২৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ২১:২৮

সন্তানসহ নিজের সামাজিক স্বীকৃতি চান জাবি শিক্ষকের দ্বিতীয় স্ত্রী

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:

সন্তানসহ নিজের সামাজিক স্বীকৃতি চান জাবি শিক্ষকের দ্বিতীয় স্ত্রী

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী ইকবালের দ্বিতীয় স্ত্রী সেলিনা বেগম সন্তান ও তার পূর্ণাঙ্গ সামাজিক স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছেন।

আজ রবিবার (২৯ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমের কাছে এর প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন সেলিনা আক্তার।

অভিযোগপত্রে সেলিনা দাবি করেন, মেহেদী ইকবালের সাথে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে তার প্রথম বিয়ে হয়। সাত মাস বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক থাকলেও পরে তালাক দেন মেহেদী। পরবর্তীতে পূণার্ঙ্গ সামাজিক স্বীকৃতির শর্তে ২০২১ সালের জুনে পুনরায় বিবাহ হয় এবং একটি পুত্র সন্তান জন্মলাভ করে। যার বর্তমান বয়স প্রায় পনের মাস। তবে সন্তানের মৌখিক ও কাগজে স্বীকৃতি দিলেও প্রকাশ্যে সামাজিক স্বীকৃতি জানাতে এবং একসঙ্গে বসবাস করতে অনীহা প্রকাশ করেন ওই শিক্ষক।

ইতোপূর্বে প্রথমবার সামাজিক স্বীকৃতির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ প্রদান করলে পূর্ণাঙ্গ সামাজিক স্বীকৃতির দেয়ার শর্তে মেহেদী ইকবাল দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন তাকে। পরে প্রথমবারের অভিযোগপত্রটি উত্তোলন করলেও সমাধান না করায় দ্বিতীয়বারের মতো অভিযোগপত্র দিলেন বলে দাবি সেলিনার। 

সেলিনা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, 'আমি পুনরায় ৪ মাসের গর্ভবতী। মেহেদী ইকবাল তার অন্য স্ত্রীকে মাসের বেশিরভাগ সময় দিলেও আমাকে সময় দেয় মাসে দুই-একদিন। তাও মাত্র এক-দেড় ঘণ্টা থাকে। আমার সন্তানকে মানুষ করার জন্য কি তার এক ঘণ্টা সময়ই যথেষ্ট? এখন একদিকে সে আমাদের সাথে যোগাযোগ ও ভরণপোষণ বন্ধ করে দিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আমাদের সন্তানের সুনিশ্চিত ভবিষ্যৎ ও সুস্থ সুন্দর জীবনের জন্য এর সুষ্ঠু সমাধান চাই।'

এবিষয়ে জানতে সেলিনা আক্তারের স্বামী ও ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী ইকবালের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম বলেন, 'অভিযোগপত্র পেয়েছি, তবে এবিষয়টি নিয়ে আমি তেমন কিছু বলতে চাই না। আমি চাই, তারা সমস্যাটি পারিবারিকভাবে সমাধান করুক।'

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে প্রথম স্ত্রীর ঘরের ১০ বছরের সন্তানকে দিয়ে গাড়ি চালিয়ে শৃঙ্খলা আইন ভাঙার অভিযোগে এই শিক্ষককে সহকারী প্রক্টরের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর