রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম ওয়াজেদ মিয়া একাডেমিক ভবনের গ্যালারিতে এ আলোকচিত্র প্রদর্শিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলের রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়ে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এছাড়া সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন রাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মনোরঞ্জন ঘোষাল প্রমূখ।
আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে লালন গবেষক এস এস রুশদীর সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুলাহ আল মামুন চৌধুরী।
প্রধান এ আলোচক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ফোজিত শেখ বাবু তথ্য নির্ভর আলোকচিত্র প্রদর্শনীর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বিশ্বের তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুকে কিভাবে ধারণ করছেন, সেটাই তুলে ধরা। কেননা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে নিকট মানুষ আগ্রহভরে যাচ্ছেন এবং তাঁর ইতিহাস চর্চা করছেন।
প্রাচীন ইতিহাস তুলে ধরে এ বক্তা বলেন, বাঙালি কোনদিন স্বাধীন ছিল না। আর্য থেকে শুরু করে ব্রিটিশ কিংবা পাকিস্তান আমল সব সময়ই আমরা পরাধীন ছিলাম। কিন্তু ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব আমরা একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছি। ফলে আমরা বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়ানোর সুযোগ পেয়েছি। তাই বর্তমান বিশ্বের যে অবস্থা, সেখানে জাতিগত ঐক্য ছাড়া সামনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। সুতরাং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে এগিয়ে নেয়ার বিকল্প নেই বলে মনে করেন এ বক্তা।
উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালির আবেগ জড়িত একটি নাম। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একটি জমজ শব্দ। ৭১ সালে ঘাতকরা কেবল তাঁর দেহের বিনাশ সাধন করতে সক্ষম হয়েছেন কিন্তু তাঁর আদর্শতে বিনাশ করতে পারেনি। তাই আজ বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে আছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিদর্শন। তাই মহান এ মানুষের আদর্শ ধারণ ও লালন করার মাধ্যমে সোনার বাংলাদেশ গড়তে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান উপাচার্য।
উল্লেখ্য, সিডনি স্ট্রিট, পূর্ব লন্ডন শহরের টাওয়ার হ্যামলেটে স্থাপিত হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নান্দনিক ভাস্কর্যে প্রতিদিন শতশত মানুষ ও পর্যটকেরা গিয়ে আনন্দ-উল্লাস করেন। সেখানকার তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে চর্চা করেন। ২০১৮ সালে আলোকচিত্র শিল্পী ফোজিত শেখ বাবু বিশ্বের সবচেয়ে অবহেলিত রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর দুঃখ দুর্দশার চিত্র নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনী করতে বাংলাদেশ থেকে লন্ডনে যান। প্রদর্শনী চলাকালীন সময় তিনি সিডনি স্ট্রিটের বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটির সামনে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেন। এসময় আবক্ষ ভাস্কর্যটি ঘিরে বিদেশি বন্ধুদের বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান আর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশের বিভিন্ন ছবি তুলেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন