ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের বিকল্প হিসেবে নিজেই অণুজীব সার উৎপাদন করেছেন আজাহারুল ইসলাম নামের এক কৃষক। সেই সাথে তার উৎপাদিত সার জমিতে ব্যবহার করে বেশ ভালো সারা পেয়েছেন তিনি।
একদিকে যেমন নিজের তৈরী সার ব্যবহারে উপকৃত হচ্ছেন অপরদিকে স্থানীয় অন্য কৃষকরাও তার থেকে সার নিয়ে হচ্ছেন উপকৃত। জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, আজহারুল ইসলামের এই সার নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
জানা যায়, আড়াই বছর ধরে নিজের একটি খামারে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের বিকল্প হিসেবে তৈরী করছেন অণুজীব সার। নিজের হাতে গোবর, গুড়, বেসন, নিরাপদ মাটি মাখিয়ে তৈরী করছেন এই সার। নিজের তৈরী সার নিজের বিভিন্ন সবজি ও ফলের বাগানে দিয়ে হয়েছেন বেশ সফলও। গত কিছুদিন আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে পীরগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী রনসিয়া চন্দ্রা গ্রামে এইচ’কে বহুমূখী খামারে এই সার প্রকল্পের উদ্বোধন করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম।
পরে অণুজীব সার ব্যবহার করা খামারি আজহারুল ইসলামের খামারে আবাদ করা ধান, শাক সবজি, মাল্টা, পেপেসহ বিভিন্ন ফসলের খেত পরিদর্শন করেন তিনি।
আজহারুল ইসলাম বলেন, নিরাপদ ফসল উৎপাদনের কথা ভেবেই এই অনুজীব সার উৎপাদন শুরু করেছি। বিগত আড়াই বছর ধরে এই সার উৎপাদন করে আসছি। আমি নিজেও আমার বিভিন্ন বাগানে এই সার ব্যবহার করে অনেকটাই লাভবান হয়েছি। ফলনও অনেক বেশি হয়েছে। কীটনাশকমুক্ত ফসল উৎপাদন করাই আমার মূল লক্ষ।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়াই জৈব পদ্ধতিতে উপকারী অনুজীব উৎপাদন করে কয়েক বছর ধরে ফসল চাষাবাদে সফলতা লাভ করেছেন কৃষক আজাহারুল ইসলাম। রাসায়নিক সারের বিকল্প এবং নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখবে এই সার। অন্যান্য কৃষকদের মাঝে এই সার ব্যবহারের বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ চলমান রেখেছি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল