জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপায়িত করার আহবান জানিয়ে বিশিষ্ট নজরুল গবেষক ইমেরিটাস প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘নজরুলের যে আদর্শ-মানবতাবোধ, মানুষের জন্য যে তার সহমর্মিতা এবং জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে যে অসম্প্রদায়িক চেতনা তারই স্ফুরণ যেন এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঘটে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আগমন ঘটে।’
আজ দুপুরে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গাহি সাম্যের গান’ মঞ্চে বিশ্ববিদ্যালয়ের একযুগ পূর্তি ও নজরুলের ১১৯তম জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য বরেণ্য এ নজরুল গবেষক এসব কথা বলেন।
নজরুলের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আকর্ষণ ও আগ্রহ রয়েছে জানিয়ে প্রধান অতিথি বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতির জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মুক্ত হস্ত রয়েছেন। তবে নজরুলের আলোক বিচ্ছুরণ যেন এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয় তার ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে একদিন এই বিশ্ববিদ্যালয় দেশের বৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে উঠবে।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন কালজয়ী পুরুষ। তিনি রাষ্ট্রের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্বময় হয়েছেন। আমার সৌভাগ্য নজরুলকে নিয়ে আমি কাজ করতে পেরেছি, চর্চা করতে পেরেছি। যারা নজরুল এবং বঙ্গবন্ধুর চরিত্র হরণ করতে চায় তারা আমাকে ভয় পায়।’
আলোচনা সভায় সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন প্রেমের কবি, দ্রোহের কবি, বিপ্লবের কবি, সাম্যের এক মহান কবি। মহান কবির প্রতি সঠিক মর্যাদা দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভারত থেকে বাংলাদেশে নিয়ে এসে জাতীয় কবির মর্যাদা দেওয়ায় বঙ্গবন্ধু এবং মহান কবির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ হামিদা আলী, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বিটিভি’র সাবেক মহাপরিচালক ও জাককানইবি’র সিন্ডিকেট সদস্য জনাব ম. হামিদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম, কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মুশাররাত শবনম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি তপন কুমার সরকার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো: হুমায়ুন কবীর।
এর আগে, সকালে ৩ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথমদিনে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার পর এক আনন্দ শোভাযাত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার