২৮ জুন, ২০২২ ১৮:২৯

সিলেটে নামছে পানি, ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট:

সিলেটে নামছে পানি, ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই

ফাইল ছবি

সিলেটে সুরমা, ধলাই, পিয়াইন, সারি ও লোভা নদীর তীরবর্তী উপজেলাগুলো থেকে পানি প্রায় নেমে গেছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো থেকেও ৮৫ ভাগ মানুষ বাড়ি ফিরেছেন। কুশিয়ারা তীরবর্তী বন্যাকবলিত উপজেলাগুলো থেকেও পানি নামতে শুরু করেছে। পানি নামার সাথে সাথে শুরু হয়েছে অন্যরকম লড়াই। ঘুরে দাঁড়ানোর এই লড়াইয়ে চোখে অন্ধকার দেখছেন বন্যাকবলিত মানুষ।

সিলেট সিটি করপোরেশন এবং জেলার ১৩টি উপজেলা ও ৫টি পৌরসভার ৬১৪টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছিল। এতে আশ্রয় নিয়েছিলেন ২ লাখ ৫২ হাজার ৮৭৮ জন বন্যার্ত। 

মঙ্গলবার পর্যন্ত ৪৬৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয়গ্রহণকারীর সংখ্যা ছিল ৪০ হাজার ৪৬৪ জন। বন্যার্তরা চলে যাওয়ায় ইতোমধ্যে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ১৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র। আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ফেরার পর বাড়ি গিয়ে আরও বড় সমস্যায় পড়েছেন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থরা। অনেকের ঘর পানিতে ভেসে গেছে, ধ্বসে পড়েছে কোন কোনটি। যাদের কাঁচাঘর এখনো দাঁড়িয়ে আছে সেগুলোরও অবস্থা নড়বড়ে। যে কোন সময় ধ্বসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বন্যার পানিতে ভিজে বেশিরভাগ মানুষের আসবাবপত্র ও ঘরের জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে নতুন করে তাদেরকে শুরু করতে হচ্ছে জীবনসংগ্রাম।

জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, মঙ্গলবার পর্যন্ত সিলেটের জন্য ত্রাণ হিসেবে বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ৬১২ মেট্রিক টন চাল, ২০ হাজার ২১৮ প্যাকেট শুকনো খাবার, নগদ ২ কোটি ৬৭ লাখ  ৪৩ হাজার টাকা এবং শিশু ও গো খাদ্যের জন্য ১০ লাখ করে ২০ লাখ টাকা। মঙ্গলবার পর্যন্ত বিতরণ শেষে মজুদ রয়েছে ২৫ মেট্রিক টন চাল, নগদ ৪০ লাখ টাকা ও ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার। 

বিডি প্রতিদিন/এএম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর