বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, শেখ হাসিনা প্রতিহিংসার রাজনীতি কায়েম করেছিলেন। পতিত স্বৈরাচারী শক্তি বসে নেই। তারা ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব বিজয় ছিনতাই করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। বগুড়ার আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে গতকাল দুপুরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস বগুড়া জেলা শাখা আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ১৫ বছরে ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে শেখ হাসিনা রাতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনকে বিষধর সাপ হয়ে ছোবল মেরেছেন, দিনের বেলায় ওঝা হয়ে ঝেড়েছেন। মামুনুল হক টাঙ্গাইলে অন্য এক সমাবেশে গোপালগঞ্জে বিএনপি নেতাকে হত্যার বিচার দাবি করেছেন। তিনি বলেন, গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের ভাইয়ের ওপর হামলা ও হত্যা করেছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। শেখ হাসিনাকে পুনর্বাসন করতে যারা ষড়যন্ত্র করছে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। টাঙ্গাইল জেলা শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যোনে গতকাল সকালে আয়োজিত সমাবেশে মামুনুল হক আরও বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে নিকৃষ্টতম স্বৈরাচারীর কবল থেকে আমরা মুক্ত হয়েছি। আমাদের সংগ্রাম আরও বাকি রয়েছে। ফ্যাসিবাদের অবশিষ্ট শক্তি উৎখাত না করা পর্যন্ত কেউ নিরাপদ নয়। ঐক্য ধরে রাখতে না পারলে বিএনপি, জামায়াত, হেফাজতে ইসলাম ও আমরা কেউ নিরাপদে থাকতে পারব না।
এ ছাড়া গতকাল বিকালে গাইবান্ধা জেলা শহরের গাইবান্ধা ইসলাম মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে দোয়া এবং নৈরাজ্যবিরোধী সমাবেশে মামুনুল হক বলেন, স্বৈরাচার হাসিনা সাড়ে ১৫ বছরে দেশটা ধ্বংস করে ফেলেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে দেশে গণহত্যা চালিয়ে অসংখ্য মানুষকে গুম ও হত্যা করেছে। জনরোষ থেকে বাঁচতে দেশ থেকে ভারতে পালিয়ে গেছেন হাসিনা।