কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে বাড়ি ও বাড়ির আঙিনায় থেকেও গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত শিশুদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশনা চেয়ে রিটের শুনানির জন্য আজকের দিন রেখেছেন হাই কোর্ট। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ গতকাল এ দিন ঠিক করেন। রিটে গুলির ঘটনায় দায়ীদের চিহ্নিত করতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে আবেদনে।
এ বিষয়ে দুটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে ৩১ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তৈমূর আলম খন্দকার জনস্বার্থে এ রিট করেন। রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
রিটে যুক্ত করা ২৯ জুলাই ‘ফুল হয়ে ফোটার আগেই ঝরল ওরা’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, আহাদ, রিয়া, সামির, হোসাইন, মোবারক, তাহমিদ, ইফাত ও নাঈমা নামে ফুলের মতো শিশুগুলো সবে ফুটছিল। তবে আর বিকশিত হতে পারেনি। বুলেটের আঘাতে ছোট্ট জীবনগুলো ঝরে গেছে কুঁড়িতেই। বাবার কোলের মতো নিরাপদ আশ্রয়েও তাদের আঘাত করেছে ঘাতক বুলেট। আবার কারফিউ মেনে ঘরের কোণে থেকেও কারও জীবনসৌরভ মুছে গেছে বারুদের গন্ধে। কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে কয়েক দিনের সংঘর্ষে অন্তত নয় শিশু গুলিতে নিহত হয়েছে। তাদের বয়স চার থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। ১৮, ১৯ ও ২০ জুলাই তারা গুলিবিদ্ধ হয়। নিহত চারজন মারা গেছে নিজ বাড়িতেই। চারজন গুলিবিদ্ধ হয় সড়কে। সব ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্য, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে প্রাণ গেছে এ শিশুদের।