বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফোরামের নেতারা চলতি অর্থ বছরের বাজেটে বেতন বাবদ ১৪৬ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন। তারা বলছেন বিধি অনুযায়ী নিয়োগ দেয়া হলেও শিক্ষকরা বেতন ভাতা পাচ্ছেন না। এতে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন তারা। এ আর দাবি না মানলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদত্যাগের দাবিতে একদফা আন্দোলনে নামবেন।
রবিবার বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক নেকবার হোসেন লিখিত বক্তব্যে এসব দাবি জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক এমদাদুল ইসলাম, মুনিরুজ্জামান নাহিদ রেজা, শফিকুল রহমান, হালিম, কামাল হোসেন, আসমা খাতুন, আরিফুর রহমান, আবু কায়েস, আজম আলী, হাসিবুল ইসলাম, এরশাদ আলীসহ অন্যরা।
শিক্ষক নেতারা বলেন, ১৯৯৩ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে দীর্ঘ ২৮ বছর “জনবল কাঠামো এমপিও নীতিমালার” অন্তর্ভুক্ত না থাকার কারণে আমরা সরকারী অথবা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোন আর্থিক সুবিধা পাইনি। সরকারী ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক শিক্ষক হিসেবে আমাদেরকে নিয়োগ দিয়েও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের বেতন ভাতার দায়িত্ব গ্রহণ করে না। এমতাবস্থায় কলেজ কর্তৃপক্ষ একান্তই মানবিক দিক বিবেচনা করে কলেজে যাতায়াত খরচও পোশাক পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা বাবদ কলেজ ভেদে মাসিক ২০০০ টাকা থেকে ৮০০০ টাকা সম্মানী হিসেবে দিয়ে থাকে। যা দিয়ে মাসের এক সপ্তাহের নূন্যতম বাজার খরচ চলে না। করোনা ভাইরাসের কারনে শিক্ষকদের বর্তমানে অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করাসহ পরিবারের ভরণপোষন করা একেবারেই সম্ভব হচ্ছে না। জনবল কাঠামোও এমপিও নীতিমালায় আমাদের ৫৫০০ শিক্ষক কর্মচারীর অন্তর্ভুক্ত করে এমপিওভুক্তির জন্য বার্ষিক মাত্র ১৪৬ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা প্রয়োজন।
এদিকে এসব দাবি নিয়ে তারা ভিসির সাথে কথা বলছেন। দাবি না মানলে তার পদত্যাগের একদফা দাবি নিয়ে মাঠে নামবেন বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল