শিরোনাম
প্রকাশ: ১২:৪০, শনিবার, ২৩ মে, ২০২০

মা, আমি ঢাকাতেই আছি

মাজেদুল হক
অনলাইন ভার্সন
মা, আমি ঢাকাতেই আছি

আতুড়িয়া বাড়ির সামনে অংশে গরুর গোয়াল ঘর। অথচ বহরমপুর গ্রামে অন্যান্য বাড়ির সামনে পুকুর ঘাট রয়েছে। রকিবের পেছন পেছন আসছেন মা সোহেলি বেগম। স্বামী মারা যাওয়ার পর এই সন্তানকে নিজেই বড় করেছেন তিনি। এখন ঢাকায় একটি কলেজে পড়ছে। মাকে ছেড়ে যেতে খারাপ লাগে রকিবের। মায়ের কাছে যদি আরো কিছুদিন থাকা যেতো! 

গোয়াল ঘরের সামনে সবুজ ঘাসকে কার্পেটের মতো দেখায়। বাবা যদি আরো কিছুদিন বেঁচে থাকতেন, তাহলে হয়তো এই গোয়াল ঘরটা আর থাকতো না। এই গোয়াল ঘর দাদা করেছিলেন। দাদা মারা যাওয়ার পর বাবার ইচ্ছে ছিল গোয়াল ঘরটি বাড়ির পেছন দিকে নিয়ে যাবে। তবে দাদা মারা যাওয়ার বছর দুই পরেই ক্যান্সার ধরা পড়ে বাবা রুহুল কুদ্দুসের। মায়ের বিয়ের অলংকার থেকে শুরু করে গোয়ালের গাইগুলো পর্যন্ত বিক্রি করে দিতে হয়। এরপর দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে এক নিরন্তর সংগ্রাম সোহেলি বেগমের। বাবার বাড়ি থেকে কিছু সাহায্য এনে আর সেলাই করে সংসার যুদ্ধে নিজেকে টিকিয়ে রাখেন রকিবের মা। 

বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটারের দূরত্বে বাস চলার রাস্তা। খুলনা থেকে আসা বাসগুলো থামলে বোনাটের উপর বসেই ঢাকায় চলে যাওয়া যায়। ভাড়াও কিছুটা কম। বাসের বোনাটে গায়ে গা লেগে বসতে হয়, সেখানে ঘুম ঘুম ভাব আসলেও চোখ বন্ধ করা যায় না। ফেব্রুয়ারির এই সময়টায় করোনাভাইরাস নিয়ে কথা বলছে বাসের কয়েকজন যাত্রী। এরই মধ্যে চীনে অনেক মানুষ মারা গিয়েছে, ধীরে ধীরে ইউরোপেও ভয়ংকর রুপ ধারণ করছে এসব নিয়েই কথা বার্তা। রকিবের ভয় হয় এই করোনাভাইরাস নিয়ে। এই ভাইরাস একজন থেকে আরেকজনের মধ্যে সংক্রামিত হয়। আবার সংক্রমিত হওয়ার সাথে সাথে বোঝাও যায় না। চীনে উহানসহ বেশ কয়েকটি বড় শহর লকডাউন করে দিয়েছে। সেখানে অর্থনীতি প্রায় ভেঙ্গে পড়েছে। বয়স্ক মানুষরাই নাকি বেশি মারা পড়ছে। মা আর ১৪ বছরের ছোট বোন শাপলার কথা মনে পড়ে বুকের ভেতরটা কেমন যে হু হু করে উঠে রকিবের। 

মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সে। পরের দিন সকালে ক্লাস শেষে মোহাম্মদপুরের সুপারশপের দিকে রওনা দেয় সে। মোহাম্মদপুরে সুপারশপ ‘স্বপ্ন’ এর আউটলেটে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করে রকিব। গত ৭ মাস ধরেই এই কাজটি সে উপভোগ করে। দুপুর ২ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত ডিউটি। তার সঙ্গের অনেক বন্ধুরাই ক্লাস শেষে টিউশনি করে নিজের খরচ জোগায়। তবে বাড়ি বাড়ি যেয়ে টিউশনি করার চেয়ে একটি সুপারশপে বিক্রয়কর্মীর চাকুরিটি অনেক বেশি আকর্ষণীয় মনে হয় রকিবের কাছে। এই বেতন দিয়েই নিজের পড়াশোনার খরচ, ছোট বোন শাপলার স্কুলের বেতন আর বাড়ির জন্য কিছু খরচ দেয় রকিব। এই চাকুরিতে কেমন যেন একটা দায়বদ্ধতা রয়েছে। হরেক ধরনের মানুষের সঙ্গে দেখা হয়। এখানে যেমন কঠিন সময় আসে, তেমনি আনন্দের সময়ও রয়েছে। আউটলেটে তার বয়সী আরো অনেক বিক্রয়কর্মী রয়েছেন, যারা বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। তাদেরকে ঘিরে ভাল লাগা মন্দ লাগার একটি নতুন জগৎ তৈরি হয়েছে তার। যখন কলেজে কোন কোন সমস্যায় পড়ে এখানকার বন্ধুদের পরামর্শ নেয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অর্জনে যেমন সবাই একসঙ্গে উৎসব করে, আবার তামিম-মুশফিকদের হার দেখলে সকলের সেদিন মনটা ভার হয়ে থাকে। 

বিভিন্ন দেশে যখন করোনাভাইরাস ছড়াতে শুরু করে, তখন থেকে স্বপ্ন তাদের আউটলেটগুলোতে হেক্সিসল দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করাচ্ছে ক্রেতা-বিক্রেতা সকলকে। হাতে হেক্সিসল মাখতে মাখতে আউটলেটের পেছনে যেয়ে টি-শার্ট পরিবর্তন করে এখানকার ইউনিফর্ম কালো শার্ট পড়ে কাউন্টারের দিকে আসে। কাউন্টারে এখনো সাগর কাজ করছে। রকিবকে দেখে যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো সে। 
কিরে এতো দেরি করলি যে?
কই এতো দেরি! দুই-চার মিনিট হবে! 
আচ্ছা। বাড়ি থেকে আসলি কবে? 
কালকে রাতে। 
বাড়ির সবাই কেমন আছে? 
এইতো ভাল। 
কথা বলার খুব বেশি সময় পায় না দুজনেই। শুধু স্থান বদল করে নিতে নিতে যতটুকু বলা। কয়েকদিন পর দেখা হলেও তারা কিন্তু হাত মিলানো থেকে বিরত থাকলো। কারণ করোনাভাইরাসের সতর্কতা হিসেবে হাত মিলানো বা কোলাকুলি বন্ধ রাখার সুপারিশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ্যা এবং দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তার কাউন্টারে মাত্র ৪ জন কাস্টমার থাকলেও সবার ট্রলিতেই পণ্য বোঝাই রয়েছে। নগদ টাকার চেয়ে কাস্টমাররা যদি ভিসা বা মাস্টারকার্ড দিয়ে বিল দেয় সুবিধা হয় রকিবদের। কারণ দিনে কয়েকশো কাস্টমার যদি নগদ টাকা দেয় তার মূল্য রেখে ভাংতি টাকার হিসাব করতে করতে একটা বড় সময়ের অপচয় হয়। আর ভুল হওয়ার সম্ভাবনাও কমে।

আকাশি শার্ট পড়া একজন কাস্টমার এসে দাঁড়ান কাউন্টারের সামনে। রকিবের পেছনে দাঁড়ানো ফয়সাল একে একে কাস্টমারের ট্রলি থেকে পণ্যগুলো কাউন্টারের উপর উঠাতে থাকে। এক এক করে মূল্য স্ক্যান করে বিল উঠাতে থাকে রকিব। ওয়াসিং পাউডারের আধা কেজির প্যাকেটটির মূল কম্পিউটারের সফটওয়্যারে ওঠানোর পরপরই, ‘থামেন’ বলে উঠলেন ক্রেতা। দাঁড়ান আমি আসলে এক কেজিরটা নিবো। বলেই, কাউন্টার ছেড়ে আবার আউটেলেটের গৃহসামগ্রীর সেলফগুলোর দিকে এগিয়ে গেলেন তিনি।

এদিকে পেছনের দাঁড়ানো ক্রেতাদের চোখে মুখে বিরক্তির ছাপ। নতুন করে দুই জন যোগ হয়েছে কাস্টমারের লাইনে। তাদের সব বিরক্তি যেন রকিবের দিকে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ফিরে আসলেন আকাশি শার্টের ক্রেতা। মুখে হাসি নিয়ে এক কেজির ওয়াশিং পাউডারের প্যাকেটটি ব্যাগে ঢুকালো ফয়সাল। বিল করলো রকিব। সে চেষ্টা করছে যত দ্রুত বিল করা যায়। 

এবার মানিব্যাগ সবগুলো কোনা খোঁজা শুরু করলেন ওই ক্রেতা। কোথাও তিনি তার ক্রেডিট কার্ডটি পাচ্ছেন না। বাড়িতে গতরাতে অনলাইনে কেনাকাটা করার পর আর ক্রেডিট কার্ডটি মানিব্যাগে ঢোকানো হয়নি। দাঁত দিয়ে জীভ কাটলেন। তার বিল হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার টাকা। অথচ পকেটে আছে মাত্র ৬৪০ টাকা। আবার ব্যাগ থেকে পণ্যগুলো বের করে নিচে রাখতে হচ্ছে। তিনি শুধু মশলাগুলোই নিচ্ছেন আজ আর কিছু সবজি। শেষে ৪৩৮ টাকা মূল্যের কেনাকাটা শেষে ওই ক্রেতা কাউন্টার ত্যাগ করলেন। পেছনের কাস্টমারের বয়স ৩৫ থেকে ৪০ হবে। এই ঘটনায় তিনি বেশ বিরক্ত। 
আপনাদের সব কিছু এতো স্লো!
স্যার, স্যরি। উনার কাছে কার্ড ছিল না।
সেটা আপনারা আগে জিজ্ঞাসা করবেন না?
স্যার, আপনার কাছে কি কার্ড আছে?
এবার কিন্তু উল্টো বেশ ক্ষেপে গেলেন তরুণ ক্রেতা। 
এটা কি ধরনের কথা জিজ্ঞাসা করলেন? আমি কি এখানে নাটক করতে এসেছি! কার্ড না থাকলে ক্যাশ টাকা আছে। 
না স্যার। আপনিইতো বললেন, আগে জিজ্ঞাসা করতে। 
বেশি কথা বলবেন না। দ্রুত বিল করেন। 
মনে মনে বেশ হাসি পেল রকিবের। ফয়সাল মুখের উপরে উঠে আসা হাসিটা এক ঢোঁকে গিলে নিলো। 

মার্চের আট তারিখ। আজ ক্রেতারা উঁপচে পড়ছে স্বপ্ন’তে। দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে দেশে ৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গিয়েছে। মানুষ চাল, ডাল, তেল কেনার হিঁড়িক দিয়েছে। যে যত পারছে কিনে নিচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে সবার পক্ষে দরকারি পণ্য কেনা সম্ভব হবে না। বিশেষ করে হেক্সিসলের মতো জীবাণুমুক্তকারী পণ্য বিক্রি হচ্ছে দেদারছে। কর্মীরা সব হিমসিম খাচ্ছে। আজ রাতে মেসে ফিরে ভাত খাওয়ার পর ক্লান্তিতে আর জেগে থাকতে পারে না রকিব। দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত ভালভাবে কিছুক্ষণ বসার সুযোগও মেলেনি। 

সকালে উঠে মাকে ফোন দেয়াটা রকিবের প্রতিদিনের কাজ। আজ মাকে জানালো যে দেশে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে, মা যেন সাবধানে থাকেন। ক্লাসে যেতেই দেখে বন্ধু আর সহপাঠীদের মধ্যে আতঙ্কের ছাপ। স্কুল কলেজগুলো বন্ধের আর্জি জানাচ্ছেন অভিভাবকরা। সন্তানদের স্কুলে পাঠানো নিরাপদ মনে করছেন না। চারিদিকে যেন একটা অস্থিরতা। প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে দুই জন, তিন জন করে। রাস্তায় এখন সন্ধ্যার পর লোকজন কমে গিয়েছে। ফেসবুকে শুধু অজানা আতঙ্ক আর সচেতনতা মূলক পোস্ট। এরই মধ্যে চীনে করোনাভাইরাসের প্রবণতা কমতে শুরু করেছে। বরং বেড়ে যাচ্ছে ইতালিতে। প্রতিদিনই সেখানে কয়েকশত মানুষ মারা যাচ্ছে। স্বপ্নসহ সব সুপারশপ আর মনোহরদি দোকানে বিক্রি বেড়ে গিয়েছে আরো। মাঝখানে চালের দাম কিছু বেড়ে গেলেও আবার নিয়ন্ত্রণে এসেছে। স্বপ্ন থেকে নিয়ম করে দেয়া হয়েছে, কোন ক্রেতা যেন ১০ কেজির বেশি চাল না কিনেন এবং একটির বেশি হেক্সিসল না কিনেন। অনেকই মানতে চাচ্ছেন না। কেউ রাজনৈতিক শক্তির কথা বলে হুমকি দিচ্ছেন, কেউ শরীরের শক্তি প্রদর্শণ করতে চাচ্ছেন। খুব শান্ত হয়েই এসব সামলাতে হচ্ছে রকিবদের। কাউন্টারে দাঁড়িয়ে মানুষের কেনাকাটা দেখে মাঝে মাঝে অবাক হয় সে। এখন আর এক মুহূর্তও বসে থাকার সময় পায় না সে এবং তার সহকর্মীরা। 

ইতালিসহ ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে অনেক প্রবাসী দেশে ফিরে আসছে। তাদেরকে কোয়ারান্টাইনে থাকার জন্য সরকার থেকে বারবার নির্দেশ দেয়া হলেও অনেকেই মানছেন না। আবার এই প্রবাসীরা বেশিরভাগই গ্রামে নিজ বাড়িতে যাচ্ছে এবং ইচ্ছে মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এরই মধ্যে প্রবাসীদের সংস্পর্শে আসা মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে রাষ্ট্রীয় অনেক আয়োজন ছিল। সেগুলোও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ রকিবের ইচ্ছে ছিল এই উপলক্ষ্যে আতশবাজির অনুষ্ঠান দেখতে যাবে, বিভিন্ন কনসার্টে যাবে, হৈ-হুল্লোড় করবে। কিছুই হলো না। কারণ যে কোন সংখ্যক মানুষের ভীড়ই এখন হয়ে উঠেছে বিপদজনক। একজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি থাকলেও সেটি ছড়িয়ে পড়তে পারে কয়েক হাজার জনের মধ্যে। তাই রকিব সব ধরনের ভীড় এড়িয়ে চলছে, অন্যদেরও পরামর্শ দিচ্ছেন। 

মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে দুজন আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর খবর আসলো। স্কুলগুলো বন্ধ করে দিলো সরকার। এর কয়দিন পরেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও বন্ধ হয়ে যায়। তবে এই চাকুরিটার জন্য ঢাকাতে থাকতে হবে রকিবকে। অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে তাদের কর্মীদের বলে দিয়েছে বাসা থেকে অফিস করতে। তবে তাদেরতো সেই উপায় নেই। এই কয়দিন সকালেই ডিউটি করবে বলে আউটলেটের ম্যানেজার আরমানকে জানিয়েছে সে।

তাদের আউটলেটটিতে এখন পরিচ্ছন্নতার কাজ আরো বেড়েছে। প্রতি ঘণ্টায় মেঝে এবং বিভিন্ন সেলফ জীবাণুমুক্ত করা হয়। তাদেরকে মাস্ক এবং গ্লাভস দিয়েছে স্বপ্ন কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও কাউন্টারের সামনে যেন মানুষ একে অপরের সঙ্গে গায়ে গা লাগিয়ে না দাঁড়াতে পারেন, সেই জন্য ফুট স্টেপসও এঁকে দেয়া হয়েছে। তবে রকিব খেয়াল করেছে, বাইরের বাজারগুলোতে এই সতর্কতা নেই। সেখানে মানুষ ভীড় করছে। সেখানকার বিক্রেতারাও মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তাদেরকেওতো সচেতন করা প্রয়োজন, অনুভব করে সে। 

মানুষকে ঘরে অবস্থান করার জন্য ২৭ মার্চ থেকে সরকারি ছুটি ঘোষণা করলো সরকার। তবে ২৩ মার্চ সন্ধ্যা থেকে ঘটলো একটি বিশ্রী ধরনের ব্যাপার। মানুষকে ঘরে অবস্থানের কথা বললেও লঞ্চ টার্মিনাল, বাস টার্মিনাল, রেল স্টেশনে হুমড়ি খেয়ে পড়লো মানুষ গ্রামে ফেরার জন্য। যেটা বাড়িয়ে দিলো করোনাভাইরাস সংক্রণের ভয় আরো কয়েক গুণ। রকিব মনে মনে ভাবে, মানুষের কি দোষ! এই দেশেতো মানুষের কাছে ছুটি মানেই উৎসব করে বাড়ি যাওয়া। 
পরের দিন সকালে সোহেলি বেগম সন্তানকে ফোন দিলেন,  
রকিব। সবাইতো বাড়ি চলে আসছে। তুই আসবি না? 
মা, বাড়ি যাওয়ার জন্য এই ছুটি দেয়া হয়নি। তবে সবাই নিয়ম না মেনে চলে গিয়েছে।
রেগে যায় মা। এতো কথা বলিস না, তুই কবে আসবি?
আমিতো আসতে পারবো না মা। এটা উৎসবের ছুটি না। এই ছুটি বিপদকে মোকাবেলা করার জন্য। 
তোদের স্বপ্ন ছুটি দিবে না? তুই কি ডাক্তার? নাকি পুলিশ?

মায়ের কথা শুনে হেসে দেয় রকিব। বলেন, মা আমাদের ছুটি হয়ে গেলে মানুষ কি খাবে? চিকিৎসকদের যেমন এখন রোগী দেখার দ্বায়িত্ব, পুলিশের যেমন মানুষকে ঘরে ঢুকানোর দ্বায়িত্ব, তেমনি আমাদের দ্বায়িত্ব মানুষের নিত্যদিনের বাজার নিশ্চিত করা। এগুলো কোনটা ছাড়াই মানুষ বাঁচবে না। 

তুই সাবধানে থাকিস, বাবা। দেশের মানুষের জন্য কিছু করার থাকলে, সেটি কর। আমি বাড়িতে আসতে বলবো না। মায়ের কণ্ঠে অভিমানের সুর। 
মা, তুমি কি রাগ করলে? তুমি রাগ করলে আমি ছুটি নিয়ে চলে আসবো। 
নাহ্ বাবা। মায়ের মনতো। তাই মানে না। কিন্তু তোরা যেটা করছিস, সেটা মহান কাজ। তোরা যদি না থাকিস, তাহলে মানুষ কি খাবে? 
সেটাই মা। তুমি ভয় পেয়ো না। আমরা সচেতন থেকে এবং পরিচ্ছন্নতা মেনেই কাজ করছি। কোম্পানি থেকে সব সুরক্ষা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। 
কিন্তু তোর মেসে রান্না করবে কে এখন? যদি অন্যরা চলে যায়। রান্না করার জন্য বুয়া কি আসবে?
মেসে অন্যরা চলে যাওয়ার পর আমি আমাদের স্যারদের অসুবিধার কথা জানাই। উনারা আমাদের থাকা এবং খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এটা একটা সংগ্রাম, মা। যে কোন মূল্যে আমাদের বাজার টিকিয়ে রাখতে হবে। তুমি ভয় পেয়ো না। আমি ঢাকাতেই আছি। 

সেদিন বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় যতদূরে যতক্ষণ রকিবের হাঁটা দেখা যায়, ততক্ষণ তাকিয়ে ছিলেন সোহেলি বেগম। মায়ের মুখটা খুব মনে পড়ছে রকিবের। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে মানুষের এই যুদ্ধ জয় হলে, দ্রুত মাকে দেখে আসবে সে। নিঃশ্বাস দীর্ঘ হতে থাকে তার। আউটলেটের বাইরে মোহাম্মদপুরের এই ব্যস্ত সড়কটি এখন প্রায় ফাঁকা। সরকারি ছুটিতে মানুষ একেবারেই প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের হচ্ছে না। বাহিরে আশপাশে দুই থেকে তিন জন ঘোরাফেরা করছেন। বোঝা যায় ১০টায় আউটলেট খুললেই উনারা প্রবেশ করবেন। হয়তো কাল রাতে হঠাৎ করেই এই ক্রেতাদের কোন একজনের শিশুর খাবারের কোন একটি উপাদান শেষ হয়ে গিয়েছে। আর সেই পণ্যটি বাবার হাতে পৌঁছে দিতেই রকিব এখনো ঢাকাতেই আছে।
 
এপ্রিল মাস চলে আসলো প্রতিদিনই রোগী আর মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে চলছে। এরই মধ্যে বিকাল ৫টার পর সুপারশপও বন্ধ রাখতে বলেছে সরকার। তবে সকাল থেকে মানুষ বাইরে লাইন ধরে দাঁড়ায়। আর এখন হোম ডেলিভারিও করে দিচ্ছে স্বপ্ন। ঢাকা ছাড়ার কোন উপায় নেই রকিবের।


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
বিচারের রায় ঘনিয়ে আসায় উন্মাদ হয়ে এখন নতুন ‘থিওরি’: উপদেষ্টা ফারুকী
বিচারের রায় ঘনিয়ে আসায় উন্মাদ হয়ে এখন নতুন ‘থিওরি’: উপদেষ্টা ফারুকী

২১ মিনিট আগে | জাতীয়

সূচকের মিশ্র প্রবণতায় পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন
সূচকের মিশ্র প্রবণতায় পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

২৮ মিনিট আগে | অর্থনীতি

মরিচের গুঁড়া ছুড়ে স্বর্ণালংকার চুরির চেষ্টা নারীর, খেয়ে বসলেন ২৫ সেকেন্ডে ২০ চড়
মরিচের গুঁড়া ছুড়ে স্বর্ণালংকার চুরির চেষ্টা নারীর, খেয়ে বসলেন ২৫ সেকেন্ডে ২০ চড়

২৮ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

একক নৈপুণ্যে মায়ামিকে সেমিফাইনালে তুললেন মেসি
একক নৈপুণ্যে মায়ামিকে সেমিফাইনালে তুললেন মেসি

৩১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ভিশন এম্পোরিয়াম থেকে টিভি কিনে গাড়ি জিতলেন কুমিল্লার মিঠুন
ভিশন এম্পোরিয়াম থেকে টিভি কিনে গাড়ি জিতলেন কুমিল্লার মিঠুন

৩৫ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

হরিণাকুন্ডুতে সড়ক দুর্ঘটনায় এক নারী নিহত, আহত ২
হরিণাকুন্ডুতে সড়ক দুর্ঘটনায় এক নারী নিহত, আহত ২

৩৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জাতীয় দলের ৯৯ ভাগ নারী ক্রিকেটার হয়েছেন কুপ্রস্তাবের শিকার : রেশমা
জাতীয় দলের ৯৯ ভাগ নারী ক্রিকেটার হয়েছেন কুপ্রস্তাবের শিকার : রেশমা

৪০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

জনমনে উদ্বেগ আলোচনা গুঞ্জন
জনমনে উদ্বেগ আলোচনা গুঞ্জন

৪০ মিনিট আগে | জাতীয়

বিআরটি প্রকল্পের সেতুর নিচে যুবকের মরদেহ
বিআরটি প্রকল্পের সেতুর নিচে যুবকের মরদেহ

৪১ মিনিট আগে | নগর জীবন

বিবিসি শতভাগ ‘ভুয়া সংবাদমাধ্যম’:  ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি
বিবিসি শতভাগ ‘ভুয়া সংবাদমাধ্যম’:  ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি

৪৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঝিনাইদহে নিখোঁজের ৩ দিন পর নারীর মরদেহ উদ্ধার
ঝিনাইদহে নিখোঁজের ৩ দিন পর নারীর মরদেহ উদ্ধার

৫১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

অ্যাপলের গোপন চমক ফাঁস: ফোল্ডেবল আইফোনের অপেক্ষা শেষ!
অ্যাপলের গোপন চমক ফাঁস: ফোল্ডেবল আইফোনের অপেক্ষা শেষ!

৫৩ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

সংকটের মুহূর্তে জাতির রক্ষাকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হন জিয়াউর রহমান : ড. খোন্দকার বাবলু
সংকটের মুহূর্তে জাতির রক্ষাকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হন জিয়াউর রহমান : ড. খোন্দকার বাবলু

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এবার ধেয়ে আসছে সুপার টাইফুন, লাখো মানুষকে সরাল ফিলিপাইন
এবার ধেয়ে আসছে সুপার টাইফুন, লাখো মানুষকে সরাল ফিলিপাইন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচন নিয়ে কোনও শঙ্কা নেই: আসিফ নজরুল
নির্বাচন নিয়ে কোনও শঙ্কা নেই: আসিফ নজরুল

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঐতিহাসিক সফরে আমেরিকায় গেলেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট
ঐতিহাসিক সফরে আমেরিকায় গেলেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকার নতুন জেলা প্রশাসক শফিউল আলম
ঢাকার নতুন জেলা প্রশাসক শফিউল আলম

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

খাদ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে, এমন দেশ থেকে আমদানিনির্ভরতা কমবে : প্রেস সচিব
খাদ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে, এমন দেশ থেকে আমদানিনির্ভরতা কমবে : প্রেস সচিব

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া
পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের জন্যই লাখ লাখ মানুষ রক্ষা পেয়েছে: পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী
ট্রাম্পের জন্যই লাখ লাখ মানুষ রক্ষা পেয়েছে: পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকার বাতাস আজ ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’, শীর্ষে দিল্লি
ঢাকার বাতাস আজ ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’, শীর্ষে দিল্লি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আজকের খেলার সময়সূচি
আজকের খেলার সময়সূচি

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচনের পথে বাংলাদেশ
নির্বাচনের পথে বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

সুদানে ‘অকল্পনীয় নৃশংসতার’ সতর্কবার্তা জাতিসংঘের
সুদানে ‘অকল্পনীয় নৃশংসতার’ সতর্কবার্তা জাতিসংঘের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তিন দিন ধরে বঙ্গোপসাগরে ভাসতে থাকা ১৩ জেলে উদ্ধার
তিন দিন ধরে বঙ্গোপসাগরে ভাসতে থাকা ১৩ জেলে উদ্ধার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শাটডাউন : যুক্তরাষ্ট্রে এক দিনে ১৪০০ ফ্লাইট বাতিল
শাটডাউন : যুক্তরাষ্ট্রে এক দিনে ১৪০০ ফ্লাইট বাতিল

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া
যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কর্মবিরতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা
কর্মবিরতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যে দামে কেনা যাবে প্রতি ভরি স্বর্ণ
যে দামে কেনা যাবে প্রতি ভরি স্বর্ণ

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গাজায় ধ্বংসস্তূপে এখনও অগণিত মরদেহ, নিহত ছাড়াল ৬৯ হাজার
গাজায় ধ্বংসস্তূপে এখনও অগণিত মরদেহ, নিহত ছাড়াল ৬৯ হাজার

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
জামায়াতের সঙ্গে কোনো ঐক্য হবে না: হেফাজত আমির
জামায়াতের সঙ্গে কোনো ঐক্য হবে না: হেফাজত আমির

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অবশেষে মুখ খুললেন রাশমিকা, জানালেন কেন বিয়ে করছেন বিজয়কে
অবশেষে মুখ খুললেন রাশমিকা, জানালেন কেন বিয়ে করছেন বিজয়কে

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ডায়াবেটিস-হৃদ্‌রোগীদের জন্য দুঃসংবাদ, বন্ধ হতে পারে মার্কিন ভিসা
ডায়াবেটিস-হৃদ্‌রোগীদের জন্য দুঃসংবাদ, বন্ধ হতে পারে মার্কিন ভিসা

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যোগ্য প্রার্থী দলের মনোনয়ন পাবেন: রুমিন ফারহানা
যোগ্য প্রার্থী দলের মনোনয়ন পাবেন: রুমিন ফারহানা

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১৫ জেলায় নতুন ডিসি, প্রজ্ঞাপন জারি
১৫ জেলায় নতুন ডিসি, প্রজ্ঞাপন জারি

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকা জেলার নতুন ডিসি শফিউল আলম
ঢাকা জেলার নতুন ডিসি শফিউল আলম

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অনির্দিষ্টকালের জন্য পাঠদান বন্ধের ঘোষণা শিক্ষকদের
অনির্দিষ্টকালের জন্য পাঠদান বন্ধের ঘোষণা শিক্ষকদের

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে বিএনপির হাত ধরে বারবার গণতন্ত্র এসেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
দেশে বিএনপির হাত ধরে বারবার গণতন্ত্র এসেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাত্র দুই দিনেই ম্লান হলো ট্রাম্পের একচ্ছত্র ক্ষমতা!
মাত্র দুই দিনেই ম্লান হলো ট্রাম্পের একচ্ছত্র ক্ষমতা!

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চার লাখ যথেষ্ট নয়, শামির কাছে ভরণপোষণ বাবদ ১০ লাখ দাবি হাসিনের
চার লাখ যথেষ্ট নয়, শামির কাছে ভরণপোষণ বাবদ ১০ লাখ দাবি হাসিনের

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীর টিটিপাড়া ৬ লেনের রেলওয়ে আন্ডারপাস উদ্বোধন
রাজধানীর টিটিপাড়া ৬ লেনের রেলওয়ে আন্ডারপাস উদ্বোধন

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিক্ষকদের আন্দোলনে পড়াশোনার ক্ষতি হলে কঠোর ব্যবস্থা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা
শিক্ষকদের আন্দোলনে পড়াশোনার ক্ষতি হলে কঠোর ব্যবস্থা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ
শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৮ ডিসিকে যুগ্মসচিব হিসেবে পদায়ন
৮ ডিসিকে যুগ্মসচিব হিসেবে পদায়ন

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মানিকগঞ্জে অবশেষে ধরা পড়লো বিশাল আকৃতির সেই কুমির
মানিকগঞ্জে অবশেষে ধরা পড়লো বিশাল আকৃতির সেই কুমির

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এশিয়া কাপ ট্রফি বিতর্ক, যে পদক্ষেপ নিল আইসিসি
এশিয়া কাপ ট্রফি বিতর্ক, যে পদক্ষেপ নিল আইসিসি

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জাহানারা ইস্যুতে বিসিবির তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
জাহানারা ইস্যুতে বিসিবির তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

করাচি-চট্টগ্রাম সরাসরি শিপিং চালু করল পাকিস্তান ও বাংলাদেশ
করাচি-চট্টগ্রাম সরাসরি শিপিং চালু করল পাকিস্তান ও বাংলাদেশ

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দাবি না মানলে ১১ নভেম্বর কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবে আট দল
দাবি না মানলে ১১ নভেম্বর কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবে আট দল

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সৌদি প্রো লিগে রোনালদোর নতুন ইতিহাস
সৌদি প্রো লিগে রোনালদোর নতুন ইতিহাস

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিচারক সভ্যতার শিকড় না বুঝে আইনের ব্যাখ্যা দিতে পারেন না : প্রধান বিচারপতি
বিচারক সভ্যতার শিকড় না বুঝে আইনের ব্যাখ্যা দিতে পারেন না : প্রধান বিচারপতি

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফের বিশ্বকাপে খেলার ইঙ্গিত দিলেন মেসি!
ফের বিশ্বকাপে খেলার ইঙ্গিত দিলেন মেসি!

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পপি সিড বা পোস্ত দানা কী, আইন কী বলে?
পপি সিড বা পোস্ত দানা কী, আইন কী বলে?

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডিসেম্বরের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে : সালাহউদ্দিন
ডিসেম্বরের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে : সালাহউদ্দিন

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গিয়াসউদ্দিনকে মিষ্টিমুখ করালেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আজহারুল
গিয়াসউদ্দিনকে মিষ্টিমুখ করালেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আজহারুল

১৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

আমি আর আমার ছেলে একসঙ্গে বড় হয়েছি: শ্রাবন্তী
আমি আর আমার ছেলে একসঙ্গে বড় হয়েছি: শ্রাবন্তী

১২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বন্দিদের মরদেহ ফেরত না আসা পর্যন্ত অভিযান চলবে: ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী
বন্দিদের মরদেহ ফেরত না আসা পর্যন্ত অভিযান চলবে: ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে প্রাচীন বিজয়ের স্মৃতিস্তম্ভ উন্মোচন, শত্রুর প্রতি সতর্কবার্তা
ইরানে প্রাচীন বিজয়ের স্মৃতিস্তম্ভ উন্মোচন, শত্রুর প্রতি সতর্কবার্তা

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কর্মবিরতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা
কর্মবিরতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম সব উপজেলায় পাঠানোর নির্দেশ
সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম সব উপজেলায় পাঠানোর নির্দেশ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
১৫ নভেম্বর থেকে নতুন পোশাকে পুলিশ
১৫ নভেম্বর থেকে নতুন পোশাকে পুলিশ

প্রথম পৃষ্ঠা

ফের সংকট চরমে
ফের সংকট চরমে

প্রথম পৃষ্ঠা

মঞ্জুর বিরুদ্ধে এবার রুমানার অভিযোগ
মঞ্জুর বিরুদ্ধে এবার রুমানার অভিযোগ

মাঠে ময়দানে

সাঁড়াশি অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী
সাঁড়াশি অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যাংক কর্মকর্তা থেকে ব্যাংক লুটেরা
ব্যাংক কর্মকর্তা থেকে ব্যাংক লুটেরা

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

জেলে বসেই হত্যার নির্দেশ
জেলে বসেই হত্যার নির্দেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

সেনাবাহিনীই শেষ ভরসা
সেনাবাহিনীই শেষ ভরসা

প্রথম পৃষ্ঠা

সহিহ আকিদার দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হলে সর্বোত্তম
সহিহ আকিদার দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হলে সর্বোত্তম

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে আটকাবস্থা থেকে মুক্তি বাংলাদেশি মাসুমা খানের
যুক্তরাষ্ট্রে আটকাবস্থা থেকে মুক্তি বাংলাদেশি মাসুমা খানের

পেছনের পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টিক সিটির কাউন্সিলর বাংলাদেশি সোহেল
যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টিক সিটির কাউন্সিলর বাংলাদেশি সোহেল

পেছনের পৃষ্ঠা

স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বরিশালে বিক্ষোভ
স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বরিশালে বিক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

ডিসেম্বরের প্রথমার্ধেই হতে হবে তফসিল
ডিসেম্বরের প্রথমার্ধেই হতে হবে তফসিল

প্রথম পৃষ্ঠা

অবশেষে চালু টিটিপাড়া ছয় লেন আন্ডারপাস
অবশেষে চালু টিটিপাড়া ছয় লেন আন্ডারপাস

পেছনের পৃষ্ঠা

লাইনচ্যুত বগি রেখে চলে গেল ট্রেন
লাইনচ্যুত বগি রেখে চলে গেল ট্রেন

পেছনের পৃষ্ঠা

রপ্তানি ধরে রাখতে আসছে লজিস্টিক সুবিধা
রপ্তানি ধরে রাখতে আসছে লজিস্টিক সুবিধা

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তেজনা চায় না ভারত
বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তেজনা চায় না ভারত

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচন নিয়ে কথা বললেন না আসিফ নজরুল
নির্বাচন নিয়ে কথা বললেন না আসিফ নজরুল

পেছনের পৃষ্ঠা

নারীর ক্ষমতায়ন প্রশ্নে দলগুলো প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে
নারীর ক্ষমতায়ন প্রশ্নে দলগুলো প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে

পেছনের পৃষ্ঠা

এনসিপিতে  নির্বাচনি হাওয়া আসছে চমক
এনসিপিতে নির্বাচনি হাওয়া আসছে চমক

প্রথম পৃষ্ঠা

রয়্যাল চ্যাম্পসের অধিনায়ক
রয়্যাল চ্যাম্পসের অধিনায়ক

মাঠে ময়দানে

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বাবা-ছেলে
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বাবা-ছেলে

মাঠে ময়দানে

বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে জনগণই প্রতিরোধ করবে
বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে জনগণই প্রতিরোধ করবে

পেছনের পৃষ্ঠা

দ্রুততম হাজার রানের রেকর্ড
দ্রুততম হাজার রানের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

মুশফিকের ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ
মুশফিকের ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ

মাঠে ময়দানে

অনশনের ১০০ ঘণ্টা পূর্ণ, নিবন্ধন ছাড়া উঠবেন না তারেক
অনশনের ১০০ ঘণ্টা পূর্ণ, নিবন্ধন ছাড়া উঠবেন না তারেক

পেছনের পৃষ্ঠা

শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ জলকামান
শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ জলকামান

পেছনের পৃষ্ঠা

চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়া যাবে না
চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়া যাবে না

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজনীতি স্থিতিশীল থাকলে অর্থনীতি আরও ভালোভাবে চলবে
রাজনীতি স্থিতিশীল থাকলে অর্থনীতি আরও ভালোভাবে চলবে

পেছনের পৃষ্ঠা

১৫ জনের মনোনয়ন চায় শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট
১৫ জনের মনোনয়ন চায় শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট

পেছনের পৃষ্ঠা