আমন মৌসুমের শুরুতেই রাজশাহীতে এমওপি (পটাশ) এবং টিএসপি সারের সংকট দেখা দিয়েছে। গত জুলাইয়ে জেলায় এমওপি সারের ঘাটতি ছিল ১৩৬ মেট্রিক টন। চলতি মাসে ঘাটতির পরিমাণ বেড়েছে আরও ৮০০ মেট্রিক টন। দোকানে দোকানে ঘুরে সার পাচ্ছেন না চাষিরা। এতে আমন আবাদ নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) রাজশাহীর বাফার গুদাম থেকে রাজশাহী জেলাসহ নওগাঁ, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে সার সরবরাহ করা হয়। এই গুদামে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জুলাই মাসে নওগাঁয় এমওপির বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ৭৮৩ মেট্রিক টন। সরবরাহ করা গেছে ৯৪০ মেট্রিক টন। ঘাটতি ছিল ৮৯২ মেট্রিক টন। চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১ হাজার ৩৬ মেট্রিক টন এমওপির বিপরীতে সরবরাহ করা গেছে ৭৪৯ মেট্রিক টন। একইভাবে গত মাসে রাজশাহী ও নাটোরেও চাহিদার তুলনায় কম সার সরবরাহ করা হয়েছে। গুদামের মজুদও এখন তলানিতে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, রাজশাহীতে চলতি মৌসুমে ৮০ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৪২ হাজার ৯০৪ হেক্টর জমিতে চারা রোপণ শেষ হয়েছে। কৃষকরা জানান, আমন চাষের শুরুতে প্রতি বিঘা জমিতে দরকার হয় ১৫ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি এমওপি এবং ১০ কেজি ইউরিয়া। ডিলারদের কাছে গিয়ে চাহিদামতো ডিএপি ও এমওপি সার পাওয়া যাচ্ছে না। কোথাও কোথাও সার পাওয়া গেলেও দাম নিচ্ছে বেশি। কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এবার জেলায় ৮০ হাজার ৫০ হেক্টর আমন ধান চাষে শুরুতেই দরকার ৮ হাজার ৯৩৩ মেট্রিক টন বা ১ লাখ ৭৮ হাজার ৫০০ হাজার বস্তা ডিএপি এবং ৬ হাজার মেট্রিক টন বা ১ লাখ ২০ হাজার বস্তা এমওপি সার। চলতি মাসে এমওপির বরাদ্দ মাত্র ১৬ হাজার বস্তা। ডিএপির বরাদ্দ ৩০ হাজার ৬২০ বস্তা। এই সার দিয়ে চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। বাফার গুদামের এক কর্মকর্তা জানান, ২০ জুলাইয়ের পর থেকে এমওপি সারের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এখন গুদামে মাত্র ৪০-৪২ মেট্রিক টন সার আছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোজদার হোসেন বলেন, ‘সারের কোনো সংকট নেই। কোনো কোনো অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট তৈরির চেষ্টা করছেন।’
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ
