চট্টগ্রাম নগরীর জেএমসেন হলের দুর্গাপূজার মন্ডপে ইসলামী ভাবধারার সংগীত পরিবেশনের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পূজা কমিটির এক নেতার আমন্ত্রণে চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন। এ ঘটনায় আটক দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গতকাল দামপাড়া পুলিশ লাইনসে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ের মিডিয়া সেন্টারে উপকমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) মো. রইছ উদ্দিন এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, জেএম সেন হল পূজামন্ডপে শিল্পীদের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীর লোকজন পূজামন্ডপে আসেন এবং অনুষ্ঠান উপভোগ করতে থাকেন। এরই মধ্যে পূজা আয়োজন কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজল দত্ত চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির একদল শিল্পীকে অনুষ্ঠানে গান পরিবেশনের জন্য অনুরোধ করেন। তার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ওই শিল্পী গোষ্ঠীর ছয় সদস্য শহীদুল করিম (৪২), নুরুল ইসলাম (৩৪), আব্দুল্লাহ ইকবাল (৩০), রনি (২৮), গোলাম মোস্তফা (৩৬) ও মো. মামুন (২৭) পূজার অনুষ্ঠানে একটি ইসলামি গজল ও একটি বাউল গান পরিবেশ করেন। এরমধ্যে একটি গানের ভাষায় শব্দচয়ন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বলে প্রতীয়মান হয়। ইতোমধ্যে অনুষ্ঠানে পরিবেশন করা গান দুটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন- গান পরিবেশনকারী শহীদুল করিম (৪২) ও নুরুল ইসলাম (৩৪)। শহীদুল করিম নগরীর তানজিমুল উম্মাহ মাদরাসার শিক্ষক এবং নুরুল ইসলাম দারুল ইরফান একাডেমির শিক্ষক। জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় পতিত আওয়ামী লীগের কোনো ষড়যন্ত্র আছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এ বিষয়টি আমরা হালকাভাবে নিচ্ছি না। এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় ওই সংগঠনটিকে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে দাবি করেছেন। যদিও জামায়াত ও ছাত্রশিবির জানিয়েছেন, তারা এ বিষয়ে কিছুই জানে না, গানের দলটি তাদের কোনো অঙ্গ-সংগঠন নয়।