রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) তুচ্ছ ঘটনায় রাতভর ছাত্রলীগের দু’পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুই কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল প্রশাসনের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান প্রাধ্যক্ষ ড. জাহাঙ্গীর হোসেন।
প্রাধ্যক্ষ জানান, ‘গত ১১ মে সংঘর্ষ ও ১৩ মে মধ্যরাতে হলে উদ্ভুত পরিস্থিতি হল প্রশাসনের নজরে এসেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দিয়েছি। এ ছাড়া হলের অনাবাসিক সকল শিক্ষার্থীকে আগামী ১৬ মে দুপুর ১২টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হল সূত্রে জানা গেছে, সভায় সোহরাওয়ার্দী হলের আবাসিক শিক্ষক ড. অনুপম হিরা মন্ডলকে আহ্বায়ক এবং ড. ফারুক হোসেন ও তানভীর ভূইয়াকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১১ মে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের নেতা নিয়াজ মোর্শেদ ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্যানেলের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। রাতভর ককটেল বিস্ফোরণ ও অস্ত্রের মহড়া দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার জেরে সকালে সভাপতি-সম্পাদক প্যানেলের নেতা আতিকুর রহমান এবং শাখা ছাত্রলীগের কর্মী শামসুল আরিফিন খান সানি ও আজিজুল হক আকাশসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজন হলে যান এবং নিয়াজকে তথ্য দেওয়ার অভিযোগ তুলে হলের কর্মচারী মনিরুল ইসলামকে মারধর করে। এ ঘটনায় সেদিনই হল প্রশাসনকে এসব নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন তিনি। সভায় সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের শাস্তির সুপারিশ করা হয়।
এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ড. অনুপম হিরা মন্ডল বলেন, কর্মচারীর অভিযোগ ও সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই করে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। ফলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইনে শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে। আবাসিক শিক্ষার্থী না হওয়ায় হল প্রশাসন সরাসরি কোনো শাস্তি দিতে পারেনি। তবে সংশ্লিষ্ট বিভাগে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই