২৮ বছর পর বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সিলেট জেলা দল। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ৪০তম জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে রাজশাহী জেলা দলের বিপক্ষে ২ উইকেটে জয় পেয়েছে সিলেট জেলা দল।
এর আগে ১৯৯৪-৯৫ এ জাতীয় ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা জিতেছিল সিলেট জেলা দল। তবে সেসময় সিলেট দলের হয়ে খেলেছিলেন জাতীয় দলের তারকা খেলোয়াড়েরা। এবার শুধুমাত্র স্থানীয় খেলোয়াড়দের নিয়ে দল গড়ে শিরোপা জিতল সিলেট।
কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠি ফাইনালে সিলেট জেলা দল আগে ব্যাট করা রাজশাহী ২৭০ রান তুলে। জবাবে ২ উইকেট হাতে রেখে জয় চ্যাম্পিয়ন হয় সিলেট জেলা দল।
টস হেরে ব্যাট করতে নামা রাজশাহী নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৭০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায়। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৯ রান করেন অভিষেক। ৩৮ রান করেন এজাজ। ৩৪ রান করেন ইরাস। ৩২ রান আসে মেহদী হাসানের ব্যাট থেকে।
সিলেটের হয়ে তাজিন ৩টি ও আবিদ ২ করে উইকেট লাভ করেন।
২৭১ রানের বড় টার্গেটে ব্যাট করতে নামা সিলেট ইনিংস সমাপ্তির ৭ বল আগেই ৮ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে ফেলে। ব্যাট হাতে দলকে দারুণ এক জয় এনে দেন তরুণ ব্যাটার আবু বক্কর। ৭৯ বলে ৯৭ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। আট চার ও তিন ছক্কায় সাজানো ছিলো তার ইনিংসটি। আটে নামা এই তরুণ দশে নামা মাহবুবকে নিয়ে দারুণ জুটি গড়েন। তাদের জুটিতেই রচিত হয় চ্যাম্পিয়ন গল্প। ১৮ বলে ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন মাহবুব। চার চার ও দুই ছয়ের মার ছিলো তার দায়িত্বশীল ইনিংসে। এছাড়াও সিলেটের হয়ে মিজান ৪৯ ও সাদিকুর ৩৭ রান করেন।
রাজশাহীর হয়ে বক্কর সর্বাধিক ২টি উইকেট লাভ করেন।
খেলায় ম্যাচসেরা হন সিলেট দলের তরুণ ক্রিকেটার আবু বক্কর। আর টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলে আসর সেরা হন সিলেট দলের আসাদুল্লাহ গালিব।
সিলেট জেলা দলের ম্যানেজার জামিল আহমদ দুলাল বলেন, ২৮ বছর পর জাতীয় ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপে চ্যাম্পিয়ন হওয়া সত্যিই আমাদের জন্য গৌরবের। স্থানীয় খেলোয়াড়দের নিয়ে দল গঠন করে আমরা শিরোপা জিততে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত