বরিশালে এক শিশুর লাশ উদ্ধারের ১০ মাস পর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে শিশুটির মৃত্যু স্বাভাবিক নয়, তাকে হত্যা করা হয়েছে। তাই শিশু হত্যার ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ। গত ৫ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি করেন এসআই রাহাতুল ইসলাম। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে শিশু হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার বাদী কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই রাহাতুল ইসলাম জানান, ২০২৩ সালের ২ ডিসেম্বর চার বছর বয়সি শিশু জান্নাতের লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত করে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। এক মাস আগে শিশুর ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। প্রতিবেদনে শিশুটিকে হত্যা করার বিষয়টি এসেছে। শিশু হত্যার ঘটনায় তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু কেউ মামলা করতে আগ্রহী নয়। তাই তিনি বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় কাউকে আসামি করা হয়নি। ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর চার বছর বয়সি শিশু জান্নাতকে অসুস্থ অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাথরুমে পড়ে গিয়ে অজ্ঞান হয়েছে জানিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেন বরিশাল নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের হাবীব মঞ্জিলের ভাড়াটিয়া শিশুটির সৎবাবা রাসেল সরদার ও মা সানজেনা বেগম। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিনগত গভীর রাতে মারা যায় শিশুটি। শিশুর মৃত্যু স্বাভাবিক না হওয়ায় কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়। শিশুর লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে আঘাতের কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। শিশুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে। শিশুর সৎবাবা রাসেল তাকে সহ্য করতে পারত না। মামলার বাদী এসআই রাহাতুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল শিশুর মা ও সৎ বাবাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার মা সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা থাকার কারণে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। শিশু হত্যায় কারা জড়িত ছিল তা বের করতে তদন্ত চলছে। শিশুর মা ও সৎবাবা জড়িত থাকলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।