বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা
তাভেলা সিজার হত্যা

বিএনপির কাইয়ুমসহ ৭ জনের বিচার শুরু

আদালত প্রতিবেদক

ইতালির নাগরিক তাভেলা সিজার হত্যা মামলায় বিএনপি নেতা কাইয়ুমসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত। একই সঙ্গে আগামী ২৪ নভেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। গতকাল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. কামরুল হোসেন মোল্লা এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শাহ আলম তালুকদার ও তাপস কুমার পাল জানান, এ মামলার অভিযোগ গঠনের আগে সাত আসামির মধ্যে পাঁচজনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। বাকি দুই আসামি পলাতক। অভিযোগ গঠনের আগে আদালতে উপস্থিত পাঁচ আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চেয়েছেন। শুনানি শেষে বিচারক অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন। এর ফলে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। তবে অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাবেন বলে জানিয়েছেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। এর আগে চলতি বছর ২৮ জুন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ডিবি) গোলাম রাব্বানী আদালতে সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে আদালত ২৪ আগস্ট অভিযোগপত্রটি আমলে নিয়ে পলাতক দুই আসামি কাইয়ুম ও সোহেলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিরা হলেন—ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার এম এ কাইয়ুম, কাইয়ুমের ভাই আবদুল মতিন, তামজিদ আহমেদ ওরফে রুবেল, রাসেল চৌধুরী, মিনহাজুল আরেফিন ওরফে ভাগনে রাসেল, শাখাওয়াত হোসেন ও ভাঙ্গারি সোহেল। এ সাত আসামির মধ্যে তামজিদ, রাসেল চৌধুরী, মিনহাজুল ও শাখাওয়াত আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আসমিদের মধ্যে কাইয়ুম ও ভাঙ্গারি সোহেল পলাতক। তবে সোহেলের পরিবারের অভিযোগ, গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে অক্টোবরে সোহেলকে মধ্য বাড্ডা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। এরপর তার আর কোনো সন্ধান মেলেনি। এর আগে গত বছর ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গুলশান ২ নম্বরের ৯০ নম্বর সড়কের ফুটপাথে তাভেলা সিজারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে গোয়েন্দা পুলিশের দাবি করে, দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে কাইয়ুমের পরিকল্পনা ও অর্থায়নে তাভেলা সিজারকে হত্যা করা হয়। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ছিলেন মতিন। তিনি অন্যদের ভাড়া করেন। শুক্রবার র‍্যাব এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছিল, গত ১৪ মাসে গুলশানের হলি আর্টিজানসহ সারা দেশে যে ২২টি জঙ্গি হামলা হয়েছে, এর নেতৃত্ব দিয়েছেন সারোয়ার জাহান। এই সারোয়ার জাহানই নব্য জেএমবির প্রধান (আমির)। তার সাংগঠনিক নাম ‘শাইখ আবু ইব্রাহিম আল হানিফ’।

আর তার নেতৃত্বে প্রথম হামলার শিকার হন তাভেলা সিজার।

সর্বশেষ খবর