২৩ এপ্রিল, ২০১৯ ১৮:০৪

তারবিহীন বিদ্যুৎ সংযোগ, ক্ষুদে বিজ্ঞানীর অনন্য আবিষ্কার!

বাইজিদ ইমন, চবি

তারবিহীন বিদ্যুৎ সংযোগ, ক্ষুদে বিজ্ঞানীর অনন্য আবিষ্কার!

সারি সারি ভাবে সাজানো হয়েছে ৪৫টি স্টল। প্রতিটি স্টলে প্রদর্শিত হচ্ছে বিভিন্ন স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত শিক্ষার্থীদের নতুন নতুন উদ্ভাবন। যেখানে ভিড় জমিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থী। 

পর্যটকদের নানান প্রশ্নের নিখুঁতভাবে উত্তরও দিয়ে যাচ্ছেন উদ্ভাবকরা। বলছিলাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রথম বিজ্ঞান উৎসবের কথা।

প্রতিবেদক বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখতেই চোখে পড়ে এক ক্ষুদে বিজ্ঞানীর অন্যন্য এক আবিষ্কার। যে কিনা আবিষ্কার করেছে তারবিহীন বৈদ্যুতিক সংযোগ ব্যবস্থা। এতে ব্যবহৃত ব্যাটারির মাধ্যমে তারবিহীন ভাবে উৎপাদন করা বিদ্যুৎ বিশ কিলোমিটারের অধিক এলাকায় আলো ছড়িয়ে দিতে পারবে।

আবিষ্কারক চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ইয়ারদানুল আলম আদিয়ান। বৈজ্ঞানিক গবেষণা সংশ্লিষ্ট ম্যাগাজিন পড়ায় আগ্রহ তার। প্যারিসে থাকা কাজিনের মাধ্যমে ‘অপ্রকাশিত বিজ্ঞানীদের গবেষণা ’বই এনে পাঠ শুরু করে সে। প্রায় ১৫শ এর মত বৈজ্ঞানিক কন্টেন্টের আবিষ্কারক নিকোলা টেসলারের প্রজেক্টে মুগ্ধ ও অনুপ্রাণিত হন। 

বাবা ও বন্ধু আহরার আরিয়ানের সহায়তায় বিজ্ঞানী টেসলারের তারবিহীন বিদ্যুৎ সংযোগের ডেমু তৈরি করেন। ক্ষুদে এই উদ্ভাবকের সৃষ্টি দেখেই  দর্শনার্থীরা উৎসাহী দৃষ্টি ও প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছেন অনেকে। জবাবে দক্ষ বক্তার ন্যায় নিজ প্রজেক্টের বিশ্লেষণ করে মুগ্ধ করছেন দর্শকদের। উক্ত প্রজেক্টের মাধ্যমে ৩টি প্রধান লক্ষ্যের কথা জানায় আদিয়ান। এর মাধ্যমে অত্যাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঝুকি কমানো যাবে, যত্রতত্র বৈদ্যুতিক পিলার স্থাপন হ্রাস পাবে। এছাড়াও বিনা তারে বিদ্যুৎ সুবিধা পাবে অসংখ্য মানুষ।

ক্ষুদে এই উদ্ভাবকের ইচ্ছা ভবিষ্যতে একজন ভালো বিজ্ঞানী হওয়া। অনুপ্রেরক তার বাবা। যিনি একজন আইটি বিশেষজ্ঞ। 

আদিয়ানের বাবা মোতাহারুল আলম কিরণ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘টেসলার একজন বিখ্যাত বিজ্ঞানী হলেও পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থার কারণে তার প্রজেক্ট তেমন গুরুত্ব পায়নি। যদিও ব্যবসায়িকভাবে অলাভজনক এই প্রজেক্ট সামাজিকভাবে  অনেক বেশি কার্যকরী। আমি চাই এ ধরণের বিকল্প বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার ধারণা পূরণে মানুষ আরো বেশি নিয়োজিত হোক।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান উৎসবে দেশের ২৪ টি পাবলিক, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল-কলেজের প্রায় হাজারখানেক শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছে। তারা সেখানে প্রদর্শন করেন তাদের উদ্ভাবন। এ বিজ্ঞান উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর