করোনার কারণে কার্যত গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে সরকারি নির্দেশনার আলোকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। হঠাৎ করে করোনার আঘাত হানায় ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাজীবন নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। এ অবস্থায় করণীয় ঠিক করতে ২২ মার্চ শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি মিটিং করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃৃপক্ষ।
সরকারি নির্দেশনার আলোকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হওয়ার পর মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে ২৭ মার্চ থেকে অনলাইনে ক্লাস নেওয়া শুরু করে মানারত বিশ্ববিদ্যালয়। সেই থেকে অনলাইনে সুষ্ঠুভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
শুরুতে প্রযুক্তির সঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীসহ সবার মানিয়ে নিতে সাময়িক কিছু সমস্যা হলেও আস্তে আস্তে অভ্যস্ত হয়েছে। এজন্য শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ‘ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন কমিটি’ করা হয়। এ কমিটির সদস্যরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে পেপারলেস কার্যক্রম পরিচালনা করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তাদের সে সব কার্যক্রমের অংশ হিসেবেই বুধবার ই-প্রসপেক্টাস উদ্বোধন হয়।
এর মাধ্যমে ভর্তিচ্ছু ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্ন বিভাগের প্রয়োজনীয় বিস্তারিত তথ্য এখন ঘরে বসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট www.manarat.ac.bd ভিজিট করে জানতে পারবেন। এছাড়া প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে বিভিন্ন বিভাগের জন্য সাব ডোমেইন চালু করা হয়েছে।
মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে বুধবার থেকে শুরু হয়েছে ভর্তি মেলা। চলবে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মেলা চলাকালীন যারা ভর্তি হবেন, তারা ভর্তি ফি-তে ৫০ শতাংশ ছাড় পাবেন।
এসএসসি ও এইচএসসি ফলাফলের ভিত্তিতে টিউশন ফি-র ওপর ১০০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও অস্বচ্ছল পরিবারের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের দেওয়া হয় ১০০ শাতাংশ পর্যন্ত বিশেষ ছাড়।
এছাড়া করোনার কারণে অভিভাবকদের আর্থিক সংকটের কথা বিবেচনা করে টিউশন ফি-র ওপর স্প্রিং সেমিস্টারের জন্য অতিরিক্ত ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে। একই কারণে বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকেও টিউশন ফি আদায়ে কোনো ধরনের চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে না। তারা যা পারছে সামর্থ্য অনুযায়ী দিচ্ছে।
মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বর্তমানে আন্ডারগ্রাজুয়েট পর্যায়ে ১২টি ও গ্রাজুয়েট পর্যায়ে ২টি সব মিলে ১৪টি প্রোগ্রামে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। স্প্রিং সেমিস্টার ২০২১ থেকে ইসলামিক স্টাডিজ নতুন বিভাগ খোলা হয়েছে। এ বিভাগের আওতায় বিএ (অনার্স) ইন ইসলামিক স্টাডিজ প্রোগ্রামে ভর্তি শুরু হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়টি আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের চারিত্রিক বিকাশ ও নিজস্ব সংস্কৃতি লালন-পালনের জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে, যা অন্যান্য প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির তুলনায় অবশ্যই ব্যতিক্রমধর্মী বলে মনে করে কর্তৃপক্ষ।
বিডি প্রতিদিন/এমআই