হবিগঞ্জ শহর থেকে কাছেই আয়ফুন বেগমের বাড়ি। অসুস্থ স্বামী, এক ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটান আয়ফুন। স্বামী আজমান আলী রিকশা চলাতেন। দুই বছর ধরে তিনি দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে এখন বিনা চিকিৎসায় শয্যাশায়ী।
নিজে বাসাবাড়িতে কাজ নিয়েছেন আয়ফুন। যা পান, তা দিয়েই চলছে সংসার ও স্বামীর চিকিৎসা। আয়ফুন বেগম নিজেও কিছুটা অসুস্থ। যেদিন বেশি অসুখ থাকে, সেদিন কাজে যেতে পারেন না।
স্বামী-সন্তানদের মুখে আহার দিতে পারেন না সেদিন। আয়ফুন বেগম বিনা মূল্যের সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি হন। সেখানে চার মাস প্রশিক্ষণ নিয়ে শিখে নেন সেলাইয়ের কাজ। স্বপ্ন দেখেন একটি সেলাই মেশিনের।
অপেক্ষার দিন যেন শেষ হতে চায় না। অবশেষে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে আয়ফুন বেগমের হাতে একটি সেলাই মেশিন তুলে দেন বসুন্ধরা শুভসংঘের বন্ধুরা। সেলাই মেশিন হাতে পেয়ে আয়ফুন বেগম আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘অহন আর আমার কাজে যাওন লাগতো না। এইডা দিয়াই দুই পুড়িরে (মেয়ে) লইয়া সেলাই করবানে। আর এইডা-হেইডা বানাইয়া বিক্রি করমো। এতে টেহা আইবো। এর লাইগ্যা আমি বসুন্ধরারে অনেক দোয়া করি।’