দেশের আটটি কৃষি ও কৃষি প্রাধান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ কৃষি ভর্তি পরীক্ষা কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে। পরীক্ষার্থী উপস্থিতির হার ছিল ৮২.৪৬ শতাংশ।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত (এক ঘণ্টা) এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
সারাদেশে মোট ১০টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় নেতৃত্বদানকারী বিশ্ববিদ্যালয় ছিল শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি)।
শেকৃবি জনসংযোগ দফতর জানায়, এবার কৃষি গুচ্ছে মোট আবেদন করেছেন ৭৯ হাজার ১৪৭ জন ভর্তিচ্ছু। আটটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসন সংখ্যা ৩৫৩৯টি। সারাদেশে ১০টি কেন্দ্রে মোট উপস্থিতি ছিল ৬৫ হাজার ২৭৯ জন ভর্তিচ্ছু, উপস্থিতির হার বিবেচনায় যা ৮২.৪৬ শতাংশ।
শেকৃবি কেন্দ্রে সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল। জালিয়াতি রোধে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের আগে মেটাল ডিটেক্টর ও হাত দিয়ে শরীরের ডিভাইস বহনযোগ্য স্থান তল্লাশি করেন রোভার স্কাউট সদস্যগণ। দেরীতে আসা পরীক্ষার্থীদের সঠিক সময়ে কেন্দ্রে উপস্থিতি হতে ফ্রি মাইক্রোবাস সার্ভিস দেয় শেকৃবি প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন পরীক্ষার্থীদের সাথে আসা অভিভাবকগণ।
পরীক্ষার ফলাফল আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হবে বলে নিশ্চিত করেছে শেকৃবির জনসংযোগ দফতর। ফলাফল ও ভর্তি সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য www.acas.edu.bd এ ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক হাজার ১১৬ জন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৬০, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৭০৪, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪৩, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪৫, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩১, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০ ও হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯০টি আসনে শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন