রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা

মোটিভেশন

মোটিভেশন

মোটিভেশনের জন্য প্রথমেই নিজের চিন্তাভাবনাগুলো ভালো করে বিশ্লেষণ করতে হবে। প্রত্যেকটি মন্তব্য শোনার পরে রি-অ্যাক্ট করার আগে সেটা একবার মনে মনে কাটাছেঁড়া করতে হবে। কোনো বিশেষ কথা কি আপনার অপছন্দ? নাকি মন্তব্যকারীকে একেবারেই পছন্দ করেন না? যতটা সম্ভব যুক্তি দিয়ে নিজের মনের ভাবটা বোঝার চেষ্টা করুন। নিজের মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকলে চট করে নেগেটিভ হয়ে ওঠা মুশকিল। সহকর্মীদের মধ্যে যারা ইতিবাচক মনোভাবাপন্ন, তাদের সঙ্গে বেশি ইন্টার্যাক্ট করুন। প্রয়োজনে তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিন। কয়েকটি পজিটিভ পার্সোনাল হ্যাবিট মোটিভেশন বাড়াতে সাহায্য করে। ব্যালেন্সড ডায়েট, ফিটনেস রেজিম, হেলদি লাইফস্টাইল আপনাকে সুস্থ শরীরের সঙ্গে সঙ্গে এক সুস্থ মনেরও অধিকারী করে তোলে। এছাড়াও মানসিক সুস্থতার জন্য বাইরের বই পড়া, ইন্টারনেট সার্ফিং, নিজস্ব শখ চর্চা করাটাও খুব জরুরি। মন সুস্থ না হলে মোটিভেশন কিছুতেই পজিটিভ হতে পারে না। যখনই মনে হবে আপনি নিজের ওপর বিশ্বাস হারাচ্ছেন, তখন নিজেই নিজেকে সাহস দিন। প্রতিদিন অন্তত একবার নিজেকে বলুন 'আমি বিশ্বাস হারাব না। আমি ভালো থাকব।' এই সামান্য কথাগুলো আপনাকে নতুন সাহস জোগাতে সাহায্য করবে। কিন্তু কোনো কাজে ব্যর্থ হলেই 'আমার কপালটাই খারাপ' বা 'আমার দ্বারা কিচ্ছু হবে না' ইত্যাদি কথা মুখ দিয়ে যাতে না বের হয় সেদিকে সতর্ক থাকুন। কাজ গুছিয়ে করার চেষ্টা করুন। সবসময় অফিসের কাজের একটা খসড়া পরিকল্পনা ছকে নেওয়ার চেষ্টা করুন। সপ্তাহের শুরুতে বাড়ির অফিসের কাজের একটা চেকলিস্ট বানিয়ে নিন। একটা কাজ শেষ হলেই লাল কালি দিয়ে কেটে দিন। সব কাজ ঠিকমতো শেষ হলে নিজেকেই ছোট্ট একটা ট্রিট দিন। ছোট ছোট টার্গেট অ্যাচিভ করতে পারলে, আত্মবিশ্বাস আপনাআপনি মজবুত হবে। এই আত্মবিশ্বাসই আপনাকে ভালো কাজের দিকে মোটিভেট করবে। কারণ আত্মবিশ্বাসীরা খুব সহজেই কঠিন কাজ করতে পারে। - ক্যারিয়ার ডেস্ক

 

 

সর্বশেষ খবর