চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নগরীর অন্যতম অভিশাপ হিসাবে পরিচিত জলাবদ্ধতা নিরসনে ৫৭ খাল খনন কাজ শুরু করেছে।
রবিবার সকাল ১০টায় বহদ্দারহাট পুলিশ বিট এলাকায় চাক্তাই খালের প্রবেশ মুখে খনন প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) সুদীপ বসাক প্রমুখ। উদ্বোধনের পর মেয়র চাক্তাই খালের পাড় ধরে হেঁটে বহদ্দারহাট থেকে চকবাজার ধুনীর পুল পর্যন্ত সরেজমিন পরিদর্শন করেন।
মেয়র বলেন, বর্ষা মৌসুমে ভারী বৃষ্টিতে অনেক নিন্মাঞ্চলে পানি ওঠে। এ পানি যাতে দ্রুত নেমে যেতে পারে সে লক্ষ্যে বর্ষার আগেই নগরীর খালগুলোর পলি, মাটি, বর্জ্য অপসারণ করা হচ্চে। এই খনন কাজ বর্ষা পর্যন্ত চলমান থাকবে। তিনি বলেন, উন্নত দেশে মানুষ নালা-খালে বর্জ্য ফেলে না। তারা জানে নালা-খাল পানি অপসারণের জন্য। কিন্তু আমাদের এখানে মানুষ নির্বিচারে নালা-খালে বর্জ্য ফেলছে। তাই প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে খালগুলো খনন করতে হচ্ছে। আশাকরি, নগরবাসী এবার নির্দিষ্ট বিনে, নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ময়লা ফেলে পরিচ্ছন্ন নগর গঠনে সহযোগিতা করবে।
কর নিয়ে ৫৭ সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় সভা
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সরকারি বেসরকারি ৫৭ সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় সভা করেছে। রবিবার দুপুরে নগর ভবনের কেবি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে ‘মন্ত্রণালয় ভিত্তিক বিভিন্ন সরকারি সংস্থার সঙ্গে বকেয়া গৃহকর ও রেইট সম্পর্কিত সমন্বয়’ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।
চসিকের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহার সভাপতিত্বে ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্ত ড. মুহাম্মদ মুস্তফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জালাল উদ্দিন, চমেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর প্রমুখ। সভায় রেল, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, স্থানীয় সরকার, পানি সম্পদ, গণপূর্ত, মৎস্য, পাট, জেলা পরিষদ, মহিলা ও শিশু, সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, ‘ওয়ার্ড ভিত্তিক বকেয়া করের তালিকা কাউন্সিলরদের কাছে পাঠানো হচ্ছে। এর পর সেখান থেকে করদাতাদের কাছে চিঠি ইস্যু করা হবে। প্রয়োজনীয় উদ্যোগের পরই আমরা আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করব। একই সঙ্গে সামর্থ্যবান ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে কর দেওয়ার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। তাহলে চসিকের সক্ষমতা বাড়বে।’
মেয়র বলেন, ‘অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল দিচ্ছে, কিন্তু সিটি কর্পোরেশনের গৃহকর ও রেইট আদায়ে উদাসীন। কিন্তু তারা এসব প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য অপসারণ, আলোকায়ন, সড়ক মেরামতে চুল পরিমাণ ছাড় দিতে রাজি নয়। সরকার আইন তৈরি করে আরবান ট্যাক্সের হার নির্ধারণ করে দিয়েছে। বিষয়টি বুঝতে হবে। জনমত সৃষ্টি করতে হবে।’
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন