২৩ জুন, ২০২২ ২০:০৫

কমছে পানি, আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ফিরছে মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

কমছে পানি, আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ফিরছে মানুষ

সিলেটে সুরমা, ধলাই, পিয়াইন, লোভা ও সারি নদীর তীরবর্তী উপজেলাগুলো থেকে বন্যার পানি নামা অব্যাহত রয়েছে। জেলার ১৩টি উপজেলার মধ্যে ৭টিতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রগুলো থেকে অনেক বন্যার্ত বাড়ি ফেরা শুরু করেছেন। তবে কুশিয়ারা তীরবর্তী ৬ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এখনো সিটি করপোরেশন ও জেলার বিভিন্ন উপজেলার ৬৫২টি আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন ৯১ হাজার ৬২৩ জন বন্যার্ত। এর আগে আশ্রয়কেন্দ্রে আসা বন্যার্তের সংখ্যা ছিল প্রায় আড়াই লাখ। 

কুশিয়ারার পানি বেড়ে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। মোল্লাপুর ইউনিয়নের একাংশ ও পৌর সদর ছাড়া পুরো উপজেলা পানিতে তলিয়ে গেছে। উপজেলার ৯০ ভাগ এলাকার মানুষ এখন পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। একইভাবে জকিগঞ্জ উপজেলায়ও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। পৌর শহরের একাংশ ছাড়া পুরো উপজেলা প্লাবিত হয়ে গেছে। সিলেট-শেওলা-জকিগঞ্জ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সিলেট-আটগ্রাম-জকিগঞ্জ ও সিলেট-কালিগঞ্জ-জকিগঞ্জ সড়কের বিভিন্ন স্থান তলিয়ে যাওয়ায় যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। বাস ও ট্রাক ছাড়া ছোট কোন গাড়ি ওই দুই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে পারছে না। বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তীত রয়েছে। গোলাপগঞ্জ উপজেলার শরিফগঞ্জ, বাদেপাশা, আমুড়াসহ কুশিয়ারা তীরবর্তী সকল ইউনিয়নে বন্যার পানি বৃদ্ধি পেয়ে পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। তবে বাঘা ও গোলাপগঞ্জ সদরসহ সুরমা তীরবর্তী ইউনিয়নগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। কুশিয়ারা নদীর পানি ফেঞ্চুগঞ্জ হয়ে দক্ষিণ সুরমায় প্রবেশ করায় জালালপুর, দাউদপুর, মোগলাবাজার ও সিলাম ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ফেঞ্চুগঞ্জেও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট ও সদর উপজেলার বন্য পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এসব উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র থেকে লোকজন বাড়ি ফেরা শুরু করেছেন। 

জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সিটি করপোরেশন ও জেলার ১৩টি উপজেলার ৬৫২টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৯১ হাজার ৬২৩ জন বন্যার্ত ছিলেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ছিলেন। ওই উপজেলার ২৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে এখনো অবস্থান করছেন ২০ হাজার ৬২৫ জন বন্যার্ত। এছাড়া বিশ্বনাথের ৫৫টি কেন্দ্রে ১০ হাজার ৩৪৪ জন, সিলেট সদরে ৬৪টি কেন্দ্রে ১২ হাজার ৪০ জন ও সিটি করপোরেশনের ভেতর ৪০টি কেন্দ্রে ১২ হাজার ৭ জন বন্যার্ত রয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ত্রাণ হিসেবে জেলায় ১৪শ’ মেট্রিক টন চাল, নগদ ২ কোটি ৭ লাখ টাকা, ১৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম।  

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর