বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ২০০২ সালে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে নিহত হন সাবেকুন নাহার সনি। এখন তার নামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির একটি ছাত্রী হলের নামকরণ করা হয়েছে। বুধবার বুয়েটের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ফোরকান উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ৫২৬তম সভায় এই ছাত্রী হলের নাম সাবেকুন নাহার সনি হল অনুমোদন দেওয়া হয়।’
সনির নামে যে হলটি হলো, তা ১৯৮৭ সালে নির্মিত। চারতলা এই আবাসিক হলটি এতদিন ‘ছাত্রী হল’ নামে পরিচিত ছিল।
২০০২ সালের ৮ জুন বুয়েটে দরপত্র নিয়ে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন কেমিকৌশল বিভাগের ৯৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী সনি। বুয়েট ছাত্রদল সভাপতি মোকাম্মেল হায়াত খান মুকি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হলের টগর গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়েছিলেন তিনি।
এ ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা হলে নিম্ন আদালতে মুকিত, টগর ও সাগরের মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়। ২০০৬ সালের ১০ মার্চ মুকিত, টগর ও সাগরের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাতিল করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। এছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এসএম মাসুম বিল্লাহ ও মাসুমকে খালাস দেওয়া হয়। মুকি পরে পালিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় যান। পলাতক আছেন নুরুল ইসলাম সাগর। কারাগারে আছেন টগর।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ