২ আগস্ট, ২০২১ ১৩:২৫

অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রমে সফল ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক

অনলাইন ডেস্ক

অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রমে সফল ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক

গত বছরের মার্চের দিকে করোনা প্রভাবের সাথে সাথে বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে গ্রহণ করা হয় অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম। যার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীরা যেন স্বস্ব স্থান থেকে তাদের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে। 

এক্ষেত্রে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক এক বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহার করে গত বছরের এপ্রিল থেকেই অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। এতে শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপস্থিতিও নিশ্চিত হয়। ক্লাশে যা পড়ানো হয় তা রেকর্ড করে পরে শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়। অনলাইনে শিক্ষা প্রদানের এই মডেল পরবর্তীতে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় অনুসরণ করাও শুরু করে।

দীর্ঘ দুই বছরের মত টানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যে সংকট তৈরি হয়েছে তা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকে পরিলক্ষিত হয়নি। আমরা নিয়মিত অনলাইনে ক্লাশ করেছি, যথা সময়ে এ্যাসাইনমেন্ট জমা দিয়েছি এমনকি পরীক্ষাওতে অংশগ্রহণ করেছি। এভাবে মহামারীর এই সময়ে আমাদের দুইটা সেমিস্টারও শেষ হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে তাদের সন্তোষের কথা জানালেন। দেশের অন্যতম এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ হাজারের মত শিক্ষাথী অনলাইন প্লাটফর্মে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। 

অনলাইনে ক্লাশ, শতভাগ উপস্থিতি, এ্যাসাইনমেন্ট এবং পরীক্ষা নেওয়া সর্বোপরি যথা সময়ে সেমিস্টার শেষ করা এই বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারে অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে জন্য অুনপ্রেরণা। অনলাইনে নিয়মিত ক্লাশ ও পরিক্ষা হচ্ছে কিনা কতভাগ উপস্থিতি হচ্ছে সামগ্রিক এই প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত আছেন ইউএপির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: সুলতান মাহমুদ। 

ইউএপির ভারপ্রাপ্ত এই উপাচার্য বলেন, ‘আমরা অনলাইন প্লাটফর্মে প্রায় শতভাগ উপস্থিতিও নিশ্চিত করতে পেরেছি যা অন্যান্য সময়ের চেয়ে আশাব্যঞ্জক। আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়কে মোটিভেট করেছি যাতে করে সকলের সহযোগিতায় অনলাইন এই শিক্ষা কার্যক্রম সফল হয়। প্রথমদিকে একটু কঠিন মনে হলেও শিক্ষক-শিক্ষার্থী, প্রশাসনিক সকলের সহযোগিতায় আমরা সফল হয়েছি।’

এছাড়া আর্থিকভাবে কম অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদেরকে নানা রকম আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। এমনকি যেসব শিক্ষার্থীরা পিতামাতা হারিয়েছেন তাদেরকে ভিসি স্পেশাল ওয়েভারের আওতায় এনে রেগুলার ফির সাথে বিলম্ব ফিও মওকুফ করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনের পাশাপাশি ক্লাব কর্মকান্ড পরিচালনা করছে শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-কল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালনায় শিক্ষার্থীরা অনলাইনে কর্মশালা, বির্তক প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডও পরিচালনা করছে। 

ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক সিমাগো ইনস্টিটিউশন র‌্যাংকিঙ্কেয়ে-২০২১ বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শীর্ষ পাঁচে জায়গা করে নিয়েছে এবং দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১৯তম স্থানে রয়েছে। 

অন্যদিকে, ইউএপি সম্প্রতি তুরস্কের ওনডোকুজ মায়িস বিশ্ববিদ্যালয়েস সাথে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তির মাধ্যমে উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রশাসনিক, একাডেমিক এবং গবেষণা সহযোগিতা বৃদ্ধি করা এবং পাশাপাশি যৌথ ডিগ্রি প্রোগ্রামসহ শিক্ষামূলক, বৈজ্ঞানিক, সাংস্কৃতিক প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করা। 

 

বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর