আগামী ১৭ মে থেকে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হল খোলার ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মণি। এই ঘোষণার পরপরই ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগরসহ দেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য নিবন্ধিত হবার নিদের্শনা দেয়া হয়। এদিকে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদেরও অচিরে ভ্যাকসিন দেয়ার দাবি উঠেছে।
তবে এখনও পর্যন্ত এই ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কার্যত কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, এক বছর ধরে ক্যাম্পাস বন্ধ। এতে সীমাহীন ক্ষতির মুখে পড়ে গেছি। আগামী ১৭ মে হল খোলার ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য আমাদের আশা জাগিয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেছে। এই অবস্থায় হলে ওঠার আগে সকল শিক্ষার্থীকে ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসাটা জরুরী। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগই দেখছি না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহমুদ সাকী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে আন্দোলনের সময় শুনেছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও ভ্যাকসিন দেয়া হবে। এই মর্মে শিক্ষামন্ত্রী বক্তব্যও দিয়েছিলেন। সম্প্রতি ঢাকাসহ আরো কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করছেন। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ধরনের কোনো উদ্যোগ দেখিনি। এটা আমাদের জন্য হতাশাজনক। অচিরেই আমাদেরও ভ্যাকসিন দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা-কার্যক্রম চালু করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাই।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম আব্দুস সোবহানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, আমি এই ব্যাপারে কিছু জানি না। নিশ্চয় উপাচার্য মহোদয়ের কোনো উদ্যোগ থাকতে পারে। এই ব্যাপারে তিনি জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক বা রেজিস্ট্রারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।
জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক আজিজুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের অচিরেই ভ্যাকসিন দেয়াটা জরুরী। তবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়েছে কিনা তা জানা নেই।
পরে রেজিস্ট্রার আব্দুস সালামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণার পর শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর চেয়ে আমাদের কাছে চিঠি এসেছিল। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নম্বর দেয়া গেলেও শিক্ষার্থীদেরটা পাওয়া সম্ভব হয়নি। আমরা শিক্ষা সচিবকে প্রস্তাব করেছি যে স্টুডেন্ট আইডি নম্বর দিয়ে ভ্যাকসিনের রেজিস্ট্রেশন করার জন্য। শিক্ষার্থীরা ভ্যাকসিন নিয়ে হলে ঢুকবে বা হলে ঢুকে ভ্যাকসিন নিবে।
কবে নাগাদ ভ্যাকসিন দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন
