রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উর্দু বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে একই বিভাগের এক সহকর্মীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নিকট একটি অভিযোগপত্র দিয়েছে ভুক্তভোগী শিক্ষক ড. সামিউল ইসলাম। তবে অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন বিভাগের সভাপতি।
ভুক্তভোগী শিক্ষকের অভিযোগ, জরুরি সভা থাকায় সকল শিক্ষক বিভাগে আসেন। সেখানে আমিও ছিলাম। সভার শুরু হওয়ার আগে পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ও বিভাগীয় সভাপতি একসঙ্গে অফিসে ছিলেন। তখন আমি পরীক্ষা কমিটির সভাপতিকে তার চেম্বারে সভা করার কথা স্মরণ করিয়ে দেই। তখন বিভাগীয় সভাপতি সেখানেই সভা করার জন্য জোর করেন। এ নিয়ে তার সঙ্গে তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে আমাকে তুই-তাকারি করে আঘাত করতে আসেন। তখন আমি সরে যেতে লাগলে হাতে আঘাত পাই। ফলে হাত কেটে রক্ত পড়তে থাকে। তিনি প্রায়শই সহকর্মীদের সঙ্গে এমন আচরণ করে থাকেন। যা সভাপতি হিসেবে মোটেও কাম্য নয়। এঘটনায় আমি মর্মাহত এবং এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
জানা গেছে, ২০২২ সালের এমএ পরীক্ষা কমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকেই এই বিভাগের শিক্ষকদের মধ্যে অন্তঃদ্বন্দ্ব চলছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় এই কমিটির জরুরি সভা ছিল। সেই সভার স্থান নির্ধারণকে কেন্দ্র করে সভাপতির সঙ্গে ড. সামিউলের তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে সেটা শারীরিক লাঞ্চনার পর্যায়ে পৌঁছায়।
অভিযোগটি অস্বীকার করেন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আতাউর রহমান। তিনি জানান, ঘটনাটি ঠিক এর উল্টো। আমি তাকে লাঞ্ছিত করিনি বরং তিনিই আমাকে আঘাত করতে এসেছিলেন এবং রাগের মাথায় টেবিলের ওপর থাকা কাপ-পিরিচ ভেঙে ফেলেন। সেটার ভাঙা অংশ লেগে তার হাতে কেটে যায়। বিভাগের অন্য শিক্ষকদের সামনেই এই ঘটনা ঘটেছে। অথচ তিনিই উপাচার্যকে অভিযোগপত্র দিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত