সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে গত এপ্রিলে হামলার পর ইসরায়েলে শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তেহেরান। এ হামলার মধ্য দিয়ে বিশ্ববাসীর কাছে ইরান তার সক্ষমতার জানান দেয়। গত সপ্তাহে ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে রাজধানী তেহেরানে গিয়ে এক গুপ্ত হামলার শিকার হয়ে নিহত হন হামাস প্রধান ইসমাঈল হানিয়া। ইরানের মাটিতে হামাস প্রধান নিহতের ঘটনায় তেহেরান সরাসরি ইসরায়েলকে দায়ী করে হামলা হুমকি দিয়েছে।
ইসরায়েলে ইরানের হামলা বন্ধে তৎপরতা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা। ইরানকে এ হামলা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে তারা। এবার ইসরায়েলে হামলা চালানোর ব্যাপারে ইরানকে হুঁশিয়ার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এক মার্কিন কর্মকর্তা শুক্রবার বলেছেন, ইসমাইল হানিয়া হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলে হামলা চালালে বিপর্যয়কর পরিণতির মুখোমুখি হবে ইরান। একইসঙ্গে গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা লাইনচ্যুত হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিনিয়র মার্কিন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, ইসরায়েলে হামলা পরিণতি বেশ বিপর্যয়কর হতে পারে, বিশেষ করে ইরানের জন্য। তিনি আরো বলেন, ইরানের মিত্র হামাসই ৭ অক্টোবর এই যুদ্ধ শুরু করেছিল। ইরান যদি আমাদের কাছে দীর্ঘ যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির চুক্তিতে আসে খুব ভালো। এসব না করে যদি হামলার পথ বেছে নেয় সেটা হবে পরিহাস।
হামাসকে ছাড়াই গাজা যুদ্ধ বন্ধে কাতারে দুদিনের আলোচনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুক্রবার দাবি করেছেন, যুদ্ধবিরতি আলোচনা আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে ফলপ্রসু হয়েছে। যদিও সমালোচকরা বলছে, আদৌ কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি ওই বৈঠক থেকে। ৩১ জুলাই তেহরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া নিহত হন। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে তারা। দেশটির বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে ইরান।
সূত্র : দ্য টাইমস অব ইসরায়েল।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক