পাওনা টাকা চাওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলের পাশে পলাশী বাজারের এক মুরগী ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসএম হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও হল সংসদের সাবেক ভিপি কামাল উদ্দিনের নির্দেশে তারই কয়েকজন অনুসারী মোজাম্মেল নামের ওই ব্যবসায়ীকে মারধর করে। এসময় ওই দোকানে ভাঙচুর ও ক্যাশ বাক্স থেকে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মোজাম্মেল। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কামাল উদ্দিন।
মোজাম্মেল জানান, এসএম হল ছাত্রলীগের নেতা কামাল উদ্দিন ও মিলন হোসাইন (হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি) প্রায়ই তার দোকান থেকে ‘ফাও’ মুরগি নিয়ে যেতো। তাদের কাছে বেশকিছু টাকা পাওনা আছে। আজ সন্ধ্যার দিকে কামালের নাম বলে কয়েকজন তার কাছে মুরগি কিনতে আসে। তিনি তাদের কাছে কামালের আগের পাওনা টাকা চাইলে তারা ক্ষিপ্ত হয়। পরে আরও লোকজন নিয়ে এসে তাকে মারধর করে। এসময় মারধরকারীদের একজন তাকে পিস্তল দেখিয়ে ভয় দেখায় বলেও অভিযোগ করেন ওই ব্যবসায়ী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে চারজন এসে ওই দোকানে মুরগী চায়। মুরগী না পেয়ে তারা লাঠিসোটাসহ ১০-১২জন নিয়ে এসে ওই ব্যবসায়ীকে মারধর করে এবং দোকানে ভাংচুর চালায়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে কামাল উদ্দিন বলেন, ওই ব্যবসায়ী গাঁজার ব্যবসা করে-এমন খবর পেয়ে এসএম হলের কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থী তাকে জিজ্ঞেস করতে গিয়েছিলো। কিন্তু আমি তাদের থামিয়েছি। বলেছি, এটা তাদের কাজ নয়, এটা পুলিশ দেখবে। ওই দোকানদার তার কাছে কোনো টাকা পান না-দাবি করে কামাল বলেন, ‘ফাও খাওয়া’র বিষয় আগে ছিলো। তিনি ছাত্রলীগের দায়িত্বে আসার পর এরকম ঘটনা আর নেই।
অন্যদিকে, নিজের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মিলন হোসাইনও।
এদিকে, ঘটনার মধ্যস্থতা করতে তাৎক্ষণিকভাবে এসএম হলের পাশে অবস্থিত স্বাধীনতা সংগ্রাম ভাষ্কর্যের সামনে উপস্থিত হন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। পলাশী বাজারের ব্যবসায়ীরা পরে তার সাথে দেখা করতে যান। ঘটনার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন