দেশে দুর্নীতি, অনিয়ম ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে একটি কার্যকরী পদক্ষেপ হতে পারে 'হুইসেলব্লোয়িং'। যার মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থী হতে সরকারি কর্মকর্তা উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ নিয়ে রাষ্ট্রের অথবা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি তুলে ধরতে পারেন। এই বিশাল কর্মযজ্ঞে হুইসেলব্লোয়ারের নিরাপত্তা দিবে দেশের জনস্বার্থ তথ্য প্রকাশের সুরক্ষা আইন ২০১১।
সোমবার (১৪ আগষ্ট) দিনব্যাপী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সেমিনার কক্ষে ইএমকে সেন্টারের অর্থায়নে অনুষ্ঠিত হয় এ কর্মশালা। এতে রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইসহাকের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন সামাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌলাহ এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী এবং রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ভূঁইয়া মো: মনোয়ার কবীর।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ারা বেগম, মাহফুজ পারভেজ, মো. সফিকুল ইসলাম ও সহযোগী অধ্যাপক মো. বখতেয়ার উদ্দীন, ড. হাসিনা আফরোজ এবং সহকারী অধ্যাপক উম্মে হাবিবা এবং প্রভাষক তমা রানি মিস্ত্রী, মো: এরশাদুল হক, ইসমত আরা'সহ বিভাগের ২৫ জন প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষার্থী।
কর্মশালায় হুইসেলব্লোয়িং, ভার্চুয়াল হুইসেলব্লোয়িং এবং হুইসেলব্লোয়িংয়ের গুরুত্ব বিষয়ে আলোকপাত করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নুরুল হুদা সাকিব ও মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান।
কর্মশালা প্রকল্পটির পরিচালক ড. নুরুল হুদা সাকিব বলেন, এই ওয়ার্কশপের মাধ্যমে প্রতিবাদের প্রকৃত পদ্ধতি এবং তাদের সুরক্ষার জন্য যে আইন রয়েছে তা জানানোর মধ্য দিয়ে তরুণদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি বিকশিত হবে। এ ধরনের হুইসেলব্লোয়িং প্রোগ্রামের মাধ্যমে তরুণদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হয় যা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে। এতে সমাজে বিদ্যমান অনিয়ম ও দুর্নীতির চর্চা কিছুটা হলেও দূরীভূত হবে বলে আশা রাখি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল