শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে ১ মার্চের মধ্যে আবাসিক হল খুলে দেওয়া এবং পরীক্ষা চালু রাখার দাবি জানিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বরে সাংবাদিক সম্মেলন করে শিক্ষার্থীরা এসব দাবি করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী জি কে সাদিক লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের এমন আচরণ শিক্ষার্থীদের হতাশ করেছে। এমন হঠকারী সিদ্ধান্ত আমরা প্রত্যাখ্যান করছি এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান রাখছি অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে হল-ক্যাম্পাস খুলে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করুন।
অন্যথায় শিক্ষার্থীরা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ যে ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে সেটা আর বজায় থাকবে না। আগামী ১ মার্চের মধ্যে হল ও ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় শিক্ষার্থীরা হলে প্রবেশের ব্যবস্থা নিজেরাই করে নিতে বাধ্য হবে।
তারা আরও বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণার পর ইতোমধ্যে ইবিতে সব ধরণের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। আমরা মনে করি এটি চরম হঠকারী সিদ্ধান্ত। কারণ ইতোমধ্যে অনেক বিভাগের পরীক্ষা চলছে, কিছু বিভাগে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। যার ফলে শিক্ষার্থীরা বাড়ি থেকে এসে মেস বা বাসা ভাড়া নিয়ে ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে অবস্থান করছেন। এমন পরিস্থিতিতে পরীক্ষা বন্ধ করে দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিপাকে ফেলা হয়েছে।
পরে হল খুলে দিতে ও পরীক্ষা চালুর দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিল নিয়ে তারা ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রশাসন ভবনের সামনে গিয়ে দুই ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পরে শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালামের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম শিক্ষার্থীদের বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একমত। তবে আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কিছু করতে পারবো না। পরীক্ষার বিষয়ে তিনি বলেন, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নিলে আমিও পরীক্ষা চালু করবো। এ মুহূর্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাইরে যেতে পারছি না।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর