বৃষ্টিপাত এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে সিলেটের সকল নদীতে বাড়ছে পানি।শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত ছিল। ফলে সিলেটে ফের বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আবারও বন্যার শঙ্কায় সিলেটের বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চলের মানুষের মধ্যে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, শনিবার সুরমা নদীর কানাইঘাট ও কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টে যথাক্রমে ৯৪ ও ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়া উজানে ভারতের আসাম ও মেঘালয়ের পাহাড়ী এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় সুরমা ও কুশিয়ারাসহ জেলার সবকটি নদীতে পানি বৃদ্ধি পায়। তবে এখনো সকল নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে আজকালের মধ্যে সুরমা ও কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে।
গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট ও সিলেট পয়েন্টে ছিল যথাক্রমে ১২.১৫ মিটার ও ৯.৫৮ মিটার। শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় এ দুই পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১২.২২ মিটার ও ৯.৭১ মিটারে। এছাড়া কুশিয়ারা নদীর পানি গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় আমলসীদ পয়েন্টে ১৩.৯০ মিটার, শেওলা পয়েন্টে ১১.৫৮ মিটার, শেরপুর পয়েন্টে ৭.৩৭ মিটার ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৯.৪৫ মিটার ছিল। কুশিয়ার সকল পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়ে শনিবার সকাল ৯টায় আমলসীদ পয়েন্টে ১৪.০৫ মিটার, বিকেল ৩টায় শেওলা পয়েন্টে ১১.৮৩ মিটার, শেরপুরে সন্ধ্যা ৬টায় ৭.৪৫ মিটার ও ফেঞ্চুগঞ্জে ৯.৪৯ মিটারে দাঁড়ায়। এছাড়া লোভা নদীর পানি লোভাছড়া পয়েন্টে শনিবার সকায় ৬টায় ছিল ১২.৪৮ মিটার। সন্ধ্যা ৬টায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১২.৮২ মিটারে। সারি নদীর পানি সারিঘাট পয়েন্টে গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় ছিল ১০.৯৯ মিটার। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১.১৮ মিটারে। ধলাই নদীর পানি ইসলামপুর পয়েন্টে গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় ছিল ৮.৫৮ মিটার। আর শনিবার একই সময়ে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৯.১২ মিটারে।
এদিকে, নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আগের ভাঙন দিয়ে অনেক স্থানে পানি প্রবেশ শুরু করেছে। বিশেষ করে জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানিগঞ্জের নিম্নাঞ্চলে পানি উঠতে শুরু করেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন