চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যকার সংঘাতের পাঁচদিন পর অবশেষে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার এ একে এম নূর আহমদ।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার এ কমিটি গঠন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. শ্যামল রঞ্জন চক্রবর্তীকে আহবায়ক তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অন্য দুই সদস্যরা হলেন, তথ্য ও ফটোগ্রাফি শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ হোসাইনকে সচিব এবং সহকারী প্রক্টর আহসানুল কবির পলাশ। তাদেরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ৩০ নভেম্বর রাত থেকে তিন দিনে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা। পরে গত ১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় হাটহাজারী উপজেলার এগারো মাইল এলাকায় সিএফসি উপগ্রুপের নেতা শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন সুমন ও ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল নাহিয়ান রাফিকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষের নেতা-কর্মীরা। এ খবরে দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ছাড়াও দুই ছাত্রলীগ নেতার ওপর হামলার মদদদাতা হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী পরামর্শ ও নির্দেশনা কেন্দ্রের (ছাত্র উপদেষ্টা) পরিচালক অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌলাহকে দায়ী করে তার পদত্যাগ, হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবিতে অবরোধের ডাক দিয়েছিল তাপস স্মৃতি সংসদ। পরে চট্টগ্রামে রাষ্ট্রপতির সফর উপলক্ষে অবরোধ শিথিল করা হয়। তবে একই দাবিতে তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছিল সিএফসি পক্ষের নেতা-কর্মীরা। এছাড়া নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় গত মঙ্গলবার হাটহাজারী মডেল থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা করেছে ছাত্রলীগের বিবাদমান দুটি পক্ষ।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী দিবসে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের এই দু’টি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে নিহত হয়েছিলেন সিএফসি কর্মী ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তাপস সরকার।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন