চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের উপর হামলার দ্রুত এবং সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন চবি শিক্ষক সমিতি।
রবিবার (১৯ মার্চ) সকাল সাড়ে এগারোটায় চবি বঙ্গবন্ধু চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইন্সটিটিউট থেকে প্রায় ২০০ শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে, শিক্ষা সফরকালে চবি অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর 'এম ভি বে-ক্রুজ ইন্টারন্যাশনাল' জাহাজের স্টাফদের ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটে। এতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। কিন্তু, হামলার পাঁচ দিনেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই মামলার কোনো দায়িত্ব গ্রহণ করেনি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষকবৃন্দ। রাষ্ট্র যদি একটি নিরাপদ শিক্ষা সফরের নিশ্চয়তা দিতে না পারে তাহলে বড়ই দুঃখজনক বলে অবিহিত করেন চবি শিক্ষকবৃন্দ।
যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছেন তাদেরকে চিহ্নিত করা গেছে। কিন্তু, অদৃশ্য শক্তির কারণে তারা আইনের আওতায় আসছেন না বলে দাবি করেছেন বক্তারা।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হকের সঞ্চলনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক সেকান্দর চৌধুরী, আইন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক আবু নোমানসহ অর্থনীতি বিভাগ ও অন্যান্য বিভাগের প্রায় ২০০ শিক্ষক।
হামলার শিকার অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক মোঃ আফতাব হোসেন বলেন, আমাদের ওপর হামলার সময় বিজিবি উপস্থিত থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাদের সাথে কি বিজিবি'র কোনো যোগসাজশ রয়েছে? দেখা যাচ্ছে আমরা বাংলাদেশের কোনো জায়গায় নিরাপদ না। আমার প্রশ্ন এই ঘটনার দোষীরা এখনো কেন নির্বিচারে ঘুরে বেড়াচ্ছে? বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং অ্যালামনাইদের প্রতি আমার প্রশ্ন কেন তাদের বিচার হচ্ছে না।
মানববন্ধনে চবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে বলেন, এই ঘটনায় জড়িতদের বিচার নিশ্চিত না হলে আমাদের এই কর্মসূচি চলতে থাকবে। এই ধরনের ঘটনা যাতে আর পুনরাবৃত্তি না হয় সে বিষয়ে প্রশাসনকে আরো বেশি সচেতন হতে হবে।
এতে রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. এনায়েত উল্লাহ পাটওয়ারী বলেন, পেশাজীবীদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন। এই মামলায় নামকাওয়াস্তে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা অনিশ্চয়তায় ভুগছি। এ ঘটনার পরে আমাদের বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা শিক্ষা সফরে যেতে ভয় পাচ্ছি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল