চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কলা ও মানববিদ্যা অনুষদে একদিনের নবীনবরণ অনুষ্ঠানের জন্য বানানো সোয়া লাখ টাকার ব্লেজার নিয়ে নিরব ভূমিকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যদিও এ নিয়ে ক্যাম্পাসজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের উন্নয়ন ফান্ডের টাকা দিয়েই শিক্ষকরা এ ব্লেজার বানিয়েছেন। ১ লাখ ১৭ হাজার টাকা ব্যয়ে ১৮টি ব্লেজার বানানোর সব টাকাই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া অনুষদের উন্নয়ন ফান্ডের খরচ বাবদ দেখানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যায় রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমদ বলেন, এ বিষয়ে এখনো কিছু আমি জানি না। এটা অনুষদের বিষয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ১৩ টি বিভাগের সভাপতি, ৩টি ইনিস্টিটিউটের পরিচালক, ডিন ও চবি উপাচার্যের জন্য বানানো হয় এসব ব্লেজার। প্রতিবছর নবীনবরণে ক্রেস্ট ও উত্তরীয় দেওয়া হলেও এ বছর অর্থ সাশ্রয়ের জন্য ব্লেজার দেওয়ার কথা জানিয়েছেন সদ্য সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী।
সম্প্রতি সেকান্দর চৌধুরীর গণমাধ্যমকে দেওয়া এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন তুলেন বিগত বছরগুলোতে শিক্ষকদের দেওয়া ক্রেস্ট এবং উত্তরীয়র দাম নিয়ে।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি কলা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী দায়িত্ব হস্তান্তরের সময় ১৮ জন শিক্ষককে উপহার হিসেবে এ ব্লেজার দেওয়া হয়। আগামী ৪ মার্চ হবে এ নবীনবরণ অনুষ্ঠান। সেদিনই এ ব্লেজার গায়ে মঞ্চে বসতে দেখা যাবে বিভাগ প্রধানদের।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, প্রতি বছর ভর্তির সময় অনুষদ উন্নয়ন ফি হিসেবে সাড়ে ৩ হাজার টাকা করে নেয়া হয় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। এরমধ্যে ৩ হাজার টাকা শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট বিভাগে এবং ৫০০ টাকা অনুষদের উন্নয়ন ফান্ডে রাখা হয়। অনুষদের বিভিন্ন কাজে উন্নয়ন ফি'র এ টাকা খরচ করা হলেও ইউজিসিকে এর কোনো হিসাব দেওয়া লাগে না।
এ বিষয়ে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মহীবুল আজিজ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমি নতুন দায়িত্ব নিয়েছি। তবে বিশ্ববিদ্যায়ের উন্নয়ন ফান্ড থেকে খরচ করার অধিকার কারও নেই। বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে পারে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন