্রীড়া শহর বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটি
রোমাঞ্চকর ক্রীড়া শহর বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটি

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় অস্ত্র হাতে হামাসের টহল
গাজায় অস্ত্র হাতে হামাসের টহল

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বসুন্ধরা স্মার্ট সিটিতে আস্থা বিনিয়োগকারীর
বসুন্ধরা স্মার্ট সিটিতে আস্থা বিনিয়োগকারীর

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা: এআই প্রযুক্তির নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা সেবা
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা: এআই প্রযুক্তির নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা সেবা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বনেতাদের উপস্থিতিতে মিসরে গাজা শান্তিচুক্তি সই
বিশ্বনেতাদের উপস্থিতিতে মিসরে গাজা শান্তিচুক্তি সই

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে ডিপ ফ্রিজ থেকে নারীর লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
রাজধানীতে ডিপ ফ্রিজ থেকে নারীর লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিশ্বমানের আয়োজনের প্রাণকেন্দ্র আইসিসিবি
বিশ্বমানের আয়োজনের প্রাণকেন্দ্র আইসিসিবি

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাকসু নির্বাচনে ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম’ গঠনের দাবি
চাকসু নির্বাচনে ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম’ গঠনের দাবি

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রথম নিজস্ব এআই চিপ বানাচ্ছে ওপেনএআই
প্রথম নিজস্ব এআই চিপ বানাচ্ছে ওপেনএআই

৭ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্র  প্রতিষ্ঠা না হলে মধ্যপ্রাচ্য ধ্বংস হয়ে যাবে’
‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হলে মধ্যপ্রাচ্য ধ্বংস হয়ে যাবে’

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিদ্ধিরগঞ্জে হেরোইনসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
সিদ্ধিরগঞ্জে হেরোইনসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আমিরাতে শুরু হচ্ছে প্রবাসী প্রিমিয়ার ফুটবল লীগ
আমিরাতে শুরু হচ্ছে প্রবাসী প্রিমিয়ার ফুটবল লীগ

৮ ঘণ্টা আগে | পরবাস

নতুন পরিচয়ে আসছেন তাসনিয়া ফারিণ
নতুন পরিচয়ে আসছেন তাসনিয়া ফারিণ

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

লড়াই করেও হারল টাইগ্রেসরা
লড়াই করেও হারল টাইগ্রেসরা

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট, মাদাগাস্কারে মানুষের উল্লাস
পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট, মাদাগাস্কারে মানুষের উল্লাস

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তবুও অনিশ্চিত পথে গাজা?
তবুও অনিশ্চিত পথে গাজা?

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রোমে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে অধ্যাপক ইউনূসের বৈঠক
রোমে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে অধ্যাপক ইউনূসের বৈঠক

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিক্ষোভের মুখে দেশ ছেড়ে পালালেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট, দাবি রিপোর্টে
বিক্ষোভের মুখে দেশ ছেড়ে পালালেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট, দাবি রিপোর্টে

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘কিছু দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল’
‘কিছু দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল’

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সোনারগাঁয়ে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে গণসংযোগ
সোনারগাঁয়ে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে গণসংযোগ

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অসামাজিক কাজে রাজি না হওয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ
অসামাজিক কাজে রাজি না হওয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এবার ভরিতে ৪৬১৮ টাকা বেড়েছে স্বর্ণের দাম
এবার ভরিতে ৪৬১৮ টাকা বেড়েছে স্বর্ণের দাম

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা অস্পষ্ট: রাশিয়া
ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা অস্পষ্ট: রাশিয়া

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রিয়াদে এক মঞ্চে বলিউডের তিন খান
রিয়াদে এক মঞ্চে বলিউডের তিন খান

১০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এমপিওভূক্ত শিক্ষকদের লাঠিপেটা অপ্রত্যাশিত : সাদা দল
এমপিওভূক্ত শিক্ষকদের লাঠিপেটা অপ্রত্যাশিত : সাদা দল

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়লেন স্বর্ণা
দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়লেন স্বর্ণা

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৪ অক্টোবর ৫৬তম বিশ্ব মান দিবস
১৪ অক্টোবর ৫৬তম বিশ্ব মান দিবস

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির আহ্বান, ট্রাম্পের ভাষণ চলাকালে ইসরায়েলের পার্লামেন্টে হট্টগোল
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির আহ্বান, ট্রাম্পের ভাষণ চলাকালে ইসরায়েলের পার্লামেন্টে হট্টগোল

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হামাসের ‘নতুন করে অস্ত্রসজ্জিত’ হওয়ার বিষয়ে মার্কিন অনুমোদন রয়েছে: ট্রাম্প
হামাসের ‘নতুন করে অস্ত্রসজ্জিত’ হওয়ার বিষয়ে মার্কিন অনুমোদন রয়েছে: ট্রাম্প

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কেটি পেরি ও ট্রুডোর রোমান্স প্রকাশ্যে
কেটি পেরি ও ট্রুডোর রোমান্স প্রকাশ্যে

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আফগানিস্তানের হামলার নিন্দায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, কড়া জবাবের হুঁশিয়ারি
আফগানিস্তানের হামলার নিন্দায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, কড়া জবাবের হুঁশিয়ারি

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার ভরিতে ৪৬১৮ টাকা বেড়েছে স্বর্ণের দাম
এবার ভরিতে ৪৬১৮ টাকা বেড়েছে স্বর্ণের দাম

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

দুর্নীতি ও গাড়িকাণ্ড : ঢাকার সাবেক সিএমএম রেজাউল বরখাস্ত
দুর্নীতি ও গাড়িকাণ্ড : ঢাকার সাবেক সিএমএম রেজাউল বরখাস্ত

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের সব জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
ইসরায়েলের সব জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অভিনেত্রী নয়, এবার যে পরিচয়ে আসছেন ফারিণ
অভিনেত্রী নয়, এবার যে পরিচয়ে আসছেন ফারিণ

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

‘অস্থায়ী কারাগার’ প্রসঙ্গে যা বললেন চিফ প্রসিকিউটর
‘অস্থায়ী কারাগার’ প্রসঙ্গে যা বললেন চিফ প্রসিকিউটর

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলে পৌঁছালেন ট্রাম্প
ইসরায়েলে পৌঁছালেন ট্রাম্প

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তবুও অনিশ্চিত পথে গাজা?
তবুও অনিশ্চিত পথে গাজা?

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাবি-ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে মধ্যরাতে সংঘর্ষ
ঢাবি-ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে মধ্যরাতে সংঘর্ষ

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার ভাগ্য নির্ধারণ করবে সামনে থাকা ২৪ ম্যাচ
বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার ভাগ্য নির্ধারণ করবে সামনে থাকা ২৪ ম্যাচ

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পাকিস্তান-আফগানিস্তান সংঘাত নিয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্প
পাকিস্তান-আফগানিস্তান সংঘাত নিয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্প

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নতুন কর্মসূচি ‘মার্চ টু সচিবালয়’
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নতুন কর্মসূচি ‘মার্চ টু সচিবালয়’

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হামাসকে পুনরায় অস্ত্র সংগ্রহের অনুমতি দিলেন ট্রাম্প
হামাসকে পুনরায় অস্ত্র সংগ্রহের অনুমতি দিলেন ট্রাম্প

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিক্ষোভের মুখে দেশ ছেড়ে পালালেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট, দাবি রিপোর্টে
বিক্ষোভের মুখে দেশ ছেড়ে পালালেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট, দাবি রিপোর্টে

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারাদেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি শুরু
সারাদেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি শুরু

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রথমদিনে টাইফয়েডের টিকা নিলো ১০ লাখ শিশু
প্রথমদিনে টাইফয়েডের টিকা নিলো ১০ লাখ শিশু

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০০ তালেবানকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের
২০০ তালেবানকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আমার কোনো অপরাধ নেই, তাহলে কেন সেফ এক্সিটের জন্য পাগল হবো’
‘আমার কোনো অপরাধ নেই, তাহলে কেন সেফ এক্সিটের জন্য পাগল হবো’

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্র চীনকে সাহায্য করতে চায়, ক্ষতি নয়: ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্র চীনকে সাহায্য করতে চায়, ক্ষতি নয়: ট্রাম্প

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ভুল বোঝাবুঝিটা আমার দিক থেকেই হয়েছিল’
‘ভুল বোঝাবুঝিটা আমার দিক থেকেই হয়েছিল’

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সংসদ ভোট ও গণভোট একসঙ্গে হলে আম-ছালা দুটোই যাবে: তাহের
সংসদ ভোট ও গণভোট একসঙ্গে হলে আম-ছালা দুটোই যাবে: তাহের

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জরিমানা দিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন মালয়েশিয়ার অবৈধ বাংলাদেশিরা
জরিমানা দিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন মালয়েশিয়ার অবৈধ বাংলাদেশিরা

১৯ ঘণ্টা আগে | পরবাস

ইতিহাস গড়লেন স্মৃতি মান্ধানা
ইতিহাস গড়লেন স্মৃতি মান্ধানা

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাম্প বিমান থেকে গাজার জিম্মি মুক্তির লাইভ স্ট্রিমিং দেখেছেন
ট্রাম্প বিমান থেকে গাজার জিম্মি মুক্তির লাইভ স্ট্রিমিং দেখেছেন

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পিআর পদ্ধতির সিদ্ধান্ত আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান
পিআর পদ্ধতির সিদ্ধান্ত আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্র  প্রতিষ্ঠা না হলে মধ্যপ্রাচ্য ধ্বংস হয়ে যাবে’
‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হলে মধ্যপ্রাচ্য ধ্বংস হয়ে যাবে’

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
কিছুই থাকে না বিএনপির
কিছুই থাকে না বিএনপির

প্রথম পৃষ্ঠা

রাখাইন নয়, রোহিঙ্গাদের ভিন্ন জায়গা দিতে চায় মিয়ানমার
রাখাইন নয়, রোহিঙ্গাদের ভিন্ন জায়গা দিতে চায় মিয়ানমার

পেছনের পৃষ্ঠা

কতটা প্রস্তুত হামজারা?
কতটা প্রস্তুত হামজারা?

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মধ্যরাতে র‌্যাগিং ১৬ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
মধ্যরাতে র‌্যাগিং ১৬ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

পেছনের পৃষ্ঠা

জুতোয় ঢোকার অধিকার
জুতোয় ঢোকার অধিকার

সম্পাদকীয়

ভুটানের জলবিদ্যুতে লাভবান হবে বাংলাদেশ
ভুটানের জলবিদ্যুতে লাভবান হবে বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির পাঁচ মনোনয়নপ্রত্যাশী জামায়াত প্রার্থীর জোর প্রচার
বিএনপির পাঁচ মনোনয়নপ্রত্যাশী জামায়াত প্রার্থীর জোর প্রচার

নগর জীবন

সচিবালয় গেটে অবস্থান জুলাই যোদ্ধাদের
সচিবালয় গেটে অবস্থান জুলাই যোদ্ধাদের

প্রথম পৃষ্ঠা

জামায়াত বিষয়ে হেফাজত আমিরের বক্তব্য ব্যক্তিগত
জামায়াত বিষয়ে হেফাজত আমিরের বক্তব্য ব্যক্তিগত

পেছনের পৃষ্ঠা

মাঠে বিএনপি জামায়াত ইসলামী আন্দোলন
মাঠে বিএনপি জামায়াত ইসলামী আন্দোলন

নগর জীবন

টিকা মানেই টাকা
টিকা মানেই টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

অস্থির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
অস্থির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

পেছনের পৃষ্ঠা

সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়ল ৬ টাকা
সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়ল ৬ টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনে শক্তিশালী দল হবে এনসিপি
নির্বাচনে শক্তিশালী দল হবে এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপিকে ক্ষমতায় চান ব্যবসায়ীরা
বিএনপিকে ক্ষমতায় চান ব্যবসায়ীরা

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকা সেনানিবাসের ভবনকে সাময়িক কারাগার ঘোষণা
ঢাকা সেনানিবাসের ভবনকে সাময়িক কারাগার ঘোষণা

প্রথম পৃষ্ঠা

আরেক দফা পরিবর্তন আসছে অঙ্গীকারনামায়
আরেক দফা পরিবর্তন আসছে অঙ্গীকারনামায়

প্রথম পৃষ্ঠা

রাবিতে শেষ মুহূর্তে জমজমাট প্রচার
রাবিতে শেষ মুহূর্তে জমজমাট প্রচার

পেছনের পৃষ্ঠা

এনসিপির মধ্যে কিংস পার্টির আচরণ
এনসিপির মধ্যে কিংস পার্টির আচরণ

নগর জীবন

আন্তর্জাতিক ঘোষণা কক্সবাজার বিমানবন্দরকে
আন্তর্জাতিক ঘোষণা কক্সবাজার বিমানবন্দরকে

প্রথম পৃষ্ঠা

নভেম্বরে গণভোট চায় জামায়াত
নভেম্বরে গণভোট চায় জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

সাময়িক বরখাস্ত সাবেক সিএমএম রেজাউল করিম
সাময়িক বরখাস্ত সাবেক সিএমএম রেজাউল করিম

পেছনের পৃষ্ঠা

সংসদ ভোট ও গণভোট একসঙ্গে হলে আম-ছালা দুটোই যাবে
সংসদ ভোট ও গণভোট একসঙ্গে হলে আম-ছালা দুটোই যাবে

নগর জীবন

দিনদুপুরে যুবককে গলা কেটে হত্যা
দিনদুপুরে যুবককে গলা কেটে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির ১৬৭ নেতা কর্মীকে অব্যাহতি
মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির ১৬৭ নেতা কর্মীকে অব্যাহতি

পেছনের পৃষ্ঠা

পিআর ইস্যু আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দিতে হবে
পিআর ইস্যু আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দিতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

পাক-আফগান সংঘাতও বন্ধ করতে চান ট্রাম্প
পাক-আফগান সংঘাতও বন্ধ করতে চান ট্রাম্প

প্রথম পৃষ্ঠা

সন্ধ্যা নামলেই ভূতুড়ে ভাঙ্গা গোলচত্বর
সন্ধ্যা নামলেই ভূতুড়ে ভাঙ্গা গোলচত্বর

পেছনের পৃষ্ঠা

অন্তর্বর্তী সরকার অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে
অন্তর্বর্তী সরকার অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে

নগর জীবন