সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী পণ্য বিক্রয়ের মূল্য তালিকা না থাকা ও আমদানি করা কাপড়ের বৈধ কাগজপত্র না থাকাসহ ক্রেতা ঠকানোর দায়ে বরিশালে ৪টি তৈরি পোশাক বিক্রির দোকানকে ৪০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উর্মি ভৌমিকের নেতৃত্বে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে নগরীর চকবাজার ও হেমায়েত উদ্দিন রোডে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযান চলাকলে নগরীর হেমায়েত উদ্দিন রোডের নেক্সট্ প্লাস পোশাকের দোকানে একটি লেডিস ড্রেসে একদর লেখা ছিলো ৩ হাজার ৫০ টাকা। কিন্তু এই পোশাকটি কোথা থেকে কত টাকায় পাইকারি কেনা হয়েছে তার কোন মেমো দেখাতে পারেননি দোকানি। পরে জিজ্ঞাসাবাদে ভ্রাম্যমাণ আদালত নিশ্চিত হয় যে, ঐ পোশাকটিতে দোকানি ৫৪ ভাগ মুনাফা করেছে ক্রেতাদের কাছ থেকে। অতিরিক্ত মুনাফা এবং পণ্যের মূল্য তালিকা না থাকার দায়ে নেক্সট্ প্লাসের ম্যানেজার রতন চৌধুরীকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এছাড়াও পোশাকের ক্রয়মূল্যর চেয়ে অধিক মূল্যে বিক্রয় এবং আমদানি করা কাপড়ের বৈধ কাগজপত্র না থাকাসহ বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে হেমায়েত উদ্দিন রোডের স্মার্ট ফ্যাশনের ম্যানেজার মো. মিজানুর রহমানকে ৫ হাজার, বৈশাখী পোশাক বিতানের ম্যানেজার মো. নুরুজ্জামানকে ১০ হাজার এবং পিটার ইংল্যান্ডের ম্যানেজার মো. আবদুল কাদেরকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
একই সাথে ওই সব পোশাকের দোকানকে সতর্ক করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উর্মি ভৌমিক। সহকারী পুলিশ সুপার দেবাশীষ কর্মকারের নেতৃত্বে র্যাব-৮’র একটি দল এ ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনায় সহায়তা করেন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক