গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, জোর-জুলুম খাটিয়ে বা প্রতারণার আশ্রয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ দখল বন্ধ করা হবে। রাষ্ট্রের সম্পদ অবৈধভাবে বা ঠুনকো আদালতের আদেশ নিয়ে বা দুর্বৃত্তপনা করে বা রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে দখলের মতো ‘রাম রাজত্ব’ কায়েম করতে দেওয়া হবে না। গতকাল গৃহায়ণ ও গণপূর্ত কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্সের’ কথা উল্লেখ করে সবাইকে সতর্ক করে দেন। রেজাউল করিম বলেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ক্ষমতাশালী দলের লোকদের একটু ক্ষমতার ব্যবহারটা পরিপূর্ণ না করে অপব্যবহারের একটা প্রবণতা থাকে। সে জন্য বলব, সবকিছু থাকবে, কিন্তু তার ভিতর থেকে আপনাদের কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দুর্নীতি স্পর্শ করতে পারে না। সারা পৃথিবীর ১৭৩টি দেশের সরকারপ্রধানের ভিতর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৎ। সেরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয় অবস্থান তাঁর। তিনি বলেন, আমাকে প্রধানমন্ত্রী যে দায়িত্ব দিয়েছেন, সে দায়িত্বে আমি নিজে কোনোভাবে দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হব না, কোনো অস্বচ্ছতায় সম্পৃক্ত হব না। আমি আশা করব, আমার মন্ত্রণালয় সম্পৃক্ত দফতর সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিষ্ঠা, দায়িত্বশীলতা এবং সততার সঙ্গে কাজ করতে হবে। এর কোনো বিকল্প এখানে চলবে না। এটা আমার পরিষ্কার বার্তা। মন্ত্রী বলেন, কারও কোনো অসততা, অস্বচ্ছ কার্যক্রম ও দুর্নীতি বরদাশত করা হবে না। আপনি চেয়ারম্যান হোন আর নিম্ন কর্মচারী এমএলএসএস হোন। আবার দুর্নীতি না করলেও কাজ করবেন না, তা-ও হবে না। রেজাউল করিম বলেন, একটি ফাইল নিয়ে সারা দিন বসে থাকলাম, পাতা উল্টালাম। তা হবে না। কাজের গতি বাড়াতে হবে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা আছে, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ আছে, কোর্টের হস্তক্ষেপ আছে। আমি একজন আইনজীবী, এসব মামলা কীভাবে নিষ্পত্তি করা যায়, তা নিয়ে বসব। প্রয়োজনে সিনিয়র আইনজীবী যুক্ত করব। তিনি বলেন, আমরা যারা গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের এবং তৎসংশ্লিষ্ট দফতর ও সংস্থায় কর্মরত আছি, তাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে, যে যেখান থেকে বেতন-ভাতা সুবিধা নিচ্ছি এবং দাফতরিক পদবি ব্যবহার করছি, এসব সুযোগ-সুবিধা খেটে-খাওয়া মানুষের ট্যাক্সের টাকায়। আমি আমার অনারিয়াম গ্রহণ করি। এসব মানুষের প্রতি আমাদের দায়িত্ববোধও রয়েছে। গণপূর্ত বিভাগের চেয়ারম্যানের একটি বক্তব্যের সূত্র ধরে মন্ত্রী বলেন, হ্যাঁ, হতে পারে মিথ্যা সংবাদ থাকে। কিন্তু এটা মাথায় রাখতে হবে, সংবাদ যখন হয় তখন কিছু না কিছু ন্যূনতম একশর মধ্যে এক শতাংশ ভিত্তি না থাকলে সংবাদের প্লট রচনা হওয়ার সুযোগ হবে কেন?
শিরোনাম
- রেস্টুরেন্ট নয়, এ যেন মরণফাঁদ!
- বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অচল লন্ডনের পাতাল রেল ব্যবস্থা
- সর্বশেষ জীবিত মার্কিন-ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
- ইউপিডিএফকে নিষিদ্ধের দাবিতে রাঙামাটিতে মহাসমাবেশ
- ময়মনসিংহে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত তিন পরিবারের পাশে তারেক রহমান
- স্বর্ণের দাম আরও কমেছে
- আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত: ইসি সচিব
- মিয়ানমার জান্তার বিমান হামলায় ১৭ শিক্ষার্থী নিহত: রিপোর্ট
- ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা কারাগারে
- বাগেরহাটে খালের পাড়ে পড়ে ছিল বৃদ্ধের মরদেহ
- গাজা যুদ্ধ নিয়ে নেতানিয়াহুকে এক হাত নিলেন ইসরায়েলের সাবেক সেনাপ্রধান
- ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা কারাগারে
- ভুটানের লিগে ম্যাচসেরা বাংলাদেশের কৃষ্ণা, দল জিতেছে ৮-০ গোলে
- অধিনায়ক লিটনের লক্ষ্য সিরিজ জয়
- যুদ্ধ কোনও বলিউড মুভি নয়, কেন বললেন ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান
- নাসিকের যানজট নিরসন কর্মীদের উপর অটোচালকদের হামলা, আহত ১০
- পুলিশের হাতে কোনো মারণাস্ত্র থাকবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- রাকিবুল-আকবরের ঝড়ে বাংলাদেশের রোমাঞ্চকর জয়
- বাকেরগঞ্জ ও পৌর বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ
- বিদেশে চিকিৎসা খরচে সুবিধা বাড়ল, নেওয়া যাবে ১৫ হাজার ডলার
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর