রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) বাসচালক আবদুস সালাম হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিল ৫ যুবক। সেই ৫ যুবক পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ঠান্ডা মাথায় সালামকে কুপিয়ে হত্যা করে বলে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুব আলম।
গত ২৩ এপ্রিল রাত সাড়ে নয়টার দিকে রুয়েটের শেখ হাসিনা হলের সামনে বাস চালক আবদুস সালামকে (৪৫) কুপিয়ে হত্যা করে খুনিরা। এ সময়ার চিৎকারে কয়েকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এদিনই নিহতের বড় ছেলে অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে মতিহার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। আর এই মামলার তদন্ত দায়িত্ব দেয়ার নগরীর মতিহার থানার ওসি (তদন্ত) মাহবুব আলমকে।
এরপরেই তদন্তে নামে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের দিন থেকে গত শুক্রবার পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ওয়াশিম ও পলাশ নামের দুই যুবককে আটক করে পুলিশ।
ওসি (তদন্ত) মাহবুব আলম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, সেই দুই যুবককে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে। এর মধ্যে পলাশ ১৬৪ ধারায় জবাববন্দি দিয়েছে। সেই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী। তার বাড়ি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কাজলা এলাকায়। সে ছাড়াও খুনের সময় আরো ৪ জন স্পটে উপস্থিত ছিল। ২০১৪ সালের একটা মামলা নিয়ে আবদুস সালামের সঙ্গে তাদের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। মূলত মামলাটির মধ্যস্থাকারী ছিল সালাম। সালামের কারণে মামলাটি মীমাংসা হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ৫জন মিলে সালামকে হত্যা করে।
মাহবুব বআরও লেন, হত্যাকাণ্ডের দিন খুনিরা আগে থেকেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। আবদুস সালামকে দেখার সঙ্গে সঙ্গেই খুনিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কোপানো শুরু করে। সালাম মাটিতে পড়ে গেলে তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেরও বাইরে আরো অনেকেই খুনিদের সহায়তা করছিল বলে ধারণা করছে পুলিশ। তবে তদেন্তর স্বার্থে এরা কারা এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত খুনিদের নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি ওসি মাহবুব।
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর