শিরোনাম
প্রকাশ: ১২:৪০, শনিবার, ২৩ মে, ২০২০

মা, আমি ঢাকাতেই আছি

মাজেদুল হক
অনলাইন ভার্সন
মা, আমি ঢাকাতেই আছি

আতুড়িয়া বাড়ির সামনে অংশে গরুর গোয়াল ঘর। অথচ বহরমপুর গ্রামে অন্যান্য বাড়ির সামনে পুকুর ঘাট রয়েছে। রকিবের পেছন পেছন আসছেন মা সোহেলি বেগম। স্বামী মারা যাওয়ার পর এই সন্তানকে নিজেই বড় করেছেন তিনি। এখন ঢাকায় একটি কলেজে পড়ছে। মাকে ছেড়ে যেতে খারাপ লাগে রকিবের। মায়ের কাছে যদি আরো কিছুদিন থাকা যেতো! 

গোয়াল ঘরের সামনে সবুজ ঘাসকে কার্পেটের মতো দেখায়। বাবা যদি আরো কিছুদিন বেঁচে থাকতেন, তাহলে হয়তো এই গোয়াল ঘরটা আর থাকতো না। এই গোয়াল ঘর দাদা করেছিলেন। দাদা মারা যাওয়ার পর বাবার ইচ্ছে ছিল গোয়াল ঘরটি বাড়ির পেছন দিকে নিয়ে যাবে। তবে দাদা মারা যাওয়ার বছর দুই পরেই ক্যান্সার ধরা পড়ে বাবা রুহুল কুদ্দুসের। মায়ের বিয়ের অলংকার থেকে শুরু করে গোয়ালের গাইগুলো পর্যন্ত বিক্রি করে দিতে হয়। এরপর দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে এক নিরন্তর সংগ্রাম সোহেলি বেগমের। বাবার বাড়ি থেকে কিছু সাহায্য এনে আর সেলাই করে সংসার যুদ্ধে নিজেকে টিকিয়ে রাখেন রকিবের মা। 

বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটারের দূরত্বে বাস চলার রাস্তা। খুলনা থেকে আসা বাসগুলো থামলে বোনাটের উপর বসেই ঢাকায় চলে যাওয়া যায়। ভাড়াও কিছুটা কম। বাসের বোনাটে গায়ে গা লেগে বসতে হয়, সেখানে ঘুম ঘুম ভাব আসলেও চোখ বন্ধ করা যায় না। ফেব্রুয়ারির এই সময়টায় করোনাভাইরাস নিয়ে কথা বলছে বাসের কয়েকজন যাত্রী। এরই মধ্যে চীনে অনেক মানুষ মারা গিয়েছে, ধীরে ধীরে ইউরোপেও ভয়ংকর রুপ ধারণ করছে এসব নিয়েই কথা বার্তা। রকিবের ভয় হয় এই করোনাভাইরাস নিয়ে। এই ভাইরাস একজন থেকে আরেকজনের মধ্যে সংক্রামিত হয়। আবার সংক্রমিত হওয়ার সাথে সাথে বোঝাও যায় না। চীনে উহানসহ বেশ কয়েকটি বড় শহর লকডাউন করে দিয়েছে। সেখানে অর্থনীতি প্রায় ভেঙ্গে পড়েছে। বয়স্ক মানুষরাই নাকি বেশি মারা পড়ছে। মা আর ১৪ বছরের ছোট বোন শাপলার কথা মনে পড়ে বুকের ভেতরটা কেমন যে হু হু করে উঠে রকিবের। 

মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সে। পরের দিন সকালে ক্লাস শেষে মোহাম্মদপুরের সুপারশপের দিকে রওনা দেয় সে। মোহাম্মদপুরে সুপারশপ ‘স্বপ্ন’ এর আউটলেটে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করে রকিব। গত ৭ মাস ধরেই এই কাজটি সে উপভোগ করে। দুপুর ২ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত ডিউটি। তার সঙ্গের অনেক বন্ধুরাই ক্লাস শেষে টিউশনি করে নিজের খরচ জোগায়। তবে বাড়ি বাড়ি যেয়ে টিউশনি করার চেয়ে একটি সুপারশপে বিক্রয়কর্মীর চাকুরিটি অনেক বেশি আকর্ষণীয় মনে হয় রকিবের কাছে। এই বেতন দিয়েই নিজের পড়াশোনার খরচ, ছোট বোন শাপলার স্কুলের বেতন আর বাড়ির জন্য কিছু খরচ দেয় রকিব। এই চাকুরিতে কেমন যেন একটা দায়বদ্ধতা রয়েছে। হরেক ধরনের মানুষের সঙ্গে দেখা হয়। এখানে যেমন কঠিন সময় আসে, তেমনি আনন্দের সময়ও রয়েছে। আউটলেটে তার বয়সী আরো অনেক বিক্রয়কর্মী রয়েছেন, যারা বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। তাদেরকে ঘিরে ভাল লাগা মন্দ লাগার একটি নতুন জগৎ তৈরি হয়েছে তার। যখন কলেজে কোন কোন সমস্যায় পড়ে এখানকার বন্ধুদের পরামর্শ নেয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অর্জনে যেমন সবাই একসঙ্গে উৎসব করে, আবার তামিম-মুশফিকদের হার দেখলে সকলের সেদিন মনটা ভার হয়ে থাকে। 

বিভিন্ন দেশে যখন করোনাভাইরাস ছড়াতে শুরু করে, তখন থেকে স্বপ্ন তাদের আউটলেটগুলোতে হেক্সিসল দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করাচ্ছে ক্রেতা-বিক্রেতা সকলকে। হাতে হেক্সিসল মাখতে মাখতে আউটলেটের পেছনে যেয়ে টি-শার্ট পরিবর্তন করে এখানকার ইউনিফর্ম কালো শার্ট পড়ে কাউন্টারের দিকে আসে। কাউন্টারে এখনো সাগর কাজ করছে। রকিবকে দেখে যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো সে। 
কিরে এতো দেরি করলি যে?
কই এতো দেরি! দুই-চার মিনিট হবে! 
আচ্ছা। বাড়ি থেকে আসলি কবে? 
কালকে রাতে। 
বাড়ির সবাই কেমন আছে? 
এইতো ভাল। 
কথা বলার খুব বেশি সময় পায় না দুজনেই। শুধু স্থান বদল করে নিতে নিতে যতটুকু বলা। কয়েকদিন পর দেখা হলেও তারা কিন্তু হাত মিলানো থেকে বিরত থাকলো। কারণ করোনাভাইরাসের সতর্কতা হিসেবে হাত মিলানো বা কোলাকুলি বন্ধ রাখার সুপারিশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ্যা এবং দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তার কাউন্টারে মাত্র ৪ জন কাস্টমার থাকলেও সবার ট্রলিতেই পণ্য বোঝাই রয়েছে। নগদ টাকার চেয়ে কাস্টমাররা যদি ভিসা বা মাস্টারকার্ড দিয়ে বিল দেয় সুবিধা হয় রকিবদের। কারণ দিনে কয়েকশো কাস্টমার যদি নগদ টাকা দেয় তার মূল্য রেখে ভাংতি টাকার হিসাব করতে করতে একটা বড় সময়ের অপচয় হয়। আর ভুল হওয়ার সম্ভাবনাও কমে।

আকাশি শার্ট পড়া একজন কাস্টমার এসে দাঁড়ান কাউন্টারের সামনে। রকিবের পেছনে দাঁড়ানো ফয়সাল একে একে কাস্টমারের ট্রলি থেকে পণ্যগুলো কাউন্টারের উপর উঠাতে থাকে। এক এক করে মূল্য স্ক্যান করে বিল উঠাতে থাকে রকিব। ওয়াসিং পাউডারের আধা কেজির প্যাকেটটির মূল কম্পিউটারের সফটওয়্যারে ওঠানোর পরপরই, ‘থামেন’ বলে উঠলেন ক্রেতা। দাঁড়ান আমি আসলে এক কেজিরটা নিবো। বলেই, কাউন্টার ছেড়ে আবার আউটেলেটের গৃহসামগ্রীর সেলফগুলোর দিকে এগিয়ে গেলেন তিনি।

এদিকে পেছনের দাঁড়ানো ক্রেতাদের চোখে মুখে বিরক্তির ছাপ। নতুন করে দুই জন যোগ হয়েছে কাস্টমারের লাইনে। তাদের সব বিরক্তি যেন রকিবের দিকে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ফিরে আসলেন আকাশি শার্টের ক্রেতা। মুখে হাসি নিয়ে এক কেজির ওয়াশিং পাউডারের প্যাকেটটি ব্যাগে ঢুকালো ফয়সাল। বিল করলো রকিব। সে চেষ্টা করছে যত দ্রুত বিল করা যায়। 

এবার মানিব্যাগ সবগুলো কোনা খোঁজা শুরু করলেন ওই ক্রেতা। কোথাও তিনি তার ক্রেডিট কার্ডটি পাচ্ছেন না। বাড়িতে গতরাতে অনলাইনে কেনাকাটা করার পর আর ক্রেডিট কার্ডটি মানিব্যাগে ঢোকানো হয়নি। দাঁত দিয়ে জীভ কাটলেন। তার বিল হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার টাকা। অথচ পকেটে আছে মাত্র ৬৪০ টাকা। আবার ব্যাগ থেকে পণ্যগুলো বের করে নিচে রাখতে হচ্ছে। তিনি শুধু মশলাগুলোই নিচ্ছেন আজ আর কিছু সবজি। শেষে ৪৩৮ টাকা মূল্যের কেনাকাটা শেষে ওই ক্রেতা কাউন্টার ত্যাগ করলেন। পেছনের কাস্টমারের বয়স ৩৫ থেকে ৪০ হবে। এই ঘটনায় তিনি বেশ বিরক্ত। 
আপনাদের সব কিছু এতো স্লো!
স্যার, স্যরি। উনার কাছে কার্ড ছিল না।
সেটা আপনারা আগে জিজ্ঞাসা করবেন না?
স্যার, আপনার কাছে কি কার্ড আছে?
এবার কিন্তু উল্টো বেশ ক্ষেপে গেলেন তরুণ ক্রেতা। 
এটা কি ধরনের কথা জিজ্ঞাসা করলেন? আমি কি এখানে নাটক করতে এসেছি! কার্ড না থাকলে ক্যাশ টাকা আছে। 
না স্যার। আপনিইতো বললেন, আগে জিজ্ঞাসা করতে। 
বেশি কথা বলবেন না। দ্রুত বিল করেন। 
মনে মনে বেশ হাসি পেল রকিবের। ফয়সাল মুখের উপরে উঠে আসা হাসিটা এক ঢোঁকে গিলে নিলো। 

মার্চের আট তারিখ। আজ ক্রেতারা উঁপচে পড়ছে স্বপ্ন’তে। দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে দেশে ৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গিয়েছে। মানুষ চাল, ডাল, তেল কেনার হিঁড়িক দিয়েছে। যে যত পারছে কিনে নিচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে সবার পক্ষে দরকারি পণ্য কেনা সম্ভব হবে না। বিশেষ করে হেক্সিসলের মতো জীবাণুমুক্তকারী পণ্য বিক্রি হচ্ছে দেদারছে। কর্মীরা সব হিমসিম খাচ্ছে। আজ রাতে মেসে ফিরে ভাত খাওয়ার পর ক্লান্তিতে আর জেগে থাকতে পারে না রকিব। দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত ভালভাবে কিছুক্ষণ বসার সুযোগও মেলেনি। 

সকালে উঠে মাকে ফোন দেয়াটা রকিবের প্রতিদিনের কাজ। আজ মাকে জানালো যে দেশে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে, মা যেন সাবধানে থাকেন। ক্লাসে যেতেই দেখে বন্ধু আর সহপাঠীদের মধ্যে আতঙ্কের ছাপ। স্কুল কলেজগুলো বন্ধের আর্জি জানাচ্ছেন অভিভাবকরা। সন্তানদের স্কুলে পাঠানো নিরাপদ মনে করছেন না। চারিদিকে যেন একটা অস্থিরতা। প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে দুই জন, তিন জন করে। রাস্তায় এখন সন্ধ্যার পর লোকজন কমে গিয়েছে। ফেসবুকে শুধু অজানা আতঙ্ক আর সচেতনতা মূলক পোস্ট। এরই মধ্যে চীনে করোনাভাইরাসের প্রবণতা কমতে শুরু করেছে। বরং বেড়ে যাচ্ছে ইতালিতে। প্রতিদিনই সেখানে কয়েকশত মানুষ মারা যাচ্ছে। স্বপ্নসহ সব সুপারশপ আর মনোহরদি দোকানে বিক্রি বেড়ে গিয়েছে আরো। মাঝখানে চালের দাম কিছু বেড়ে গেলেও আবার নিয়ন্ত্রণে এসেছে। স্বপ্ন থেকে নিয়ম করে দেয়া হয়েছে, কোন ক্রেতা যেন ১০ কেজির বেশি চাল না কিনেন এবং একটির বেশি হেক্সিসল না কিনেন। অনেকই মানতে চাচ্ছেন না। কেউ রাজনৈতিক শক্তির কথা বলে হুমকি দিচ্ছেন, কেউ শরীরের শক্তি প্রদর্শণ করতে চাচ্ছেন। খুব শান্ত হয়েই এসব সামলাতে হচ্ছে রকিবদের। কাউন্টারে দাঁড়িয়ে মানুষের কেনাকাটা দেখে মাঝে মাঝে অবাক হয় সে। এখন আর এক মুহূর্তও বসে থাকার সময় পায় না সে এবং তার সহকর্মীরা। 

ইতালিসহ ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে অনেক প্রবাসী দেশে ফিরে আসছে। তাদেরকে কোয়ারান্টাইনে থাকার জন্য সরকার থেকে বারবার নির্দেশ দেয়া হলেও অনেকেই মানছেন না। আবার এই প্রবাসীরা বেশিরভাগই গ্রামে নিজ বাড়িতে যাচ্ছে এবং ইচ্ছে মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এরই মধ্যে প্রবাসীদের সংস্পর্শে আসা মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে রাষ্ট্রীয় অনেক আয়োজন ছিল। সেগুলোও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ রকিবের ইচ্ছে ছিল এই উপলক্ষ্যে আতশবাজির অনুষ্ঠান দেখতে যাবে, বিভিন্ন কনসার্টে যাবে, হৈ-হুল্লোড় করবে। কিছুই হলো না। কারণ যে কোন সংখ্যক মানুষের ভীড়ই এখন হয়ে উঠেছে বিপদজনক। একজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি থাকলেও সেটি ছড়িয়ে পড়তে পারে কয়েক হাজার জনের মধ্যে। তাই রকিব সব ধরনের ভীড় এড়িয়ে চলছে, অন্যদেরও পরামর্শ দিচ্ছেন। 

মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে দুজন আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর খবর আসলো। স্কুলগুলো বন্ধ করে দিলো সরকার। এর কয়দিন পরেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও বন্ধ হয়ে যায়। তবে এই চাকুরিটার জন্য ঢাকাতে থাকতে হবে রকিবকে। অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে তাদের কর্মীদের বলে দিয়েছে বাসা থেকে অফিস করতে। তবে তাদেরতো সেই উপায় নেই। এই কয়দিন সকালেই ডিউটি করবে বলে আউটলেটের ম্যানেজার আরমানকে জানিয়েছে সে।

তাদের আউটলেটটিতে এখন পরিচ্ছন্নতার কাজ আরো বেড়েছে। প্রতি ঘণ্টায় মেঝে এবং বিভিন্ন সেলফ জীবাণুমুক্ত করা হয়। তাদেরকে মাস্ক এবং গ্লাভস দিয়েছে স্বপ্ন কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও কাউন্টারের সামনে যেন মানুষ একে অপরের সঙ্গে গায়ে গা লাগিয়ে না দাঁড়াতে পারেন, সেই জন্য ফুট স্টেপসও এঁকে দেয়া হয়েছে। তবে রকিব খেয়াল করেছে, বাইরের বাজারগুলোতে এই সতর্কতা নেই। সেখানে মানুষ ভীড় করছে। সেখানকার বিক্রেতারাও মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তাদেরকেওতো সচেতন করা প্রয়োজন, অনুভব করে সে। 

মানুষকে ঘরে অবস্থান করার জন্য ২৭ মার্চ থেকে সরকারি ছুটি ঘোষণা করলো সরকার। তবে ২৩ মার্চ সন্ধ্যা থেকে ঘটলো একটি বিশ্রী ধরনের ব্যাপার। মানুষকে ঘরে অবস্থানের কথা বললেও লঞ্চ টার্মিনাল, বাস টার্মিনাল, রেল স্টেশনে হুমড়ি খেয়ে পড়লো মানুষ গ্রামে ফেরার জন্য। যেটা বাড়িয়ে দিলো করোনাভাইরাস সংক্রণের ভয় আরো কয়েক গুণ। রকিব মনে মনে ভাবে, মানুষের কি দোষ! এই দেশেতো মানুষের কাছে ছুটি মানেই উৎসব করে বাড়ি যাওয়া। 
পরের দিন সকালে সোহেলি বেগম সন্তানকে ফোন দিলেন,  
রকিব। সবাইতো বাড়ি চলে আসছে। তুই আসবি না? 
মা, বাড়ি যাওয়ার জন্য এই ছুটি দেয়া হয়নি। তবে সবাই নিয়ম না মেনে চলে গিয়েছে।
রেগে যায় মা। এতো কথা বলিস না, তুই কবে আসবি?
আমিতো আসতে পারবো না মা। এটা উৎসবের ছুটি না। এই ছুটি বিপদকে মোকাবেলা করার জন্য। 
তোদের স্বপ্ন ছুটি দিবে না? তুই কি ডাক্তার? নাকি পুলিশ?

মায়ের কথা শুনে হেসে দেয় রকিব। বলেন, মা আমাদের ছুটি হয়ে গেলে মানুষ কি খাবে? চিকিৎসকদের যেমন এখন রোগী দেখার দ্বায়িত্ব, পুলিশের যেমন মানুষকে ঘরে ঢুকানোর দ্বায়িত্ব, তেমনি আমাদের দ্বায়িত্ব মানুষের নিত্যদিনের বাজার নিশ্চিত করা। এগুলো কোনটা ছাড়াই মানুষ বাঁচবে না। 

তুই সাবধানে থাকিস, বাবা। দেশের মানুষের জন্য কিছু করার থাকলে, সেটি কর। আমি বাড়িতে আসতে বলবো না। মায়ের কণ্ঠে অভিমানের সুর। 
মা, তুমি কি রাগ করলে? তুমি রাগ করলে আমি ছুটি নিয়ে চলে আসবো। 
নাহ্ বাবা। মায়ের মনতো। তাই মানে না। কিন্তু তোরা যেটা করছিস, সেটা মহান কাজ। তোরা যদি না থাকিস, তাহলে মানুষ কি খাবে? 
সেটাই মা। তুমি ভয় পেয়ো না। আমরা সচেতন থেকে এবং পরিচ্ছন্নতা মেনেই কাজ করছি। কোম্পানি থেকে সব সুরক্ষা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। 
কিন্তু তোর মেসে রান্না করবে কে এখন? যদি অন্যরা চলে যায়। রান্না করার জন্য বুয়া কি আসবে?
মেসে অন্যরা চলে যাওয়ার পর আমি আমাদের স্যারদের অসুবিধার কথা জানাই। উনারা আমাদের থাকা এবং খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এটা একটা সংগ্রাম, মা। যে কোন মূল্যে আমাদের বাজার টিকিয়ে রাখতে হবে। তুমি ভয় পেয়ো না। আমি ঢাকাতেই আছি। 

সেদিন বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় যতদূরে যতক্ষণ রকিবের হাঁটা দেখা যায়, ততক্ষণ তাকিয়ে ছিলেন সোহেলি বেগম। মায়ের মুখটা খুব মনে পড়ছে রকিবের। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে মানুষের এই যুদ্ধ জয় হলে, দ্রুত মাকে দেখে আসবে সে। নিঃশ্বাস দীর্ঘ হতে থাকে তার। আউটলেটের বাইরে মোহাম্মদপুরের এই ব্যস্ত সড়কটি এখন প্রায় ফাঁকা। সরকারি ছুটিতে মানুষ একেবারেই প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের হচ্ছে না। বাহিরে আশপাশে দুই থেকে তিন জন ঘোরাফেরা করছেন। বোঝা যায় ১০টায় আউটলেট খুললেই উনারা প্রবেশ করবেন। হয়তো কাল রাতে হঠাৎ করেই এই ক্রেতাদের কোন একজনের শিশুর খাবারের কোন একটি উপাদান শেষ হয়ে গিয়েছে। আর সেই পণ্যটি বাবার হাতে পৌঁছে দিতেই রকিব এখনো ঢাকাতেই আছে।
 
এপ্রিল মাস চলে আসলো প্রতিদিনই রোগী আর মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে চলছে। এরই মধ্যে বিকাল ৫টার পর সুপারশপও বন্ধ রাখতে বলেছে সরকার। তবে সকাল থেকে মানুষ বাইরে লাইন ধরে দাঁড়ায়। আর এখন হোম ডেলিভারিও করে দিচ্ছে স্বপ্ন। ঢাকা ছাড়ার কোন উপায় নেই রকিবের।


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
কক্সবাজারে এক লাখ ৭০ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেফতার ৩
কক্সবাজারে এক লাখ ৭০ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেফতার ৩

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ
আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

১৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

২৪ মিনিট আগে | জাতীয়

সারাদেশে টানা বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের
সারাদেশে টানা বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের

৩১ মিনিট আগে | জাতীয়

উজানে বৃষ্টিপাত, সিলেটে বাড়ছে নদীর পানি
উজানে বৃষ্টিপাত, সিলেটে বাড়ছে নদীর পানি

৩২ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

‘ভাঙ্গায় আন্দোলনে ফ্যাসিস্টরা ঢুকে সহিংসতা চালিয়েছে’
‘ভাঙ্গায় আন্দোলনে ফ্যাসিস্টরা ঢুকে সহিংসতা চালিয়েছে’

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

৩৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

প্যারিসে জমকালো আয়োজনে শুরু টেক্সটাইল সোর্সিং মেলা ২০২৫
প্যারিসে জমকালো আয়োজনে শুরু টেক্সটাইল সোর্সিং মেলা ২০২৫

৪৫ মিনিট আগে | পরবাস

পাকিস্তানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ৫ সেনা নিহত
পাকিস্তানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ৫ সেনা নিহত

৫২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ রাজধানী ঢাকার বাতাসের মান কেমন?
আজ রাজধানী ঢাকার বাতাসের মান কেমন?

৫৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

খুলনায় চুরি হওয়া নবজাতক ৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার
খুলনায় চুরি হওয়া নবজাতক ৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার

৫৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সূচকের উত্থানে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে
সূচকের উত্থানে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

কুমিল্লায় চুন কারখানায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ, ৮ শ্রমিক কারাগারে
কুমিল্লায় চুন কারখানায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ, ৮ শ্রমিক কারাগারে

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভিড়ের মধ্যে ঢুকে গেল চলন্ত ট্রাক, নিহত ৩
ভিড়ের মধ্যে ঢুকে গেল চলন্ত ট্রাক, নিহত ৩

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিক বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তর করতে হবে: চসিক মেয়র
পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিক বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তর করতে হবে: চসিক মেয়র

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

হাইতিতে গ্যাং হামলায় নিহত অর্ধশতাধিক
হাইতিতে গ্যাং হামলায় নিহত অর্ধশতাধিক

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারায়ণগঞ্জে ৬ কারখানার বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
নারায়ণগঞ্জে ৬ কারখানার বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইসরায়েল আর কোনো হামলা চালাবে না কাতারে : ট্রাম্প
ইসরায়েল আর কোনো হামলা চালাবে না কাতারে : ট্রাম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আমার নাম স্বস্তিকা, আমি বুড়িমা নই’
‘আমার নাম স্বস্তিকা, আমি বুড়িমা নই’

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিনিয়োগ পেতে পরামর্শকের কথায় বিদেশে প্রতিষ্ঠান খুলে প্রতারিত উদ্যোক্তা ব্যবসায়ীরা
বিনিয়োগ পেতে পরামর্শকের কথায় বিদেশে প্রতিষ্ঠান খুলে প্রতারিত উদ্যোক্তা ব্যবসায়ীরা

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রাশিয়া-বেলারুশের সামরিক মহড়ায় হঠাৎ হাজির মার্কিন কর্মকর্তারা
রাশিয়া-বেলারুশের সামরিক মহড়ায় হঠাৎ হাজির মার্কিন কর্মকর্তারা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এনবিআরে ১৮২ জনের দপ্তর বদল, বাধ্যতামূলক অবসর ও বরখাস্ত ২
এনবিআরে ১৮২ জনের দপ্তর বদল, বাধ্যতামূলক অবসর ও বরখাস্ত ২

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অস্থায়ী প্রশাসক বসছে পাঁচ ইসলামী ব্যাংকে
অস্থায়ী প্রশাসক বসছে পাঁচ ইসলামী ব্যাংকে

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঢাকায় দুপুরের মধ্যে বৃষ্টির আভাস
ঢাকায় দুপুরের মধ্যে বৃষ্টির আভাস

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আফ্রিদি-জয় শাহর ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল
আফ্রিদি-জয় শাহর ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মাঝ আকাশে অসুস্থ যাত্রীকে বাঁচালেন রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মাঝ আকাশে অসুস্থ যাত্রীকে বাঁচালেন রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানাল বাংলাদেশ
কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানাল বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাড়ে ৩ হাজার সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি
সাড়ে ৩ হাজার সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি

৩ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

অমুসলিমদের কলমে মহানবী (সা.)-এর মহিমা
অমুসলিমদের কলমে মহানবী (সা.)-এর মহিমা

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

রাজনৈতিক অস্থিরতায় শঙ্কিত ব্যবসায়ীরা
রাজনৈতিক অস্থিরতায় শঙ্কিত ব্যবসায়ীরা

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সর্বাধিক পঠিত
আওয়ামী লীগ ফিরে এলে তোমাদের হাড্ডিও খুঁজে পাওয়া যাবে না : ইলিয়াস
আওয়ামী লীগ ফিরে এলে তোমাদের হাড্ডিও খুঁজে পাওয়া যাবে না : ইলিয়াস

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩ জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার
৩ জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভাঙ্গা থানা-উপজেলা পরিষদে হামলা-ভাঙচুর, অফিসার্স ক্লাবে অগ্নিসংযোগ
ভাঙ্গা থানা-উপজেলা পরিষদে হামলা-ভাঙচুর, অফিসার্স ক্লাবে অগ্নিসংযোগ

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কেরালায় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবা, নয় মাসে মৃত্যু ১৭
কেরালায় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে মস্তিষ্ক-খেকো অ্যামিবা, নয় মাসে মৃত্যু ১৭

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জামায়াতে ইসলামীর ৫ দফা গণদাবি ঘোষণা
জামায়াতে ইসলামীর ৫ দফা গণদাবি ঘোষণা

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

২৬ মিনিট আগে | জাতীয়

ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকীর পাশে তারেক রহমান
ক্যান্সার আক্রান্ত হেফাজত নেতা মাওলানা ফারুকীর পাশে তারেক রহমান

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৬২ পুলিশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে বদলি
৬২ পুলিশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে বদলি

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আসাদুজ্জামান নূরের ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, অবরুদ্ধ ব্যাংক হিসাব
আসাদুজ্জামান নূরের ফ্ল্যাট-জমি জব্দ, অবরুদ্ধ ব্যাংক হিসাব

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা
বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ পেলেন প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে দরজা ভেঙে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাশিয়া-বেলারুশের সামরিক মহড়ায় হঠাৎ হাজির মার্কিন কর্মকর্তারা
রাশিয়া-বেলারুশের সামরিক মহড়ায় হঠাৎ হাজির মার্কিন কর্মকর্তারা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন স্বামী!
স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিলেন স্বামী!

২০ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে দালাল বিরোধী অভিযান র‌্যাবের
আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে দালাল বিরোধী অভিযান র‌্যাবের

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিয়ের প্রলোভনে তরুণীদের চীনে পাচারের চেষ্টা, চীনা নাগরিকসহ আটক ২
বিয়ের প্রলোভনে তরুণীদের চীনে পাচারের চেষ্টা, চীনা নাগরিকসহ আটক ২

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অস্থায়ী প্রশাসক বসছে পাঁচ ইসলামী ব্যাংকে
অস্থায়ী প্রশাসক বসছে পাঁচ ইসলামী ব্যাংকে

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আফ্রিদি-জয় শাহর ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল
আফ্রিদি-জয় শাহর ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পাঁচদিন টানা বৃষ্টির আভাস
পাঁচদিন টানা বৃষ্টির আভাস

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউরোপকে কড়া বার্তা দিল রাশিয়া
ইউরোপকে কড়া বার্তা দিল রাশিয়া

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রার্থীকে ফোন করে প্রভোস্ট বললেন– ‘গণনায় ভুল হয়েছে, তুমি বিজয়ী নও’
প্রার্থীকে ফোন করে প্রভোস্ট বললেন– ‘গণনায় ভুল হয়েছে, তুমি বিজয়ী নও’

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানাল বাংলাদেশ
কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানাল বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিয়মকানুনের কড়াকড়িতে সিঙ্গাপুর ছাড়ছেন ধনী চীনারা
নিয়মকানুনের কড়াকড়িতে সিঙ্গাপুর ছাড়ছেন ধনী চীনারা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভিকি-ক্যাটরিনার ঘরে আসছে নতুন অতিথি
ভিকি-ক্যাটরিনার ঘরে আসছে নতুন অতিথি

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন নুর
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন নুর

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শুল্ক না কমালে ভারতের জন্য ব্যবসা করা কঠিন হবে, যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি
শুল্ক না কমালে ভারতের জন্য ব্যবসা করা কঠিন হবে, যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লড়াই ক‌রলো হংকং, কষ্টার্জিত জয় পে‌ল শ্রীলঙ্কা
লড়াই ক‌রলো হংকং, কষ্টার্জিত জয় পে‌ল শ্রীলঙ্কা

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এনবিআরে ১৮২ জনের দপ্তর বদল, বাধ্যতামূলক অবসর ও বরখাস্ত ২
এনবিআরে ১৮২ জনের দপ্তর বদল, বাধ্যতামূলক অবসর ও বরখাস্ত ২

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টাঙ্গাইলে যৌনপল্লী থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলে যৌনপল্লী থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হামাস নেতাদের ওপর আরও হামলার ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর
হামাস নেতাদের ওপর আরও হামলার ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হ্যান্ডশেক এড়িয়ে বিতর্কে ভারত, ক্ষুব্ধ শোয়েব আখতার
হ্যান্ডশেক এড়িয়ে বিতর্কে ভারত, ক্ষুব্ধ শোয়েব আখতার

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
রাজনীতিতে জটিল সমীকরণ
রাজনীতিতে জটিল সমীকরণ

প্রথম পৃষ্ঠা

স্থলপথে নিষেধাজ্ঞার পরও ভারতে বাড়ছে রপ্তানি আয়
স্থলপথে নিষেধাজ্ঞার পরও ভারতে বাড়ছে রপ্তানি আয়

পেছনের পৃষ্ঠা

মৌসুমি বাধা মানছে না আম
মৌসুমি বাধা মানছে না আম

পেছনের পৃষ্ঠা

লিটনদের সামনে আফগান বাধা
লিটনদের সামনে আফগান বাধা

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইছেন ছয় নেতা, অন্যদের একক প্রার্থী
বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইছেন ছয় নেতা, অন্যদের একক প্রার্থী

নগর জীবন

ধান ব্যাপারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক
ধান ব্যাপারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক

প্রথম পৃষ্ঠা

অন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যেখানে ব্যতিক্রম রামপাল
অন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যেখানে ব্যতিক্রম রামপাল

প্রথম পৃষ্ঠা

রশিদপুরের পুরোনো কূপ থেকে নতুন করে গ্যাস সঞ্চালন শুরু
রশিদপুরের পুরোনো কূপ থেকে নতুন করে গ্যাস সঞ্চালন শুরু

নগর জীবন

বিএনপির একাধিক প্রার্থী জামায়াতসহ অন্যদের একক
বিএনপির একাধিক প্রার্থী জামায়াতসহ অন্যদের একক

নগর জীবন

ইয়াবার হটস্পট নাইক্ষ্যংছড়ি
ইয়াবার হটস্পট নাইক্ষ্যংছড়ি

পেছনের পৃষ্ঠা

সিরিজ বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিরা
সিরিজ বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিরা

প্রথম পৃষ্ঠা

সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ
সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ

শিল্প বাণিজ্য

রাজা খাঁর বিলে কৃষিবিপ্লব
রাজা খাঁর বিলে কৃষিবিপ্লব

পেছনের পৃষ্ঠা

একটা গোষ্ঠী অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করছে
একটা গোষ্ঠী অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করছে

নগর জীবন

‘ছি ছি ছি তুমি এত খারাপ!’
‘ছি ছি ছি তুমি এত খারাপ!’

শোবিজ

ভেঙে পড়েছেন গাজী আবদুল হাকিম
ভেঙে পড়েছেন গাজী আবদুল হাকিম

শোবিজ

আরাকান আর্মির কাছে বন্দি ১০৪ জেলে
আরাকান আর্মির কাছে বন্দি ১০৪ জেলে

পেছনের পৃষ্ঠা

দেশে গমের আবাদ সর্বনিম্ন পর্যায়ে
দেশে গমের আবাদ সর্বনিম্ন পর্যায়ে

পেছনের পৃষ্ঠা

সাবিনা ইয়াসমিনের জীবনের অপ্রাপ্তি
সাবিনা ইয়াসমিনের জীবনের অপ্রাপ্তি

শোবিজ

বিপৎসীমার ওপরে তিস্তা, বন্যার শঙ্কা
বিপৎসীমার ওপরে তিস্তা, বন্যার শঙ্কা

পেছনের পৃষ্ঠা

ষড়যন্ত্রকারীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছাকাছি
ষড়যন্ত্রকারীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছাকাছি

প্রথম পৃষ্ঠা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তুলকালাম বাগেরহাটে হরতাল অবরোধ
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তুলকালাম বাগেরহাটে হরতাল অবরোধ

প্রথম পৃষ্ঠা

সমঝোতার শেষ চেষ্টা ঐক্য কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস
সমঝোতার শেষ চেষ্টা ঐক্য কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস

প্রথম পৃষ্ঠা

ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে

সম্পাদকীয়

নরসিংদীতে কুপিয়ে হত্যা ব্যবসায়ীকে
নরসিংদীতে কুপিয়ে হত্যা ব্যবসায়ীকে

দেশগ্রাম

সিলেটে র‌্যাব হেফাজতে আসামির মৃত্যু
সিলেটে র‌্যাব হেফাজতে আসামির মৃত্যু

প্রথম পৃষ্ঠা

১৭ দিন পর হাসপাতাল ছাড়লেন নুর
১৭ দিন পর হাসপাতাল ছাড়লেন নুর

নগর জীবন

ভারতে ১২০০ টন ইলিশ পাঠানো হচ্ছে
ভারতে ১২০০ টন ইলিশ পাঠানো হচ্ছে

নগর জীবন

ফ্যাসিবাদের কবর রচনা করতে হবে
ফ্যাসিবাদের কবর রচনা করতে হবে

নগর জীবন