ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা আনা এবং রিকশা ভাড়া নির্ধারণ করা নিয়ে কাজ করছেন ডাকসু সদস্য তানভীর হাসান সৈকত এবং নজরুল ইসলাম। কিন্তু তাদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের একদিন পর একই বিষয়ে আরেকটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন এবং পরিবহন সম্পাদক শামস-ই নোমান।
ডাকসু নেতৃবৃন্দের পাল্টাপাল্টি এমন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলছেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজের ‘ক্রেডিট’ নিতে এমন বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন এজিএস ও পরিবহন সম্পাদক।
জানা যায়, গত ৭ মার্চ ক্যাম্পাসে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ ও রিকশা ভাড়া নির্ধারণ করার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছেন ডাকসু সদস্য তানভীর হাসান সৈকত এবং নজরুল ইসলাম। তাদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর একই বিষয়ে গতকাল রাতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন এজিএস সাদ্দাম হোসেন ও পরিহন সম্পাদক শামস-ঈ নোমান।
ক্যাম্পাসে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ ও রিকশা ভাড়া নির্ধারণ শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি। এদিকে, এজিএস সাদ্দামের পাল্টা বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ডাকসু সদস্য তানভীর হাসান সৈকত।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে এজিএসের বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে যখন যানবাহন শৃঙ্খলা ও ভাড়া নির্ধারণ নিয়ে অনেকবার আশ্বাস দিয়েও কেউ কোন প্রকার সমাধানের পদক্ষেপ নেয়নি, ঠিক তখনি একপ্রকার বাধ্য হয়েই এই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে এবং ১৫ মার্চ থেকে কার্যকর হবে বলে টাইমলাইনে দিয়ে দিয়েছি। সুন্দর পরিকল্পনাসহ সবকিছু যখন গুছিয়ে এনেছি, ঠিক তখনি নোংরামি খেলা শুরু করে দিয়েছেন। ভালো কাজটিকে নষ্ট করতেই এজিএস সাদ্দাম এমন কাজ করেছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাদ্দাম বলেন, বিজ্ঞপ্তিটি পরিবহন সম্পাদক দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা বিষয়টির পক্ষে রায় দেওয়ায় আমি এজিএস হিসেবে স্বাক্ষর করেছিলাম। তবে এর আগের বিজ্ঞপ্তিটি সম্পর্কে আমি বা পরিবহন সম্পাদক জানতাম না। বিষয়টি সাংঘর্ষিক নয়। আমরা বসে সমন্বয় করে কাজ করবো।
তবে তানভীর হাসান সৈকতের দাবি এজিএস সাদ্দাম বিষয়টি সম্পর্কে জানতেন। তিনি বলেন, ডাকসুর অভ্যন্তরীণ মেসেঞ্জার গ্রুপে এটি নিয়ে কথা হয়েছে। সেখানে অনেকে শুভেচ্ছাও জানিয়ে সহযোগিতার কথাও বলেছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা