সোমবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

পরিবহন ধর্মঘটে অচল দেশ

ভয়াবহ ভোগান্তি, পোড়া মবিল মেখে দিয়ে নৈরাজ্য, রেহাই পায়নি কলেজছাত্রী অ্যাম্বুলেন্সও

নিজস্ব প্রতিবেদক

পরিবহন ধর্মঘটে অচল দেশ

রাজধানীতে গতকাল রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সও রক্ষা পায়নি। মাখিয়ে দেওয়া হয়েছে পোড়া মবিল (বামে)। গাড়ি নিয়ে বের হওয়া এক চালকের দুর্দশা। দুই হাত দিয়ে ঢেকে ওদের হাত থেকে বাঁচার চেষ্টা। ছবি : সংগৃহীত

‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’-এর কয়েকটি ধারা সংশোধনসহ আট দফা দাবিতে পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের প্রথম দিন গতকাল রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ব্যাপক নৈরাজ্যের ঘটনা ঘটেছে। কেবল ব্যক্তিগত গাড়ি নয়, ধর্মঘট আহ্বানকারীদের আক্রমণ থেকে রেহাই পায়নি রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সও। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় বেশ কয়েকজন চালকের মুখে পোড়া মবিল, কালো রং ও আলকাতরা মাখিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন সাধারণ যাত্রীরাও। তবে ধর্মঘট আহ্বানকারী পরিবহন শ্রমিক নেতারা বলছেন, আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে এ ঘটনা ঘটানো হতে পারে। এর পেছনে কোনো চক্রান্ত থাকতে পারে বলেও মনে করছেন তারা। তবে তারা তাদের দাবি আদায়ের ক্ষেত্রে অটল থাকার কথা বলেছেন। প্রয়োজনে আগামীকাল থেকে পুনরায় ধর্মঘট আহ্বান করার কথা ভেবে রেখেছেন তারা। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ধর্মঘটের মধ্যেও বিভিন্ন এলাকায় ছিল তীব্র যানজট। সকাল থেকে সরকারি মালিকানাধীন বিআরটিসির কিছুসংখ্যক বাস ছাড়া কোনো গণপরিবহন রাস্তায় দেখা না গেলেও সড়কে ছিল ব্যক্তিগত গাড়ি এবং রাইড শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে চলাচলকারী গাড়ি, মোটরসাইকেল ও সিএনজি-অটোরিকশাসহ অন্যান্য পরিবহনের চাপ। তবে যাত্রাবাড়ী ও গাবতলী এলাকায় পরিবহন সংকট ছিল তীব্র। ওই সব এলাকায় অফিসমুখী অনেক যাত্রীকে ময়লার গাড়িতে চড়ে যেতে দেখা গেছে। রাইড শেয়ারিং করেন এমন অনেক মোটরবাইকচালকও গতকাল নিয়েছেন বিশেষ সুযোগ। অ্যাপসের মাধ্যমে না গিয়ে হাঁকিয়েছেন নিজের মতো করে ভাড়া। অসহায় যাত্রীরা তাদের প্রস্তাবেই সাড়া দিতে বাধ্য হয়েছেন। পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে সকাল থেকে নগরীর মহাখালী, গাবতলী, যাত্রাবাড়ী, মিরপুর ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে আন্তনগরসহ দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। স্টেশনে আসা সাধারণ যাত্রীরা পড়েছিলেন বিপাকে। বাংলামোটর এলাকায় কথা হয় মাইক্রোবাসচালক ফরহাদ উদ্দীনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘মাঝেমধ্যে অফিসের কাজ শেষে এর মাধ্যমে রাইড শেয়ারিং করতাম। কল আসত অনেক কম। কিন্তু আজ সকাল থেকে অনেক বেশি কল আসছে। সে কারণে রাস্তায় রয়েছি।’ নাজমুল হোসেন নভেল বলেন, ‘সবাই জিম্মি করতে খুব পছন্দ করে এটা বোঝা গেছে। আজ বাইকচালকরাও সুযোগ নিচ্ছে। কেউই অ্যাপসের মাধ্যমে যেতে আগ্রহী নয়। বাধ্য হয়েই তাদের কথা মানতে বাধ্য হচ্ছি রে ভাই।’ ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রুস্তম আলী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘এসব ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে কেউ কেউ হয়তো এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। আমি পরিবহন শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে এসব বিষয়ে কথা বলেছি।’

গতকালের নৈরাজ্যের বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনে এমনটি হওয়ার কথা নয়। আমাদের আন্দোলনে কোনো অবরোধ হবে না। রাস্তায় ব্যারিকেড হবে না। যাত্রাবাড়ীতে যে ছেলেটা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে, তাকে চিহ্নিত করে তার ফেডারেশনের কার্ড জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে এসব ঘটনার নেপথ্যে কারও ইন্ধন আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তৃতীয় পক্ষ সুবিধা নিতে পারে এমন আশঙ্কায় আমরা এগুলো পরিহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ প্রসঙ্গত, এর আগে ৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদে সদ্য পাস হওয়া সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনসহ সাত দফা দাবিতে পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা ধর্মঘট শুরু হয়েছিল। ওই সময় ৯ অক্টোবর সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছিলেন ট্রাক পরিবহন শ্রমিকরা। কিন্তু শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) কেরানীগঞ্জে ট্রাকচালক-শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক শ্রমিক নিহত হন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবার একই দাবি নিয়ে ফুঁসে উঠেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। এর পরই এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন তারা।

শুধু রাজধানী ঢাকা নয়, সারা দেশের সব জেলায়ই পরিবহন শ্রমিকদের কম-বেশি নৈরাজ্য ছিল। অন্য জেলাগুলো থেকে ঢাকা বা অন্য কোনো স্থানে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি। টিকিট কাউন্টারগুলোও ছিল বন্ধ। ফলে চরম বিপাকে পড়েন দূরপাল্লার যাত্রীরা। তাদের অনেককে বাস টার্মিনালে পরিবার-পরিজনসহ অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। আবার অনেকে বাস না পেয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। জেলাগুলোর অভ্যন্তরীণ রুটেও চলাচল করেনি কোনো গণপরিবহন। ফলে অফিসগামী সরকারি-বেসরকারি কর্মচারী ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অনেককে এ সময় পায়ে হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশে ছুটতে দেখা গেছে। অনেকে আবার রিকশা, ভ্যান, সিএনজি, লেগুনা, ইজিবাইকে সওয়ার হয়েছেন। এর সুযোগ নিয়েছেন এসব যানবাহনের চালকরা। ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করেছেন তারা। কোথাও কোথাও তিনগুণ পর্যন্ত ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—

বেনাপোল (যশোর) : পরিবহন ধর্মঘটের কারণে গতকাল সকাল থেকে দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল বন্দরে মালামাল খালাস প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। তবে বন্দরের অভ্যন্তরে ভারতীয় ট্রাক থেকে পণ্য আনলোড করে শেডে রাখার কাজ চলছে। স্বাভাবিক রয়েছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-বাণিজ্য। তবে বাংলাদেশে থেকে কোনো পণ্যবোঝাই ট্রাক ভারতে যায়নি। ভারত থেকে আসা পাসপোর্টধারী শত শত যাত্রী আটকা পড়েছে বেনাপোল চেকপোস্টে। দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে নারী-শিশুসহ বৃদ্ধ রোগী যাত্রীরা। অনেকেই বিকল্প ব্যবস্থায় ভ্যান, রিকশা, টেম্পো ও রেলে করে স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছে। আবার স্থানীয় আবাসিক হোটেল ও পরিবহন কাউন্টারে অনেককে অবস্থান করতে দেখা গেছে। তবে বেনাপোল থেকে দূরপাল্লার কোনো পরিবহন ছেড়ে যায়নি। বেনাপোল বন্দর এলাকায় কয়েকশ পণ্যবোঝাই ট্রাক ভারতে রপ্তানির অপেক্ষায় আটকে আছে। পরিবহন শ্রমিকরা এসব ট্রাক ভারতে যেতে বাধা দিচ্ছেন।

চট্টগ্রাম : পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। নগরীর সড়কগুলোতে রিকশা-অটোরিকশা ছাড়া অন্য যানবাহন তেমন নেই। দূরপাল্লার যানবাহন ও পণ্যবাহী কোনো পরিবহন চলাচল করেনি। ফলে দেশের অন্যান্য জেলা থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন চট্টগ্রাম। শুধু নগরীর নিউমার্কেট থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত তিন নম্বর রুটের বাস চলাচল করেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এ রুটে বাস চলাচলে বাধা দিচ্ছেন না পরিবহন শ্রমিকরা। গতকাল সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ব্যক্তিগত গাড়ি, অটোরিকশা, হিউম্যান হলার, টেম্পো চোখে পড়লেও বাস কিংবা পণ্যবাহী কোনো গাড়ি চলাচল করতে দেখা যায়নি। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থান চট্টগ্রাম বন্দর এলাকা, শাহ আমনত সেতু সংযোগ এলাকা, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, জিইসি, ইস্পাহানি, অলঙ্কার মোড়, টাইগারপাস, দেওয়ানহাট ও বাদামতলী এলাকায় গাড়ির অপেক্ষায় থাকা মানুষের দুর্ভোগ ছিল সীমাহীন। গন্তব্যে যেতে না পেরে অনেকেই ফিরে গেছেন। ধর্মঘটে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে অফিস, স্কুল-কলেজগামী হাজার হাজার মানুষকে। এদিকে গণপরিবহন চলাচল না করায় রিকশা ও অটোরিকশাচালকরা ৫০-৬০ টাকার ভাড়া ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত আদায় করেছেন।

সিলেট : পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘটে দিনভর ভোগান্তির শিকার হয়েছেন সিলেটের যাত্রীরা। গতকাল ভোর ৬টা থেকে সিলেটের সব কটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেন শ্রমিকরা। ফলে টার্মিনালে এসে যাত্রীদের ফিরে যেতে হয়। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন সিলেটে বেড়াতে আসা পর্যটকরা। বাস না পেয়ে তারা ফিরতে পারেননি নির্দিষ্ট গন্তব্যে। অনেকে শেষ ভরসা হিসেবে রেলস্টেশনে গিয়েও টিকিট না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরেছেন। কর্মবিরতি চলাকালে সকালের দিকে সিএনজি অটোরিকশা, টেম্পো, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস চলাচল করলেও দুপুর থেকে শ্রমিকরা এসব যান চলাচলেও বাধা দেন। শ্রমিকদের বাধার কারণে বন্ধ হয়ে যায় সব ধরনের যান চলাচল। ফলে দিনভর ভোগান্তিতে পড়তে হয় বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া যাত্রীদের।

কুমিল্লা : পরিবহন ধর্মঘটে অচল হয়ে পড়েছে কুমিল্লা। গতকাল সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পদুয়ার বাজার ও আলেখার চর বিশ্বরোডসহ বিভিন্ন এলাকায় পরিবহন শ্রমিকরা যানবাহন চলাচলে বাধা দেন। এ সময় তারা মহাসড়কে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। তারা শিক্ষার্থীবাহী কয়েকটি পরিবহনের চালকদের মুখে পোড়া মবিল মেখে দেন। এ ছাড়া কুমিল্লা-নোয়াখালী, কুমিল্লা-চাঁদপুর, কুমিল্লা-সিলেট এবং জেলার বিভিন্ন আঞ্চলিক মহাসড়কে বিক্ষোভ প্রদর্শনসহ শ্রমিকরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। তারা সড়কে মারমুখী আচরণ করেন। ধর্মঘটের কারণে নগরীর জাঙ্গালিয়া কেন্দ্রীয় বাসস্টেশন, শাসনগাছা, চকবাজার বাসস্টেশন থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। এতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়ে এবং সড়ক-মহাসড়ক জুড়ে যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

রাজশাহী : সংসদে পাস হওয়া ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’-এর কয়েকটি ধারা সংশোধনসহ আট দফা দাবিতে গতকাল ভোর ৬টা থেকে সারা দেশের মতো রাজশাহীতেও ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট শুরু হয়েছে। ধর্মঘট শুরু হওয়ার পর থেকেই যাত্রীদের মধ্যে চরম ভোগান্তি নেমে আসে। বিশেষ করে সপ্তাহের প্রথম দিনই অফিসমুখী সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা পড়েন ভোগান্তিতে। এ ছাড়া সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসব খেতুর ধামে যেতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষরাও চরম ভোগান্তিতে পড়ে।

ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহে গতকাল ভোর ৬টা থেকে পরিবহন শ্রমিকদের ৪৮ ঘণ্টার ‘কর্মবিরতি’ শুরু হয়েছে। সকাল থেকেই নগরীর চারটি বাসস্ট্যান্ড থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। উপজেলার সঙ্গেও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। শুধু বাস নয়, বন্ধ রয়েছে পণ্য বহনকারী ট্রাক, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। সকালে নগরীর মাসকান্দা আন্তজেলা বাস টার্মিনাল, টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ড, ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড ও পাটগুদাম ব্রিজ মোড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীরা যানবাহন না পেয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এ ছাড়া নগরীর টাউন হল মোড়, চরপাড়া মোড়, পাটগুদাম ব্রিজ মোড় থেকে ছেড়ে যায়নি সিএনজিচালিত অটোরিকশা। অন্যদিকে সড়কে যান না পেয়ে অনেকেই ট্রেনে চেপে ঢাকাসহ বিভিন্ন গন্তব্যে যান। ঢাকাগামী দুটি আন্তনগর ট্রেনে ছিল উপচে পড়া ভিড়।

খুলনা : ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটে দূরপাল্লার সব বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে খুলনার সোনাডাঙ্গা, রয়েলের মোড়, রূপসা বাসস্ট্যান্ড থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস চলাচল করেনি। টিকিট কাউন্টারগুলো বন্ধ রয়েছে। এসব স্থানে মানুষকে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। অনেকে বিকল্প উপায়ে অটোরিকশা, মাইক্রোবাস, পিকআপ ও ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল ব্যবহার করে গন্তব্যে ছুটেছেন। এর জন্য তাদের গুনতে হয়েছে বাড়তি টাকা। খুলনা থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সবজি, মাছসহ মালামাল আনা-নেওয়া বন্ধ রয়েছে।

দিনাজপুর : দেশের অন্যান্য স্থানের মতো দিনাজপুরেও ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি শুরু করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। কর্মবিরতির ফলে গতকাল ভোর ৬টা থেকে দিনাজপুরের সব রুটে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। শনিবার শহরসহ আশপাশের এলাকায় ধর্মঘটের সমর্থনে মাইকিং করা হয়েছে। গতকাল সকাল থেকে পরিবহন শ্রমিকরা হিলি স্থলবন্দরের চারমাথা মোড়, সিপি রোডসহ বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে পিকেটিং করেন। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পাসপোর্টে আসা যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। দূরপাল্লার গাড়ি না থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে তাদের। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়ে আছে। তবে হিলি স্থলবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। এ ছাড়া দিনাজপুর থেকে দূরপাল্লার এবং অভ্যন্তরীণ কোনো রুটেই গাড়ি চলাচল করেনি। সকালে শহরের সুইহারী মোড় এলাকায় মাইক্রো চলাচলেও বাধা দেন শ্রমিকরা। আটকে এক চালককে পোড়া মবিল মুখে মাখিয়ে দেন তারা।

বরিশাল : ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের কারণে গতকাল ভোর ৬টা থেকে নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও রূপাতলী বাস টার্মিনাল থেকে অভ্যন্তরীণ বা দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। ধর্মঘটের কারণে পণ্য ও জ্বালানিবাহী যান চলাচলও বন্ধ ছিল। সকালের দিকে নগরীতে কিছু থ্রি হুইলার চলাচল করলেও পরিবহন শ্রমিকদের বাধার কারণে সেগুলো বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মানুষকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। নগরী থেকে অনেকেই কর্মস্থলে যেতে পারেননি। বাইরের জেলা-উপজেলার মানুষও নগরীতে প্রবেশ করতে পারেননি। কোনো ধরনের পূর্বঘোষণা ছাড়াই আকস্মিক ধর্মঘটে জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ : গতকাল ভোর ৬টা থেকে শ্রমিকদের ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি শুরু করেছে। ফলে জেলা থেকে কোনো দূরপাল্লার এবং অভ্যন্তরীণ রুটে কোনো বাস, ট্রাক, ট্যাংকলরি ও কাভার্ড ভ্যান ছেড়ে যায়নি। এ ছাড়া সোনামসজিদ স্থলবন্দর থেকে কোনো পণ্যভর্তি ট্রাক ছেড়ে আসেনি। এদিকে কর্মবিরতির ফলে দূরদুরান্ত থেকে আসা যাত্রীসাধারণ বিপাকে পড়েন। এমনকি শহরের শাহ নেয়ামতুল্লাহ কলেজ মোড়ে স্থানীয় যানবাহন চলাচলেও বাধা সৃষ্টি করেন শ্রমিকরা।

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) : সিদ্ধিরগঞ্জে পরিবহন শ্রমিকরা গতকাল সকালে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে ধর্মঘট শুরু করেন। এতে বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। সকাল থেকেই শ্রমিকরা রাস্তায় অবস্থান নিয়ে যে কোনো ধরনের পরিবহন চলাচলে বাধা প্রদান করেন। তাদের বাধা থেকে রেহাই পায়নি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসানের সরকারি গাড়িও। এ ছাড়া অ্যাম্বুলেন্স, রিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেলসহ সব ধরনের পরিবহন চলাচলে তারা বাধা প্রদান করেন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড থেকে কাঁচপুর মোড় পর্যন্ত প্রায় ১০টি স্পটে অবস্থান নেন পরিবহন শ্রমিকরা। এ সময় তারা কোনো যান চলাচল করতে দেননি।

বগুড়া : পরিবহন শ্রমিক ধর্মঘটে উত্তর জনপদের প্রাণকেন্দ্র বগুড়াসহ গোটা উত্তরাঞ্চলে অভ্যন্তরীণ রুটসহ দূরপাল্লার কোনো যানবাহন চলাচল করেনি। সবজিসহ অন্যান্য পণ্য পরিবহনও বন্ধ রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিকল্প হিসেবে মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান, ইজিবাইক পেলেও যথাসময়ে কর্মস্থলে পৌঁছতে পারেননি অনেকেই। ঢাকাগামী অনেকেই বাড়ি ফিরে গেছেন স্ট্যান্ড থেকে। ধর্মঘটের সুযোগ নিয়ে রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইকে দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া নিতে দেখা গেছে।

বাগেরহাট : ধর্মঘটের প্রথম দিন গতকাল সকালে বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার কোনো পরিবহন ছেড়ে যায়নি। জেলার অভ্যন্তরীণ রুটেও কোনো পরিবহন চলাচল করেনি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। গন্তব্যে যেতে না পেরে অনেককেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। চালক ও শ্রমিকরা বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে থামিয়ে দেন অটোরিকশাসহ বিকল্প সব পরিবহন। বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, কচুয়া, সাইনবোর্ড, মোংলা, রামপাল, চিতলমারী, ফকিরহাট ও মোল্লাহাট বাসস্ট্যান্ড থেকে দূরপাল্লাসহ অভ্যন্তরীণ রুটে পরিবহন চলাচল বন্ধ ছিল। এসব স্থানে মানুষকে দীর্ঘ সময় ধরে গণপরিবহনের জন্য অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে কর্মস্থলগামী মানুষ ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের।

চাঁদপুর : গতকাল ভোর ৬টা থেকে শহরের অধিকাংশ সড়কে রিকশা ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। পৌর বাসস্ট্যান্ড থেকে সব রুটের পরিবহন বন্ধ ছিল। সড়কের বিভিন্ন স্থানে পরিবহন শ্রমিকদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে। পরিবহন না পেয়ে দুর্ভোগে পড়েন ঢাকা থেকে লঞ্চে আসা যাত্রীরা। কয়েক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও পাননি কোনো ধরনের যানবাহন। অনেককেই বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মালপত্র নিয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। শহরের কালিবাড়ী মোড়, মিশন রোড, ওয়্যারলেস, পালবাজার গেট এলাকায় রিকশা ছাড়া কোনো যানবাহন চলতে দেখা যায়নি।

চুয়াডাঙ্গা : দেশের অন্যান্য জেলার মতো চুয়াডাঙ্গায়ও গতকাল ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়েছে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট। ফলে চুয়াডাঙ্গা থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। বন্ধ ছিল অভ্যন্তরীণ রুটের যানবাহনও। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে।

হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট পালন করছেন পরিবহন শ্রমিকরা। এ কারণে গতকাল ভোর ৬টা থেকে বাস, মাইক্রোবাস, মিনিবাস, ইমা, ট্রাকসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে।

লক্ষ্মীপুর : পরিবহন ধর্মঘটের কারণে গতকাল ভোর ৬টা থেকে জেলায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। দূরপাল্লার বাসসহ ছোট-বড় সব ধরনের যানবাহন বন্ধ রাখেন শ্রমিকরা। এ সময় সড়কের মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়ে ধর্মঘট পালন করেন তারা। সকালে বাস টার্মিনাল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দূরপাল্লার বাস কাউন্টার বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীদের। বাস না পেয়ে অনেককে বাড়িতে ফিরে যেতে দেখা গেছে।

মানিকগঞ্জ : পরিবহন ধর্মঘটের কারণে চরম বিপাকে পড়তে হয় হাজার হাজার যাত্রীকে। মানিকগঞ্জ থেকে শুভযাত্রা, যাত্রীসেবা, পদ্মা লাইন, ভিলেজ লাইনসহ আন্তজেলার সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও যানবাহন না পাওয়ায় অনেকে বাড়ি ফিরে গেছেন। আবার কেউ কেউ বাড়তি ভাড়া দিয়ে তিন চাকার যানবাহনে ভেঙে ভেঙে গন্তব্যে পৌঁছেছেন। তবে ধর্মঘট পালনকারী কোনো পরিবহন শ্রমিককে সড়ক-মহাসড়কে অবস্থান নিতে দেখা যায়নি। এদিকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও যানবাহনের স্বল্পতা ছিল। টাঙ্গাইল : পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। অভ্যন্তরীণ রুটের বাসও চলাচল করতে দেখা যায়নি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। তাদের পায়ে হেঁটে ও তিন চাকার যানে চড়ে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। অন্যদিকে বাস না চলায় যাত্রী ভোগান্তি কাজে লাগিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে সিএনজি ও লেগুনাচালকদের। মহাসড়কে বাস চলাচল না করায় যাত্রীদের ভিড় করতে দেখা গেছে রেলস্টেশনে। টাঙ্গাইলের সঙ্গে ঢাকাসহ সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। ঝিনাইদহ : গতকাল ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়ে শ্রমিক ধর্মঘট অব্যাহত রয়েছে। ফলে সড়কে বাস, ট্রাক, ইজিবাইক, টেম্পোসহ কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি।

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) : মৌলভীবাজরের শ্রীমঙ্গলে পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। তাদের মোটরসাইকেল ও তিন চাকার যানে চড়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন অনার্স পরীক্ষার্থীরা। গতকাল ভোর ৬টা থেকে বাস, কোচ ও মিনিবাস চলাচল বন্ধ ছিল। এতে শ্রীমঙ্গলের সঙ্গে ঢাকাসহ সব রুটে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ সড়কেও বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বাস বন্ধ থাকায় দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া দিয়ে ভ্যানে চড়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে মানুষকে। নোয়াখালী : গতকাল দিনের বিভিন্ন সময় চৌমুহনী বাজার, হাতিয়ার আলী বাজার, হাতিয়া বাজারসহ বিভিন্ন সড়কে টায়ারে আগুন দিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। এ সময় তারা সড়কের মাঝখানে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং বিক্ষোভ মিছিল করেন। সড়কে রিকশাসহ সব ধরনের যান চলাচলে বাধা দিয়েছেন তারা। ধর্মঘটের কারণে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা চরম বিপাকে পড়েন।

কলেজছাত্রীদের বাসও রেহাই পায়নি : নারায়ণগঞ্জে সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রীদের বহন করা বাসেও হামলা চালিয়েছে আন্দোলনরত পরিবহন শ্রমিকরা। এ সময় তারা বাসচালক ও ছাত্রীর কলেজ ইউনিফর্মে কালি লেপন করেছে। পাশাপাশি ভেঙেছে বাসের গ্লাস। ঘটনার পরপরই ছাত্রীর ইউনিফর্মে কালি লেপনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। চলছে সমালোচনার ঝড়। কালি কলেজছাত্রীর কলেজ ইউনিফর্মে লেপন করা হলেও ফেসবুকে অনেকে তা ছাত্রীর শরীরে লেপন করছে বলে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। তবে ঘটনাটি ন্যক্কারজনক বলে মন্তব্য করছে বেশিরভাগ ফেসবুক ব্যবহারকারী। রবিবার দুপুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ড এলাকায় একটি পাম্পের কাছে এ ঘটনা ঘটায় শ্রমিকরা। পরে বাসটি সেখানে থামিয়ে দিয়ে আর যেতে দেয়নি।

শিক্ষার্থীরা জানায়, দুপুর ১২টার দিকে সাইনবোর্ড এলাকা পার হওয়ার সময় হঠাৎ  শ্রমিকরা বাসটি থামিয়ে চালককে মারধর করে ও তার মুখে-শরীরে কালি লেপে দেয়। পরে এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে কয়েকজন ছাত্রীকেও কালি লেপে দেন শ্রমিকরা। অকথ্য ভাষায় গালাগালও শুরু করে। পরে বাসের কয়েকটি গ্লাস ভাঙচুর করে বাস থেকে সবাইকে নামিয়ে দেওয়া হয়।

বাসটির চালক মজিবর বলেন, বাসটিতে ৩৮ জন ছাত্রী ছিল। তারা সবাই সরকারি মহিলা কলেজে অধ্যয়নরত। ছাত্রী বহনকারী বাসটি সাইনবোর্ড এলাকায় এলেই হামলা করে বাসের গ্লাস ভাঙচুর করে শ্রমিকরা। পরে ছাত্রীদের গায়েও কালি মাখিয়ে দেয়। নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বেদৌরা বিনতে হাবিবা বলেন, আমাকে চালক ঘটনা জানিয়েছে। সেখানে শ্রমিকরা কয়েকটি গ্লাস ভাঙচুর করেছে এবং ছাত্রীদের সঙ্গে একটু সমস্যা হয়েছে। তাদের গায়ে কালিও দিয়েছে জানাল। বাসটি আপাতত একপাশে রাখা হয়েছে, কলেজে বাসটি ফিরলে বিস্তারিত জানতে পারব।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর