শিরোনাম
প্রকাশ: ১২:৪০, শনিবার, ২৩ মে, ২০২০

মা, আমি ঢাকাতেই আছি

মাজেদুল হক
অনলাইন ভার্সন
মা, আমি ঢাকাতেই আছি

আতুড়িয়া বাড়ির সামনে অংশে গরুর গোয়াল ঘর। অথচ বহরমপুর গ্রামে অন্যান্য বাড়ির সামনে পুকুর ঘাট রয়েছে। রকিবের পেছন পেছন আসছেন মা সোহেলি বেগম। স্বামী মারা যাওয়ার পর এই সন্তানকে নিজেই বড় করেছেন তিনি। এখন ঢাকায় একটি কলেজে পড়ছে। মাকে ছেড়ে যেতে খারাপ লাগে রকিবের। মায়ের কাছে যদি আরো কিছুদিন থাকা যেতো! 

গোয়াল ঘরের সামনে সবুজ ঘাসকে কার্পেটের মতো দেখায়। বাবা যদি আরো কিছুদিন বেঁচে থাকতেন, তাহলে হয়তো এই গোয়াল ঘরটা আর থাকতো না। এই গোয়াল ঘর দাদা করেছিলেন। দাদা মারা যাওয়ার পর বাবার ইচ্ছে ছিল গোয়াল ঘরটি বাড়ির পেছন দিকে নিয়ে যাবে। তবে দাদা মারা যাওয়ার বছর দুই পরেই ক্যান্সার ধরা পড়ে বাবা রুহুল কুদ্দুসের। মায়ের বিয়ের অলংকার থেকে শুরু করে গোয়ালের গাইগুলো পর্যন্ত বিক্রি করে দিতে হয়। এরপর দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে এক নিরন্তর সংগ্রাম সোহেলি বেগমের। বাবার বাড়ি থেকে কিছু সাহায্য এনে আর সেলাই করে সংসার যুদ্ধে নিজেকে টিকিয়ে রাখেন রকিবের মা। 

বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটারের দূরত্বে বাস চলার রাস্তা। খুলনা থেকে আসা বাসগুলো থামলে বোনাটের উপর বসেই ঢাকায় চলে যাওয়া যায়। ভাড়াও কিছুটা কম। বাসের বোনাটে গায়ে গা লেগে বসতে হয়, সেখানে ঘুম ঘুম ভাব আসলেও চোখ বন্ধ করা যায় না। ফেব্রুয়ারির এই সময়টায় করোনাভাইরাস নিয়ে কথা বলছে বাসের কয়েকজন যাত্রী। এরই মধ্যে চীনে অনেক মানুষ মারা গিয়েছে, ধীরে ধীরে ইউরোপেও ভয়ংকর রুপ ধারণ করছে এসব নিয়েই কথা বার্তা। রকিবের ভয় হয় এই করোনাভাইরাস নিয়ে। এই ভাইরাস একজন থেকে আরেকজনের মধ্যে সংক্রামিত হয়। আবার সংক্রমিত হওয়ার সাথে সাথে বোঝাও যায় না। চীনে উহানসহ বেশ কয়েকটি বড় শহর লকডাউন করে দিয়েছে। সেখানে অর্থনীতি প্রায় ভেঙ্গে পড়েছে। বয়স্ক মানুষরাই নাকি বেশি মারা পড়ছে। মা আর ১৪ বছরের ছোট বোন শাপলার কথা মনে পড়ে বুকের ভেতরটা কেমন যে হু হু করে উঠে রকিবের। 

মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সে। পরের দিন সকালে ক্লাস শেষে মোহাম্মদপুরের সুপারশপের দিকে রওনা দেয় সে। মোহাম্মদপুরে সুপারশপ ‘স্বপ্ন’ এর আউটলেটে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করে রকিব। গত ৭ মাস ধরেই এই কাজটি সে উপভোগ করে। দুপুর ২ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত ডিউটি। তার সঙ্গের অনেক বন্ধুরাই ক্লাস শেষে টিউশনি করে নিজের খরচ জোগায়। তবে বাড়ি বাড়ি যেয়ে টিউশনি করার চেয়ে একটি সুপারশপে বিক্রয়কর্মীর চাকুরিটি অনেক বেশি আকর্ষণীয় মনে হয় রকিবের কাছে। এই বেতন দিয়েই নিজের পড়াশোনার খরচ, ছোট বোন শাপলার স্কুলের বেতন আর বাড়ির জন্য কিছু খরচ দেয় রকিব। এই চাকুরিতে কেমন যেন একটা দায়বদ্ধতা রয়েছে। হরেক ধরনের মানুষের সঙ্গে দেখা হয়। এখানে যেমন কঠিন সময় আসে, তেমনি আনন্দের সময়ও রয়েছে। আউটলেটে তার বয়সী আরো অনেক বিক্রয়কর্মী রয়েছেন, যারা বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। তাদেরকে ঘিরে ভাল লাগা মন্দ লাগার একটি নতুন জগৎ তৈরি হয়েছে তার। যখন কলেজে কোন কোন সমস্যায় পড়ে এখানকার বন্ধুদের পরামর্শ নেয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অর্জনে যেমন সবাই একসঙ্গে উৎসব করে, আবার তামিম-মুশফিকদের হার দেখলে সকলের সেদিন মনটা ভার হয়ে থাকে। 

বিভিন্ন দেশে যখন করোনাভাইরাস ছড়াতে শুরু করে, তখন থেকে স্বপ্ন তাদের আউটলেটগুলোতে হেক্সিসল দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করাচ্ছে ক্রেতা-বিক্রেতা সকলকে। হাতে হেক্সিসল মাখতে মাখতে আউটলেটের পেছনে যেয়ে টি-শার্ট পরিবর্তন করে এখানকার ইউনিফর্ম কালো শার্ট পড়ে কাউন্টারের দিকে আসে। কাউন্টারে এখনো সাগর কাজ করছে। রকিবকে দেখে যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো সে। 
কিরে এতো দেরি করলি যে?
কই এতো দেরি! দুই-চার মিনিট হবে! 
আচ্ছা। বাড়ি থেকে আসলি কবে? 
কালকে রাতে। 
বাড়ির সবাই কেমন আছে? 
এইতো ভাল। 
কথা বলার খুব বেশি সময় পায় না দুজনেই। শুধু স্থান বদল করে নিতে নিতে যতটুকু বলা। কয়েকদিন পর দেখা হলেও তারা কিন্তু হাত মিলানো থেকে বিরত থাকলো। কারণ করোনাভাইরাসের সতর্কতা হিসেবে হাত মিলানো বা কোলাকুলি বন্ধ রাখার সুপারিশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ্যা এবং দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তার কাউন্টারে মাত্র ৪ জন কাস্টমার থাকলেও সবার ট্রলিতেই পণ্য বোঝাই রয়েছে। নগদ টাকার চেয়ে কাস্টমাররা যদি ভিসা বা মাস্টারকার্ড দিয়ে বিল দেয় সুবিধা হয় রকিবদের। কারণ দিনে কয়েকশো কাস্টমার যদি নগদ টাকা দেয় তার মূল্য রেখে ভাংতি টাকার হিসাব করতে করতে একটা বড় সময়ের অপচয় হয়। আর ভুল হওয়ার সম্ভাবনাও কমে।

আকাশি শার্ট পড়া একজন কাস্টমার এসে দাঁড়ান কাউন্টারের সামনে। রকিবের পেছনে দাঁড়ানো ফয়সাল একে একে কাস্টমারের ট্রলি থেকে পণ্যগুলো কাউন্টারের উপর উঠাতে থাকে। এক এক করে মূল্য স্ক্যান করে বিল উঠাতে থাকে রকিব। ওয়াসিং পাউডারের আধা কেজির প্যাকেটটির মূল কম্পিউটারের সফটওয়্যারে ওঠানোর পরপরই, ‘থামেন’ বলে উঠলেন ক্রেতা। দাঁড়ান আমি আসলে এক কেজিরটা নিবো। বলেই, কাউন্টার ছেড়ে আবার আউটেলেটের গৃহসামগ্রীর সেলফগুলোর দিকে এগিয়ে গেলেন তিনি।

এদিকে পেছনের দাঁড়ানো ক্রেতাদের চোখে মুখে বিরক্তির ছাপ। নতুন করে দুই জন যোগ হয়েছে কাস্টমারের লাইনে। তাদের সব বিরক্তি যেন রকিবের দিকে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ফিরে আসলেন আকাশি শার্টের ক্রেতা। মুখে হাসি নিয়ে এক কেজির ওয়াশিং পাউডারের প্যাকেটটি ব্যাগে ঢুকালো ফয়সাল। বিল করলো রকিব। সে চেষ্টা করছে যত দ্রুত বিল করা যায়। 

এবার মানিব্যাগ সবগুলো কোনা খোঁজা শুরু করলেন ওই ক্রেতা। কোথাও তিনি তার ক্রেডিট কার্ডটি পাচ্ছেন না। বাড়িতে গতরাতে অনলাইনে কেনাকাটা করার পর আর ক্রেডিট কার্ডটি মানিব্যাগে ঢোকানো হয়নি। দাঁত দিয়ে জীভ কাটলেন। তার বিল হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার টাকা। অথচ পকেটে আছে মাত্র ৬৪০ টাকা। আবার ব্যাগ থেকে পণ্যগুলো বের করে নিচে রাখতে হচ্ছে। তিনি শুধু মশলাগুলোই নিচ্ছেন আজ আর কিছু সবজি। শেষে ৪৩৮ টাকা মূল্যের কেনাকাটা শেষে ওই ক্রেতা কাউন্টার ত্যাগ করলেন। পেছনের কাস্টমারের বয়স ৩৫ থেকে ৪০ হবে। এই ঘটনায় তিনি বেশ বিরক্ত। 
আপনাদের সব কিছু এতো স্লো!
স্যার, স্যরি। উনার কাছে কার্ড ছিল না।
সেটা আপনারা আগে জিজ্ঞাসা করবেন না?
স্যার, আপনার কাছে কি কার্ড আছে?
এবার কিন্তু উল্টো বেশ ক্ষেপে গেলেন তরুণ ক্রেতা। 
এটা কি ধরনের কথা জিজ্ঞাসা করলেন? আমি কি এখানে নাটক করতে এসেছি! কার্ড না থাকলে ক্যাশ টাকা আছে। 
না স্যার। আপনিইতো বললেন, আগে জিজ্ঞাসা করতে। 
বেশি কথা বলবেন না। দ্রুত বিল করেন। 
মনে মনে বেশ হাসি পেল রকিবের। ফয়সাল মুখের উপরে উঠে আসা হাসিটা এক ঢোঁকে গিলে নিলো। 

মার্চের আট তারিখ। আজ ক্রেতারা উঁপচে পড়ছে স্বপ্ন’তে। দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে দেশে ৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গিয়েছে। মানুষ চাল, ডাল, তেল কেনার হিঁড়িক দিয়েছে। যে যত পারছে কিনে নিচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে সবার পক্ষে দরকারি পণ্য কেনা সম্ভব হবে না। বিশেষ করে হেক্সিসলের মতো জীবাণুমুক্তকারী পণ্য বিক্রি হচ্ছে দেদারছে। কর্মীরা সব হিমসিম খাচ্ছে। আজ রাতে মেসে ফিরে ভাত খাওয়ার পর ক্লান্তিতে আর জেগে থাকতে পারে না রকিব। দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত ভালভাবে কিছুক্ষণ বসার সুযোগও মেলেনি। 

সকালে উঠে মাকে ফোন দেয়াটা রকিবের প্রতিদিনের কাজ। আজ মাকে জানালো যে দেশে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে, মা যেন সাবধানে থাকেন। ক্লাসে যেতেই দেখে বন্ধু আর সহপাঠীদের মধ্যে আতঙ্কের ছাপ। স্কুল কলেজগুলো বন্ধের আর্জি জানাচ্ছেন অভিভাবকরা। সন্তানদের স্কুলে পাঠানো নিরাপদ মনে করছেন না। চারিদিকে যেন একটা অস্থিরতা। প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে দুই জন, তিন জন করে। রাস্তায় এখন সন্ধ্যার পর লোকজন কমে গিয়েছে। ফেসবুকে শুধু অজানা আতঙ্ক আর সচেতনতা মূলক পোস্ট। এরই মধ্যে চীনে করোনাভাইরাসের প্রবণতা কমতে শুরু করেছে। বরং বেড়ে যাচ্ছে ইতালিতে। প্রতিদিনই সেখানে কয়েকশত মানুষ মারা যাচ্ছে। স্বপ্নসহ সব সুপারশপ আর মনোহরদি দোকানে বিক্রি বেড়ে গিয়েছে আরো। মাঝখানে চালের দাম কিছু বেড়ে গেলেও আবার নিয়ন্ত্রণে এসেছে। স্বপ্ন থেকে নিয়ম করে দেয়া হয়েছে, কোন ক্রেতা যেন ১০ কেজির বেশি চাল না কিনেন এবং একটির বেশি হেক্সিসল না কিনেন। অনেকই মানতে চাচ্ছেন না। কেউ রাজনৈতিক শক্তির কথা বলে হুমকি দিচ্ছেন, কেউ শরীরের শক্তি প্রদর্শণ করতে চাচ্ছেন। খুব শান্ত হয়েই এসব সামলাতে হচ্ছে রকিবদের। কাউন্টারে দাঁড়িয়ে মানুষের কেনাকাটা দেখে মাঝে মাঝে অবাক হয় সে। এখন আর এক মুহূর্তও বসে থাকার সময় পায় না সে এবং তার সহকর্মীরা। 

ইতালিসহ ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে অনেক প্রবাসী দেশে ফিরে আসছে। তাদেরকে কোয়ারান্টাইনে থাকার জন্য সরকার থেকে বারবার নির্দেশ দেয়া হলেও অনেকেই মানছেন না। আবার এই প্রবাসীরা বেশিরভাগই গ্রামে নিজ বাড়িতে যাচ্ছে এবং ইচ্ছে মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এরই মধ্যে প্রবাসীদের সংস্পর্শে আসা মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে রাষ্ট্রীয় অনেক আয়োজন ছিল। সেগুলোও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ রকিবের ইচ্ছে ছিল এই উপলক্ষ্যে আতশবাজির অনুষ্ঠান দেখতে যাবে, বিভিন্ন কনসার্টে যাবে, হৈ-হুল্লোড় করবে। কিছুই হলো না। কারণ যে কোন সংখ্যক মানুষের ভীড়ই এখন হয়ে উঠেছে বিপদজনক। একজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি থাকলেও সেটি ছড়িয়ে পড়তে পারে কয়েক হাজার জনের মধ্যে। তাই রকিব সব ধরনের ভীড় এড়িয়ে চলছে, অন্যদেরও পরামর্শ দিচ্ছেন। 

মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে দুজন আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর খবর আসলো। স্কুলগুলো বন্ধ করে দিলো সরকার। এর কয়দিন পরেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও বন্ধ হয়ে যায়। তবে এই চাকুরিটার জন্য ঢাকাতে থাকতে হবে রকিবকে। অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে তাদের কর্মীদের বলে দিয়েছে বাসা থেকে অফিস করতে। তবে তাদেরতো সেই উপায় নেই। এই কয়দিন সকালেই ডিউটি করবে বলে আউটলেটের ম্যানেজার আরমানকে জানিয়েছে সে।

তাদের আউটলেটটিতে এখন পরিচ্ছন্নতার কাজ আরো বেড়েছে। প্রতি ঘণ্টায় মেঝে এবং বিভিন্ন সেলফ জীবাণুমুক্ত করা হয়। তাদেরকে মাস্ক এবং গ্লাভস দিয়েছে স্বপ্ন কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও কাউন্টারের সামনে যেন মানুষ একে অপরের সঙ্গে গায়ে গা লাগিয়ে না দাঁড়াতে পারেন, সেই জন্য ফুট স্টেপসও এঁকে দেয়া হয়েছে। তবে রকিব খেয়াল করেছে, বাইরের বাজারগুলোতে এই সতর্কতা নেই। সেখানে মানুষ ভীড় করছে। সেখানকার বিক্রেতারাও মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তাদেরকেওতো সচেতন করা প্রয়োজন, অনুভব করে সে। 

মানুষকে ঘরে অবস্থান করার জন্য ২৭ মার্চ থেকে সরকারি ছুটি ঘোষণা করলো সরকার। তবে ২৩ মার্চ সন্ধ্যা থেকে ঘটলো একটি বিশ্রী ধরনের ব্যাপার। মানুষকে ঘরে অবস্থানের কথা বললেও লঞ্চ টার্মিনাল, বাস টার্মিনাল, রেল স্টেশনে হুমড়ি খেয়ে পড়লো মানুষ গ্রামে ফেরার জন্য। যেটা বাড়িয়ে দিলো করোনাভাইরাস সংক্রণের ভয় আরো কয়েক গুণ। রকিব মনে মনে ভাবে, মানুষের কি দোষ! এই দেশেতো মানুষের কাছে ছুটি মানেই উৎসব করে বাড়ি যাওয়া। 
পরের দিন সকালে সোহেলি বেগম সন্তানকে ফোন দিলেন,  
রকিব। সবাইতো বাড়ি চলে আসছে। তুই আসবি না? 
মা, বাড়ি যাওয়ার জন্য এই ছুটি দেয়া হয়নি। তবে সবাই নিয়ম না মেনে চলে গিয়েছে।
রেগে যায় মা। এতো কথা বলিস না, তুই কবে আসবি?
আমিতো আসতে পারবো না মা। এটা উৎসবের ছুটি না। এই ছুটি বিপদকে মোকাবেলা করার জন্য। 
তোদের স্বপ্ন ছুটি দিবে না? তুই কি ডাক্তার? নাকি পুলিশ?

মায়ের কথা শুনে হেসে দেয় রকিব। বলেন, মা আমাদের ছুটি হয়ে গেলে মানুষ কি খাবে? চিকিৎসকদের যেমন এখন রোগী দেখার দ্বায়িত্ব, পুলিশের যেমন মানুষকে ঘরে ঢুকানোর দ্বায়িত্ব, তেমনি আমাদের দ্বায়িত্ব মানুষের নিত্যদিনের বাজার নিশ্চিত করা। এগুলো কোনটা ছাড়াই মানুষ বাঁচবে না। 

তুই সাবধানে থাকিস, বাবা। দেশের মানুষের জন্য কিছু করার থাকলে, সেটি কর। আমি বাড়িতে আসতে বলবো না। মায়ের কণ্ঠে অভিমানের সুর। 
মা, তুমি কি রাগ করলে? তুমি রাগ করলে আমি ছুটি নিয়ে চলে আসবো। 
নাহ্ বাবা। মায়ের মনতো। তাই মানে না। কিন্তু তোরা যেটা করছিস, সেটা মহান কাজ। তোরা যদি না থাকিস, তাহলে মানুষ কি খাবে? 
সেটাই মা। তুমি ভয় পেয়ো না। আমরা সচেতন থেকে এবং পরিচ্ছন্নতা মেনেই কাজ করছি। কোম্পানি থেকে সব সুরক্ষা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। 
কিন্তু তোর মেসে রান্না করবে কে এখন? যদি অন্যরা চলে যায়। রান্না করার জন্য বুয়া কি আসবে?
মেসে অন্যরা চলে যাওয়ার পর আমি আমাদের স্যারদের অসুবিধার কথা জানাই। উনারা আমাদের থাকা এবং খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এটা একটা সংগ্রাম, মা। যে কোন মূল্যে আমাদের বাজার টিকিয়ে রাখতে হবে। তুমি ভয় পেয়ো না। আমি ঢাকাতেই আছি। 

সেদিন বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় যতদূরে যতক্ষণ রকিবের হাঁটা দেখা যায়, ততক্ষণ তাকিয়ে ছিলেন সোহেলি বেগম। মায়ের মুখটা খুব মনে পড়ছে রকিবের। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে মানুষের এই যুদ্ধ জয় হলে, দ্রুত মাকে দেখে আসবে সে। নিঃশ্বাস দীর্ঘ হতে থাকে তার। আউটলেটের বাইরে মোহাম্মদপুরের এই ব্যস্ত সড়কটি এখন প্রায় ফাঁকা। সরকারি ছুটিতে মানুষ একেবারেই প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের হচ্ছে না। বাহিরে আশপাশে দুই থেকে তিন জন ঘোরাফেরা করছেন। বোঝা যায় ১০টায় আউটলেট খুললেই উনারা প্রবেশ করবেন। হয়তো কাল রাতে হঠাৎ করেই এই ক্রেতাদের কোন একজনের শিশুর খাবারের কোন একটি উপাদান শেষ হয়ে গিয়েছে। আর সেই পণ্যটি বাবার হাতে পৌঁছে দিতেই রকিব এখনো ঢাকাতেই আছে।
 
এপ্রিল মাস চলে আসলো প্রতিদিনই রোগী আর মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে চলছে। এরই মধ্যে বিকাল ৫টার পর সুপারশপও বন্ধ রাখতে বলেছে সরকার। তবে সকাল থেকে মানুষ বাইরে লাইন ধরে দাঁড়ায়। আর এখন হোম ডেলিভারিও করে দিচ্ছে স্বপ্ন। ঢাকা ছাড়ার কোন উপায় নেই রকিবের।


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কাজ করছে সরকার : পরিবেশ উপদেষ্টা
পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কাজ করছে সরকার : পরিবেশ উপদেষ্টা

২ মিনিট আগে | জাতীয়

বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে: অর্থ উপদেষ্টা
বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে: অর্থ উপদেষ্টা

১১ মিনিট আগে | জাতীয়

আকুর বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ২৪ বিলিয়নের ঘরে
আকুর বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ২৪ বিলিয়নের ঘরে

১১ মিনিট আগে | অর্থনীতি

অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকা সিটি কলেজ উত্তপ্ত, পরীক্ষা স্থগিত
অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকা সিটি কলেজ উত্তপ্ত, পরীক্ষা স্থগিত

১৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

কেন টেক্সাসের বন্যা এতো ভয়াবহ হলো?
কেন টেক্সাসের বন্যা এতো ভয়াবহ হলো?

২১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নীলফামারীতে অস্বচ্ছল ৩৪ সংস্কৃতিসেবীর
মধ্যে মাসিক কল্যাণ ভাতার চেক বিতরণ
নীলফামারীতে অস্বচ্ছল ৩৪ সংস্কৃতিসেবীর মধ্যে মাসিক কল্যাণ ভাতার চেক বিতরণ

২৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ট্রাম্পকে ‘শান্তিতে নোবেল’ দিতে পাকিস্তানের প্রস্তাবকে স্বাগত জানাল হোয়াইট হাউস
ট্রাম্পকে ‘শান্তিতে নোবেল’ দিতে পাকিস্তানের প্রস্তাবকে স্বাগত জানাল হোয়াইট হাউস

২৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধে ইরানের নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ১ হাজার
ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধে ইরানের নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ১ হাজার

৩৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশ শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
বাংলাদেশ শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনা বুধবার, ভালো কিছুর প্রত্যাশা
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনা বুধবার, ভালো কিছুর প্রত্যাশা

৪৬ মিনিট আগে | অর্থনীতি

রাস্তা সংস্কারের দাবিতে হবিগঞ্জে গ্রামবাসীর মানববন্ধন
রাস্তা সংস্কারের দাবিতে হবিগঞ্জে গ্রামবাসীর মানববন্ধন

৪৭ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাই
চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাই

৫১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ডিপজলের বিরুদ্ধে মামলা
ডিপজলের বিরুদ্ধে মামলা

৫৭ মিনিট আগে | শোবিজ

টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

৫৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বেতন স্কেল ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণসহ ৬ দফা দাবিতে গাইবান্ধায় অবস্থান কর্মসূচি
বেতন স্কেল ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণসহ ৬ দফা দাবিতে গাইবান্ধায় অবস্থান কর্মসূচি

৫৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কুবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাজহার, সম্পাদক আবির
কুবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাজহার, সম্পাদক আবির

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নোয়াখালীতে মুষলধারে বৃষ্টি, দুর্ভোগ চরমে
নোয়াখালীতে মুষলধারে বৃষ্টি, দুর্ভোগ চরমে

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে একটি বহুতল ভবনে আগুন
চট্টগ্রামে একটি বহুতল ভবনে আগুন

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা, যেভাবে জানবেন
এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা, যেভাবে জানবেন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উইন-উইন সমাধানে ওয়াশিংটনের সঙ্গে শুল্ক চুক্তিতে আগ্রহী : প্রেস সচিব
উইন-উইন সমাধানে ওয়াশিংটনের সঙ্গে শুল্ক চুক্তিতে আগ্রহী : প্রেস সচিব

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আজ থেকে চালু হচ্ছে ‘পাঠাও পে’
আজ থেকে চালু হচ্ছে ‘পাঠাও পে’

১ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন ফের পেছালো
সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন ফের পেছালো

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পক্ষপাতদুষ্ট বিদেশি পর্যবেক্ষকদের এবার অনুমোদন নয়: সিইসি
পক্ষপাতদুষ্ট বিদেশি পর্যবেক্ষকদের এবার অনুমোদন নয়: সিইসি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির এইচওডি-পিআরডি হলেন প্রদীপ্ত মোবারক
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির এইচওডি-পিআরডি হলেন প্রদীপ্ত মোবারক

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নতুন ফিচার যুক্ত করলো হোয়াটসঅ্যাপ
নতুন ফিচার যুক্ত করলো হোয়াটসঅ্যাপ

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

টাঙ্গাইলে ৬ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি
টাঙ্গাইলে ৬ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খাগড়াছড়িতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি
খাগড়াছড়িতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোবাইল সিমের বিষয়ে বিটিআরসির নতুন সিদ্ধান্ত
মোবাইল সিমের বিষয়ে বিটিআরসির নতুন সিদ্ধান্ত

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হ্যাক হয় বেশি কোন ধরনের পাসওয়ার্ড?
হ্যাক হয় বেশি কোন ধরনের পাসওয়ার্ড?

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ফেনীতে ভারী বর্ষণ, মুহুরীর পাড়ে ভাঙন, শহরে জলাবদ্ধতা
ফেনীতে ভারী বর্ষণ, মুহুরীর পাড়ে ভাঙন, শহরে জলাবদ্ধতা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা, বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ সুযোগ
আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা, বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ সুযোগ

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা, অতঃপর...
প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা, অতঃপর...

১৯ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

টানা ২ বছর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও মজুদ শেষ হবে না, হুঁশিয়ারি ইরানি কমান্ডারের
টানা ২ বছর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও মজুদ শেষ হবে না, হুঁশিয়ারি ইরানি কমান্ডারের

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোট দেব সন্দ্বীপে, এমপি হবে 'মালদ্বীপে' : নবীউল্লাহ নবী
ভোট দেব সন্দ্বীপে, এমপি হবে 'মালদ্বীপে' : নবীউল্লাহ নবী

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজা গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা; ‌‌‘শুধুই লাশের গন্ধ পেতেন’
গাজা গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা; ‌‌‘শুধুই লাশের গন্ধ পেতেন’

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক রাখলেন ট্রাম্প
বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক রাখলেন ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের প্রেসিডেন্টকে হত্যার চেষ্টা করেছে ইসরায়েল: রিপোর্ট
ইরানের প্রেসিডেন্টকে হত্যার চেষ্টা করেছে ইসরায়েল: রিপোর্ট

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশসহ ১৪ দেশে শুল্কের সময়সীমা ‘চূড়ান্ত নয়’, দর-কষাকষির ইঙ্গিত ট্রাম্পের
বাংলাদেশসহ ১৪ দেশে শুল্কের সময়সীমা ‘চূড়ান্ত নয়’, দর-কষাকষির ইঙ্গিত ট্রাম্পের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইলন মাস্ককে রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে বললেন মার্কিন মন্ত্রী
ইলন মাস্ককে রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে বললেন মার্কিন মন্ত্রী

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজি হামিদুলের ৪০ কোটি টাকা অবরুদ্ধ
ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজি হামিদুলের ৪০ কোটি টাকা অবরুদ্ধ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার এপিএস লিকুর সম্পদ জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
হাসিনার এপিএস লিকুর সম্পদ জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলকে নতুন হুঁশিয়ারি দিলেন ইরানি জেনারেল
ইসরায়েলকে নতুন হুঁশিয়ারি দিলেন ইরানি জেনারেল

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলকে শান্তিতে ঘুমাতে দেবে না হুথি
ইসরায়েলকে শান্তিতে ঘুমাতে দেবে না হুথি

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গণধর্ষণের পর ফেলে দেওয়া হলো রেললাইনে, ট্রেনে কাটা পড়ল নারীর পা
গণধর্ষণের পর ফেলে দেওয়া হলো রেললাইনে, ট্রেনে কাটা পড়ল নারীর পা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নতুন আইফোনের ফিচার ফাঁস: ব্যাটারি ও ক্যামেরায় বড় চমক
নতুন আইফোনের ফিচার ফাঁস: ব্যাটারি ও ক্যামেরায় বড় চমক

১৫ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

টানা ৯ দিন পানি ছাড়া কিছুই খান না নার্গিস
টানা ৯ দিন পানি ছাড়া কিছুই খান না নার্গিস

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মিয়ানমারে সশস্ত্র দুই গোষ্ঠীর মাঝে তুমুল সংঘর্ষ, পালাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ
মিয়ানমারে সশস্ত্র দুই গোষ্ঠীর মাঝে তুমুল সংঘর্ষ, পালাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় হামলা চালাতে গিয়ে পুঁতে রাখা বোমায় ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত
গাজায় হামলা চালাতে গিয়ে পুঁতে রাখা বোমায় ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার আনিসুল, হাওলাদার ও চুন্নুকে জাপা থেকে অব্যাহতি
এবার আনিসুল, হাওলাদার ও চুন্নুকে জাপা থেকে অব্যাহতি

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মোবাইল সিমের বিষয়ে বিটিআরসির নতুন সিদ্ধান্ত
মোবাইল সিমের বিষয়ে বিটিআরসির নতুন সিদ্ধান্ত

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩৫ শতাংশ শুল্কের কথা জানিয়ে ড. ইউনূসকে ট্রাম্পের চিঠি
৩৫ শতাংশ শুল্কের কথা জানিয়ে ড. ইউনূসকে ট্রাম্পের চিঠি

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলে পাল্টা হামলা হুথিদের
ইসরায়েলে পাল্টা হামলা হুথিদের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে নবম স্থানে টাইগাররা
ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে নবম স্থানে টাইগাররা

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১ জুন থেকে ইরান ছেড়েছে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ আফগান নাগরিক
১ জুন থেকে ইরান ছেড়েছে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ আফগান নাগরিক

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১২ দলীয় জোট কোনো প্রার্থিতা ঘোষণা করেনি : মোস্তফা জামাল হায়দার
১২ দলীয় জোট কোনো প্রার্থিতা ঘোষণা করেনি : মোস্তফা জামাল হায়দার

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চুন্নু বাদ, জাপার মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী
চুন্নু বাদ, জাপার মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার দায় স্বীকার হুতির
লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার দায় স্বীকার হুতির

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চাকরি হারানোর উদ্বেগে রাজস্বকর্মীরা
চাকরি হারানোর উদ্বেগে রাজস্বকর্মীরা

১০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সাঁড়াশি সেনা অ্যাকশনই মবের মোক্ষম দাওয়াই!
সাঁড়াশি সেনা অ্যাকশনই মবের মোক্ষম দাওয়াই!

১০ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

ইরাকে তুরস্কের ১২ সৈন্য নিহত
ইরাকে তুরস্কের ১২ সৈন্য নিহত

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
জাতীয় পার্টিতে তোলপাড়
জাতীয় পার্টিতে তোলপাড়

প্রথম পৃষ্ঠা

মাংস রপ্তানি করতে চায় রাশিয়া
মাংস রপ্তানি করতে চায় রাশিয়া

শিল্প বাণিজ্য

জটিলতা বাড়ছে নির্বাচন নিয়ে
জটিলতা বাড়ছে নির্বাচন নিয়ে

প্রথম পৃষ্ঠা

তরুণদের দৃষ্টিতে এগিয়ে বিএনপি
তরুণদের দৃষ্টিতে এগিয়ে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

তাজুলের চেয়েও ভয়ংকর স্ত্রী ফৌজিয়া
তাজুলের চেয়েও ভয়ংকর স্ত্রী ফৌজিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

পেশা বদলে দিয়েছে হাঁড়িভাঙা
পেশা বদলে দিয়েছে হাঁড়িভাঙা

পেছনের পৃষ্ঠা

জন্মনিরোধক সংকট বাড়ছে গর্ভধারণ
জন্মনিরোধক সংকট বাড়ছে গর্ভধারণ

নগর জীবন

প্রেমের টানে রংপুর এসে আটক ভারতীয়
প্রেমের টানে রংপুর এসে আটক ভারতীয়

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

৭০ টাকার ফেসওয়াশ ৯৮০ টাকায় বিক্রি!
৭০ টাকার ফেসওয়াশ ৯৮০ টাকায় বিক্রি!

শিল্প বাণিজ্য

মৃত্যুফাঁদ বেসরকারি হাসপাতাল
মৃত্যুফাঁদ বেসরকারি হাসপাতাল

নগর জীবন

ব্রিটেনে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বাংলাদেশের সবজি
ব্রিটেনে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বাংলাদেশের সবজি

পেছনের পৃষ্ঠা

সবাই রাজি, তবু আটকা
সবাই রাজি, তবু আটকা

পেছনের পৃষ্ঠা

উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে আশাবাদী
উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে আশাবাদী

প্রথম পৃষ্ঠা

বন্ধ সারা দেশের রেল ও সড়ক যোগাযোগ
বন্ধ সারা দেশের রেল ও সড়ক যোগাযোগ

প্রথম পৃষ্ঠা

মবে জড়িতদের ছাড় নয়
মবে জড়িতদের ছাড় নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

মুখোমুখি ট্রাম্প ও ইলন, উত্তাপ মার্কিন রাজনীতিতে
মুখোমুখি ট্রাম্প ও ইলন, উত্তাপ মার্কিন রাজনীতিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

সাংবাদিকদের হুমকি স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধক
সাংবাদিকদের হুমকি স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিবন্ধক

প্রথম পৃষ্ঠা

হেফাজত আমির-ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ
হেফাজত আমির-ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ

প্রথম পৃষ্ঠা

পিআর পদ্ধতিতে শতভাগ মানুষের মতামত গুরুত্ব পাবে
পিআর পদ্ধতিতে শতভাগ মানুষের মতামত গুরুত্ব পাবে

খবর

মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির খোঁজে বাংলাদেশ
মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির খোঁজে বাংলাদেশ

শিল্প বাণিজ্য

অধস্তন আদালত উপজেলায় ও জরুরি অবস্থার বিধান পরিবর্তনে মতৈক্য
অধস্তন আদালত উপজেলায় ও জরুরি অবস্থার বিধান পরিবর্তনে মতৈক্য

প্রথম পৃষ্ঠা

পুষ্টিহীনতায় বস্তির নারী শিশু
পুষ্টিহীনতায় বস্তির নারী শিশু

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোট দেব সন্দ্বীপে এমপি হবে মালদ্বীপে
ভোট দেব সন্দ্বীপে এমপি হবে মালদ্বীপে

নগর জীবন

তিন মামলায় অব্যাহতি পেলেন খালেদা জিয়া
তিন মামলায় অব্যাহতি পেলেন খালেদা জিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

কিংবদন্তি লারার রেকর্ড ভাঙলেন না মুল্ডার
কিংবদন্তি লারার রেকর্ড ভাঙলেন না মুল্ডার

মাঠে ময়দানে

ছেলেদের পাকা বাড়ি মা বাবার স্থান গোয়ালঘরে!
ছেলেদের পাকা বাড়ি মা বাবার স্থান গোয়ালঘরে!

দেশগ্রাম

২০১৮-এর নির্বাচন বৈধতা দিয়েছে বিএনপি
২০১৮-এর নির্বাচন বৈধতা দিয়েছে বিএনপি

নগর জীবন

ফের আলোচনায় আম্পায়ার সৈকত
ফের আলোচনায় আম্পায়ার সৈকত

মাঠে ময়দানে

খুলনায় ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি
খুলনায় ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি

নগর জীবন