বঙ্গবন্ধুর খুনি খন্দকার মোশতাক আহমেদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনকারী বিতর্কিত শিক্ষক ড. রহমত উল্লাহকে সুকৌশলে পুনর্বাসন করার নানা অপচেষ্টা শুরু হয়েছে।
আজ সোমবার আইন বিভাগের এক জরুরি একাডেমিক কমিটির সভায় এই অপচেষ্টা হয়েছে। সভাটি ডাকা হয়েছিল পরীক্ষা কমিটি পুনর্গঠনের জন্য।
সভায় সভাপতিত্ব করেন আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সভার শেষদিকে এজেন্ডা ছাড়াই অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন খান সম্প্রতি অধ্যাপক রহমত উল্লাহকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি আইন সঙ্গত হয়নি বলে বিশ্ববিদ্যালয় আইনের কয়েকটি ধারা উল্লেখ করে প্রস্তাব করেন যে, আইন বিভাগ এর একাডেমিক কমিটি থেকে এ ব্যাপারে আইনের কোন ব্যত্যয় হয়েছে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেওয়া বা জানতে চাওয়া যায় কি না?
এ ব্যাপারে সভায় উপস্থিত শিক্ষক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন তীব্র প্রতিবাদ করেন। অধ্যাপক কার্জন বলেন, প্রথমত, বিষয়টি আজকের সভার এজেন্ডাতে নেই। ফলে এ বিষয়ে কোন আলোচনাই হতে পারে না। দ্বিতীয়ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক বডি। ফলে এ ব্যাপারে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের পরে একাডেমিক কমিটিতে কোন আলোচনা হতে পারে না। তাছাড়া, সিন্ডিকেট আইন বিভাগের একাডেমিক কমিটির কাছে কোন আইনি মতামত চায়নি।
অধ্যাপক কার্জনের বক্তব্যের পরে অধ্যাপক আসিফ নজরুল, অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন খান ও সহযোগী অধ্যাপক গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল ড. রহমতউল্লাহর পক্ষে ও তাকে পুনর্বাসন করার জন্য সুকৌশলে নানা যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করেন। এক পর্যায়ে অধ্যাপক হাসান তালুকদার বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর খুনির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণের দাবি জানান। অধ্যাপক কার্জন তাকে সমর্থন করেন। এরপর একাডেমিক কমিটির সভা এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়।
এ ব্যাপারে একাডেমিক কমিটির কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা ঘটনার সত্যতা শিকার করেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত