অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ সমাবর্তনের নিমন্ত্রণপত্রসহ অন্যান্য কাজে অন্যের আলোকচিত্রের ব্যবহার; নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে সুবিধা দিতে চাকরির অভিজ্ঞতার বয়স বাড়ানো; অবৈধভাবে ইনক্রিমেন্ট নেওয়া; কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ইনক্রিমেন্ট দেয়া নিয়ে ঝামেলা তৈরি করা; কর্মচারীসুলভ আচরণ না করা; কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আপগ্রেডেশন ফাইল আটকে রাখা; দায়িত্বে অনিয়ম ও অবহেলার অভিযোগসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন-২) বি এম কামরুজ্জামানকে বহাল তবিয়ত থেকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে।
তাকে প্রশাসন-২ শাখা থেকে উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তি শাখায় বদলি করা হয়। অন্যদিকে প্রশাসন-২ এ উচ্চ শিক্ষা ও বৃত্তি শাখার এ বি এম আজিজুর রহমানকে নিয়োগ দেয়া হয়।
রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (চুক্তিভিত্তিক) রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
অফিস আদেশে বলা হয়, ‘কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে এ বি এম আজিজুর রহমানকে কর্মী প্রশাসন (প্রশাসন-২) শাখায় এবং ড. বি এম কামরুজ্জামানকে উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তি শাখায় বদলি করা হলো। এ বদলির কারণে তাদের বেতন বা সিনিয়রিটির কোনো তারতম্য হবে না।’
তবে কাউন্সিল শাখা আপাতত রেজিস্টার-এর তত্ত্বাবধানে থাকবে বলে অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে, নানা বিতর্কিত কর্মাকাণ্ডের জন্য গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন বি এম কামরুজ্জামান। এছাড়াও কামরুজ্জামানের বদলিসহ চার দফা দাবিতে গত ২ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে কর্মকর্তারা। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে ও কর্মকর্তাদের দাবির মুখে বি এম কামরুজ্জামানকে বহাল তবিয়ত থেকে বদলি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত