সরকারি চাকরিতে প্রধানমন্ত্রীর কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করার দাবিতে কেন্দ্রীয় কমিটির ডাকা রবিবারের কর্মসূচি পালন করবে না রাজশাহী বিশ্বিদ্যালয়ে (রাবি)। শনিবার রাতে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এ তথ্য জানিয়েছেন 'সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ' কমিটির বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মাসুদ মোন্নাফ।
রাবি শাখার আহ্বায়ক মাসুদ মোন্নাফ জানান, 'শিক্ষার্থীরা অনেকেই বাড়ি চলে গেছে। কম সংখ্যাক শিক্ষার্থী নিয়ে আন্দোলন করতে গিয়ে কি হয় না হয় বলা যায় না। তাই রাবিতে আমরা কর্মসূচি না পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'
এবিষয়ে জানতে চাইলে রাবি শাখা কমিটির যুগ্ন আহ্বায়ক রাশেদুল ইসলাম মুবিন জানান, ‘আমরা হলগুলোতে খোঁজ নিয়ে দেখেছি অনেকেই বাড়িতে চলে গেছে। তাই ঈদের আগে আমরা কোনো কর্মসূচি পালন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ঈদের পর শিক্ষার্থীরা বাসা থেকে আসলে রাবিতেও আন্দোলন করা হবে।’
তবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছেন ভিন্ন কথা। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী জুলহক জুয়েল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো যে সংখ্যক শিক্ষার্থী আছে, তাদের নিয়ে টানা ৩-৪ দিন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব। রাবি কমিটি কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল তা আমরা বলতে পারছি না। কারো কোন চাপে তারা যদি এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে, সেটা হবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর জন্য বেদনাদায়ক। তবে আমরা যারা এখনো ক্যাম্পাসে আছি তারা আন্দোলন করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।
হিসাববিজ্ঞান বিভাগের মার্স্টার্সের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক শিক্ষার্থী এখনো ক্যাম্পাসে আছে। আমরা আন্দোলনে যেতে প্রস্তুতি নিয়ে আছি। যদি রাবি কমিটি এমন সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে সেটা তাদের ভুল হবে।’
এবিষয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি যুগ্ন আহ্বায়ক নুরুল হক নুরু বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন হবে না- এমন কোনো কিছু আমি এখনো জানি না। হয়তো কেউ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। আপনারা নিশ্চিত থাকেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা অবশ্যই আন্দোলন করবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার