একটু বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতায় নাকাল বরিশাল ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অন্যরা। বৃষ্টির পানিতে ড্রেনের নোংরা পানি উপচে ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র। নোংরা পানি ভেঙে চলাচল করতে হয় তাদের। এতে ক্ষুব্ধ তারা।
তাদের অভিযোগ, কলেজ কর্তৃপক্ষ ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কারের ব্যবস্থা না করায় একটু বৃষ্টিইে জলাবদ্ধতা হয়। ছড়িয়ে পড়ে ড্রেনের নোংরা পানি। ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কারে সিটি করপোরেশনের সহযোগীতা চেয়েছেন কলেজ অধ্যক্ষ। এদিকে কলেজের অভ্যন্তরীন ড্রেন তাদের নিজস্ব পরিচ্ছন্ন কর্মীরাই পরিষ্কার করবে বলে জানিয়েছেন সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা।
গত কয়েক দিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে বরিশালে। ভারি বৃষ্টি হলে ডুবে যায় নগরীর অনেক রাস্তাঘাট। কিন্তু ড্রেনগুলো সচল থাকায় দ্রুতই নেমে যায় জমে থাকা পানি। তবে বিএম কলেজের অভ্যন্তরীন সড়কসহ অন্যান্য জায়গায় জমে থাকে পানি। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় কলেজের অভ্যন্তরীন ড্রেন উপচে নোংরা পানি পড়ছে রাস্তাসহ সর্বত্র। এতে চরম ভোগান্তিতে পরছে বিএম কলেজের হাজার হাজার আবাসিক-অনাবাসিক শিক্ষার্থীসহ শিক্ষক-কর্মচারীরা।
শিক্ষার্থী আহমেদ সাব্বির বলেন, গত শুক্রবার কলেজ মসজিদে জুমার আদায় করতে গিয়ে নোংরা পানি মারাতে হয়েছে। কলেজের অভ্যন্তরীন ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিস্কার করতে কলেজ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে বিএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. গোলাম কিবরিয়া বলেন, বিএম কলেজের বাইরে চারপাশের ড্রেনগুলোতে পয়ঃনিস্কাশন না হওয়ায় একটু বৃষ্টিতেই কলেজের অভ্যন্তরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ড্রেনগুলো সিটি করপোরেশনের। এ কারণে ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার রাখাতে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের সহযোগিতা চেয়েছে। তারা নিয়মিত ড্রেনগুলো পরিষ্কার ও সংস্কার করলে কলেজের অভ্যন্তরীন জলাবদ্ধতা নিরসন হবে।
এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান রেজাউল কবীর জানান, কলেজের ইনসাইডের ড্রেনগুলো পরিচ্ছন্ন রাখবে তাদের (কলেজ) নিজস্ব কর্মীরা। ময়লা-আবর্জনা বেশী হলে তারা প্রয়োজন মনে করলে সিটি করপোরেশন ট্রাক পাঠিয়ে সেগুলো অপসারণ করবে। কলেজের বাইরে ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হয় বলে দাবি করেন রেজাউল কবীর।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল