৩০ মার্চ, ২০২৩ ২১:২১

নববর্ষকে স্বাগত জানাতে শোভাযাত্রার প্রস্তুতি

ঢাবি প্রতিবেদক

নববর্ষকে স্বাগত জানাতে শোভাযাত্রার প্রস্তুতি

আর মাত্র এক পক্ষকালের অপেক্ষা। শুরু হতে যাচ্ছে বাংলা পঞ্জিকার নতুন বছর, ১৪৩০সন। চৈত্রের কাঠফাটা গরম অনুভূত না হলেও বসন্ত-অন্তে আসছে নববর্ষ। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে এ বছরও দেশের সংস্কৃতি চর্চার প্রাণকেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা। 

ঐতিহ্যগতভাবে বাঙালির চিরায়ত এতিহ্য ঢাক-ঢোলের তালে বিশ্বমানবতার মঙ্গল কামনার এমন আয়োজনের দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। আগেভাগেই শোভাযাত্রার অনুষঙ্গসমূহ প্রস্তুত রাখতে চারুকলা অনুষদে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে শোভাযাত্রার প্রস্তুতি। 

বৃহস্পতিবার চারুকলা প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, শোভাযাত্রার প্রধান প্রধান অবকাঠামোগুলো তৈরিতে কাজ করছেন শিল্পীরা। বাঁশ ও কাঠের সাহায্য অবকাঠামোগুলোর কঙ্কাল তৈরি করছেন তারা। পরে এগুলোর উপর রঙ্গিন কাগজের প্রলেপ ও নকশা করা হবে। গত রবিবার ছবি এঁকে ও ঢাক-ঢোলের বাদ্য বাজানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে শোভাযাত্রার আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি। লাল ক্যানভাস বানিয়ে হলুদ ও নীল রঙের ব্যবহারে পাখি এঁকে প্রস্তুতি পর্বের উদ্বোধন করেন শিল্পী রফিকুন নবী। 

অনুষদ সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর চারুকলার অনুষদের শিক্ষার্থীদের একটি ব্যাচ শোভাযাত্রার প্রস্তুতির দায়িত্বে থাকে। এ বছর স্নাতক ২৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা দায়িত্ব আছেন। শোভাযাত্রার মূল অবকাঠামো হিসেবে এখন পর্যন্ত হাতি, টেপাপুতুল, ভেড়া ও বাঘের প্রতিকৃতি তৈরির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। আরও তিনটি অবকাঠামো নির্মাণ করার পরিকল্পনা আছে। ‘বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এবছর মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। 

এছাড়া, চারুকলার শিক্ষার্থীরা জলরং-অ্যাক্রেলিক চিত্র, সরাচিত্র ও মুখোশের পাশাপাশি নানা হস্তশিল্প তৈরি করছেন। ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশের মঙ্গল শোভাযাত্রা ইউনেসকোর ‘অস্পর্শনীয় শিল্পের’ তালিকাভুক্ত হয়। সরকারের পক্ষ থেকে এ আয়োজনে সম্পৃক্ততা থাকলেও চারুকলার শিক্ষার্থীরা চান নিজেদের মতো শিল্পকর্ম তৈরি করে সেসব বিক্রির মাধ্যমে আয়োজন করতে।

আয়োজকদের মধ্যে সমন্বয়ক করছেন ২৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান রাহাত। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সাধারণত শোভাযাত্রায় চিরায়ত বাংলার সংস্কৃতিকে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়। সেই প্রয়াসেই বাঘ, টেপাপুতুল, হাতির মত মোটিভ শোভাযাত্রার জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। এছাড়াও সার্বিকভাবে শোভাযাত্রায় মানুষের মুক্তি ও মঙ্গলকামনা করা হয়। 

জানা গেছে, মঙ্গল শোভাযাত্রা শাহবাগ মোড় হয়ে পুনরায় চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হবে। নির্মাণাধীন মেট্রোরেলের জন্য মঙ্গল শোভাযাত্রায় জনসমাগম সীমিত রাখতে সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।

এ বছর পহেলা বৈশাখে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোন ধরনের মুখোশ পরা এবং ব্যাগ বহন করা যাবে না। তবে মুখোশ হাতে নিয়ে প্রদর্শন করা যাবে। বিরত থাকতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভুভুজেলা বাঁশি বাজানো ও বিক্রি করা থেকেও। 

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর