রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবাহানকে ‘ঘাড় ধরে’ ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা। বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নে বিক্ষোভের সময় তারা এই ঘোষণা দেন।
সোমবার (২৯ মার্চ) সকাল আটটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য তারা আন্দোলন শুরু করেন। এ নিয়ে ক্যাম্পাসে সকাল থেকেই দফায় দফায় উত্তেজনা বিরাজ করে।
আগামী তিন দিনের মধ্যেই উপাচার্য কর্মচারীদের দাবি মেনে না নিলে তাকে ক্যাম্পাসে থেকে ঘাড় ধরে বের করে দেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
এই বিষয়ে কর্মচারী ট্রেড ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবদুল আজিজ বলেন, ’চাকরি স্থায়ীকরণ, সহজ শর্তে এবং পাঁচ শতাংশ হারে ঋণসহ আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে গত একমাস ধরে আন্দোলন করে আসছি। আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হবে বলে বিশ্বদ্যিালয়ের বর্তমান প্রশাসন আশ্বস্ত করেছেন বহুবার। কিন্তু আমাদের দবিগুলোর বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এ কারণেই দাবি আদায় করার জন্য আমরা আন্দোলন করছি।’
সরেজমিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৮ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীরা। ফলে প্রশাসন ভবনে কোন কর্মকর্তা প্রবেশ করতে পারেনি। সারাদিন বন্ধ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম।
এরপর বেলা এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে প্রবেশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ কয়েকজন শিক্ষক। সেখানে তারা ভর্তি পরীক্ষার উপ কমিটির মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেন। তবে সেই মিটিংয়েও বাধা দেয়ার চেষ্টা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত কর্মচারীরা।
এরপর প্রধান প্রশাসন ভবনের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী নেতারা। সেখানে সহায়ক কর্মচারী সমিতির সভাপতি সাব্বির হোসেন বলেন, 'বর্তমান উপাচার্য আওয়ামী লীগ সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত হলেও জামাত-শিবিরের সঙ্গে আঁতাত করছে।'
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির