মুক্তিযোদ্ধার সন্তান-প্রতিবন্ধীদের জন্য যে কোটা ছিল, সেই কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে কারা? আপনারা মুক্তিযুদ্ধের সন্তানেরা সেই আন্দোলন প্রতিরোধ করতে পারেন না?
শনিবার বেলা ১১টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে 'মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের স্কলারশিপ' প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ভারতীয় হাইকমিশন আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সোবহান।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক এম আবদুস সোবহান বলেন, মিথ্যা কথা ফেসবুকে দিয়ে মানুষ হত্যা করানো হচ্ছে। ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করা হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধারা কি বেঁচে নেই এখন আর? এই মিথ্যার বিরুদ্ধে কি প্রতিরোধ করতে পারেন না?
এ সময় স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, দরকার ছিল দেশ স্বাধীনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা না করে রাজাকারদের তালিকা করা। কারণ আজ মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করতে গিয়ে কত 'অ-মুক্তিযোদ্ধার' নাম চলে আসায় আসল মুক্তিযোদ্ধারা কাতারেই আর থাকল না। তাদের অনেকেই ভিক্ষা করে, রিকশা চালিয়ে জীবনযাপন করতে দেখেছি। আমাদের বেঁচে থাকার চেয়ে না থাকাই উচিত। এটা আমার জন্য কষ্টের।
রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশনার অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক রুহুল আমিন প্রামাণিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-২ আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশাহ।
এ সময় রাজশাহীতে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের স্কলারশিপ প্রদান করে। মোট ২৬৬ জনকে ২৪ হাজার ও ১০ হাজার টাকা করে দুই ক্যাটাগরিতে চেক প্রদান করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/১২ মে, ২০১৮/ফারজানা